নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। আজ সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনের কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিকল্প বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম এ তথ্য তুলে ধরেন।
আইনুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে মোট অর্থ পাচার হয়েছে আনুমানিক ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। একই সময়ে বাংলাদেশে মোট কালোটাকার আনুমানিক পরিমাণ হবে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, সমিতি নতুন অর্থবছরে পাচার হওয়া অর্থের শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করেছে। এতে ৫ হাজার কোটি টাকা অর্থ উদ্ধার হবে। একইভাবে মোট কালোটাকার মাত্র শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করেছি। যেখান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার হবে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খলীকুজ্জামান বলেন, ‘এখানে দুষ্টচক্র আছে। দুষ্টচক্র পেঁয়াজের বাজারে, আলুর বাজারে, ডলারের বাজারে, শ্রমের বাজারেও আছে। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়তে চাই, তাহলে এই দুষ্টচক্র দমন করতে হবে। তা না হলে সরকার যেটা চাচ্ছে, সেটা হবে না।’
কালোটাকা কোথায় রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতি সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, ‘কালোটাকা দেশের মধ্যে, সিন্দুকে, সোনাদানায়, জমিজমার মধ্যে আছে। বাড়ি কিনেছেন ৫ কোটি টাকা দিয়ে আর রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫০ লাখ টাকা দিয়ে। কারণ, ট্যাক্সফাইল পারমিট করে না। তাহলে এই সাড়ে ৪ কোটি কোথায় আছে? এটা এ রকম বহু জায়গায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে দুজন মানুষ। কিন্তু এখানে ৪৬টি গোষ্ঠী জড়িত। রড-সিমেন্ট থেকে শুরু করে বালি পর্যন্ত সবাই জড়িত।’
বারকাত বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় বছর দশেক আগে একটা জরিপ করেছিল বাংলাদেশে কালোটাকার পরিমাণ নিয়ে। সেটা প্রকাশিত হয়নি। সেখানে বলা হয়েছিল, বছরে যে পরিমাণ কালোটাকা তৈরি হয়, সেটা জিডিপির ৩৩ থেকে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।’
অর্থ পাচার রোধে অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার দরকার। অর্থনীতিকে পরিচালনা করেন রাজনীতিবিদেরা। উনারা সঠিক লাইনে যদি ব্যবস্থা নেন, তাহলে পদ্ধতি আছে। ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা চালু করলে এসব লোকে টাকাপয়সা যখন উঠাবে, বিদেশে টাকাপয়সা কাকে দিচ্ছে, এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারেন্স বিভাগ থেকে ধরা যায়।
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। আজ সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনের কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিকল্প বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম এ তথ্য তুলে ধরেন।
আইনুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে মোট অর্থ পাচার হয়েছে আনুমানিক ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। একই সময়ে বাংলাদেশে মোট কালোটাকার আনুমানিক পরিমাণ হবে ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, সমিতি নতুন অর্থবছরে পাচার হওয়া অর্থের শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করেছে। এতে ৫ হাজার কোটি টাকা অর্থ উদ্ধার হবে। একইভাবে মোট কালোটাকার মাত্র শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্ধারের সুপারিশ করেছি। যেখান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার হবে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খলীকুজ্জামান বলেন, ‘এখানে দুষ্টচক্র আছে। দুষ্টচক্র পেঁয়াজের বাজারে, আলুর বাজারে, ডলারের বাজারে, শ্রমের বাজারেও আছে। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়তে চাই, তাহলে এই দুষ্টচক্র দমন করতে হবে। তা না হলে সরকার যেটা চাচ্ছে, সেটা হবে না।’
কালোটাকা কোথায় রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতি সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, ‘কালোটাকা দেশের মধ্যে, সিন্দুকে, সোনাদানায়, জমিজমার মধ্যে আছে। বাড়ি কিনেছেন ৫ কোটি টাকা দিয়ে আর রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫০ লাখ টাকা দিয়ে। কারণ, ট্যাক্সফাইল পারমিট করে না। তাহলে এই সাড়ে ৪ কোটি কোথায় আছে? এটা এ রকম বহু জায়গায় আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে দুজন মানুষ। কিন্তু এখানে ৪৬টি গোষ্ঠী জড়িত। রড-সিমেন্ট থেকে শুরু করে বালি পর্যন্ত সবাই জড়িত।’
বারকাত বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় বছর দশেক আগে একটা জরিপ করেছিল বাংলাদেশে কালোটাকার পরিমাণ নিয়ে। সেটা প্রকাশিত হয়নি। সেখানে বলা হয়েছিল, বছরে যে পরিমাণ কালোটাকা তৈরি হয়, সেটা জিডিপির ৩৩ থেকে ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।’
অর্থ পাচার রোধে অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার দরকার। অর্থনীতিকে পরিচালনা করেন রাজনীতিবিদেরা। উনারা সঠিক লাইনে যদি ব্যবস্থা নেন, তাহলে পদ্ধতি আছে। ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা চালু করলে এসব লোকে টাকাপয়সা যখন উঠাবে, বিদেশে টাকাপয়সা কাকে দিচ্ছে, এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারেন্স বিভাগ থেকে ধরা যায়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ৩৯টি নির্দেশনামূলক পদক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) গ্রিন রোডে পানি ভবনে বোর্ডের কার্যালয়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংস্থার মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহর এক মতবিনিময় সভায় এসব নির্দেশনা উপস্থাপন কর
২ ঘণ্টা আগেরুচি সস অ্যান্ড কেচাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় তারকা সিয়াম আহমেদ। দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সুপরিচিত এই ব্র্যান্ডটির সঙ্গে সম্প্রতি রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভ
৩ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করাই এই বৈঠকের মূল বিষয় বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, যদি কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনে
৩ ঘণ্টা আগেএ সময় তিনি এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় বাড়ানোর জন্য পাঁচটি কারণ বা যুক্তি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে—১. ভালো বাণিজ্য দর-কষাকষির জন্য, ২. তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি বৈচিত্র্য আনা, ৩. শিল্প খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, ৪. বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ৫. প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং জলবায়ু সহনশীলতা টেকসই করা।
৪ ঘণ্টা আগে