ভারতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিশেষ করে মহানগরগুলোতে এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এসব শহরে অত্যধিক বাড়িভাড়া, জিনিসপত্রের দাম, স্কুলের ফি ও অন্যান্য পরিষেবার খরচ আকাশচুম্বী হওয়ায় দিন শেষে জনগণের আয়ের কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), খড়গপুরের সাবেক এক শিক্ষার্থী মহানগরে বসবাসকারী একটি চার সদস্যের পরিবারের ব্যয়ের বিশদ বিবরণ সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতে এক্স প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আইআইটির সাবেক শিক্ষার্থী প্রীতেশ কাকানির মতে, একটি পরিবারের জন্য মোট বার্ষিক খরচ প্রায় ২০ লাখ রুপিতে পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ মাসে একটি পরিবারের খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৬৬ হাজার রুপির বেশি।
পোস্টে তিনি মাসিক বাড়িভাড়া, ভ্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ইলেকট্রনিকস, আসবাবপত্র ইত্যাদির সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন খরচগুলো তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ হাজার রুপি মাসিক বাসা ভাড়া, ১০ হাজার রুপি খাবার খরচ, ৫ হাজার ৩৫০ রুপি জ্বালানি তেল (পেট্রল), চিকিৎসা ৮ হাজার রুপি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস ১০০ রুপি, পোষা কুকুর ৫০০ রুপি ইত্যাদি।
খরচের তালিকার ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের মহানগরে সচ্ছলভাবে চলতে ৪ জনের মধ্যবিত্ত পরিবারকে প্রতিবছর ২০ লাখ টাকা গুনতে হয়। এতে কোনো বিলাসবহুল জীবনের খরচ যোগ করা হয়নি।’
অনেকেই তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং এটিকে বাস্তবসম্মত বলে অভিহিত করেছেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন, বছরে ২০ লাখ রুপি খরচ বিলাসবহুল জীবনযাপনের সমান।
এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তুমি ঠিক বলেছ। আমার মতে এটি সর্বনিম্ন খরচ।’ আরেকজন হেঁয়ালি করে মন্তব্য করেছেন, ‘আমি কখনই জানতাম না কুকুর এবং গাড়ি প্রয়োজনীয় জিনিস। আপনার যদি বাড়ি না থাকে, তাহলে কিস্তিতে (ইএমআই) গাড়ি কেনা উচিত নয়।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘এখানে অনেক খরচ দেখানো হয়েছে যেসব বিলাসিতা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। যেমন: এশিয়া ট্রিপ, কুকুর পোষা, কিস্তিতে গাড়ি কেনা ইত্যাদি।’
চতুর্থ একজন লিখেছেন, ‘আমরা একটি মেট্রো সিটি অর্থাৎ মুম্বাইতে থাকি। চারজনের পরিবার চালাতে সবকিছু মিলিয়ে বার্ষিক ৭ লাখ টাকা খরচ হয়। আমার গাড়ি নেই। এটা আপনার রুচির ওপর নির্ভর করে। তাই আমি মনে করি, প্রতিবছর ২০ লাখ রুপি খরচ করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়।’
এর আগে একজন এক্স ব্যবহারকারী আজকের বাজারে ১ কোটি রুপি দিয়ে কী কী পাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন। অক্ষত শ্রীবাস্তব নামের ওই ব্যবহারকারী বলেন, মুম্বাই, দিল্লি বা গুরগাঁওয়ে একটি ভালো বাড়ি কেনার জন্য ১ কোটি টাকা যথেষ্ট নয়। একই পরিমাণ অর্থে বাবা-মা ভালো এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ছেলে-মেয়েকে বিদেশে পাঠাতেও পারেন না। এমনকি নয়াদিল্লির মতো শহরের স্কুলেও নয়।
ভারতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিশেষ করে মহানগরগুলোতে এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এসব শহরে অত্যধিক বাড়িভাড়া, জিনিসপত্রের দাম, স্কুলের ফি ও অন্যান্য পরিষেবার খরচ আকাশচুম্বী হওয়ায় দিন শেষে জনগণের আয়ের কিছুই অবশিষ্ট থাকছে না।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), খড়গপুরের সাবেক এক শিক্ষার্থী মহানগরে বসবাসকারী একটি চার সদস্যের পরিবারের ব্যয়ের বিশদ বিবরণ সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতে এক্স প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আইআইটির সাবেক শিক্ষার্থী প্রীতেশ কাকানির মতে, একটি পরিবারের জন্য মোট বার্ষিক খরচ প্রায় ২০ লাখ রুপিতে পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ মাসে একটি পরিবারের খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৬৬ হাজার রুপির বেশি।
পোস্টে তিনি মাসিক বাড়িভাড়া, ভ্রমণ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ইলেকট্রনিকস, আসবাবপত্র ইত্যাদির সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন খরচগুলো তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ হাজার রুপি মাসিক বাসা ভাড়া, ১০ হাজার রুপি খাবার খরচ, ৫ হাজার ৩৫০ রুপি জ্বালানি তেল (পেট্রল), চিকিৎসা ৮ হাজার রুপি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস ১০০ রুপি, পোষা কুকুর ৫০০ রুপি ইত্যাদি।
খরচের তালিকার ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের মহানগরে সচ্ছলভাবে চলতে ৪ জনের মধ্যবিত্ত পরিবারকে প্রতিবছর ২০ লাখ টাকা গুনতে হয়। এতে কোনো বিলাসবহুল জীবনের খরচ যোগ করা হয়নি।’
অনেকেই তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং এটিকে বাস্তবসম্মত বলে অভিহিত করেছেন। তবে কেউ কেউ বলেছেন, বছরে ২০ লাখ রুপি খরচ বিলাসবহুল জীবনযাপনের সমান।
এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তুমি ঠিক বলেছ। আমার মতে এটি সর্বনিম্ন খরচ।’ আরেকজন হেঁয়ালি করে মন্তব্য করেছেন, ‘আমি কখনই জানতাম না কুকুর এবং গাড়ি প্রয়োজনীয় জিনিস। আপনার যদি বাড়ি না থাকে, তাহলে কিস্তিতে (ইএমআই) গাড়ি কেনা উচিত নয়।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘এখানে অনেক খরচ দেখানো হয়েছে যেসব বিলাসিতা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। যেমন: এশিয়া ট্রিপ, কুকুর পোষা, কিস্তিতে গাড়ি কেনা ইত্যাদি।’
চতুর্থ একজন লিখেছেন, ‘আমরা একটি মেট্রো সিটি অর্থাৎ মুম্বাইতে থাকি। চারজনের পরিবার চালাতে সবকিছু মিলিয়ে বার্ষিক ৭ লাখ টাকা খরচ হয়। আমার গাড়ি নেই। এটা আপনার রুচির ওপর নির্ভর করে। তাই আমি মনে করি, প্রতিবছর ২০ লাখ রুপি খরচ করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়।’
এর আগে একজন এক্স ব্যবহারকারী আজকের বাজারে ১ কোটি রুপি দিয়ে কী কী পাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন। অক্ষত শ্রীবাস্তব নামের ওই ব্যবহারকারী বলেন, মুম্বাই, দিল্লি বা গুরগাঁওয়ে একটি ভালো বাড়ি কেনার জন্য ১ কোটি টাকা যথেষ্ট নয়। একই পরিমাণ অর্থে বাবা-মা ভালো এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য ছেলে-মেয়েকে বিদেশে পাঠাতেও পারেন না। এমনকি নয়াদিল্লির মতো শহরের স্কুলেও নয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১০ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে