আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। তাদের মতে, এই উদ্যোগ শিল্পায়নকে ব্যাহত এবং নতুন বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করে দেশের কর্মসংস্থানকে সংকুচিত করবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সংকটের কারণে শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন-বকেয়া এবং কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে শিল্প খাত আরও সংকটের দিকে ধাবিত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তে শিল্পোদ্যোক্তারা আরও গভীর সমস্যার সম্মুখীন হবেন, যা দেশের শিল্পক্ষেত্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের নিজস্ব কার্যালয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি শিল্প কারখানায় গ্যাসের দাম এখন যা আছে, তা-ই বহাল রাখার অনুরোধ জানান।
সামিম আহমেদ বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো চুক্তি বা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। বর্তমানে শিল্প খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এই মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত চেষ্টা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্লাস্টিক খাতের জন্য গ্যাস ও এলএনজি বিষয়ে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে নতুন কূপ খননে বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং দ্রুততার সঙ্গে ১৫০টি কূপ খননের প্রস্তাব সমর্থন করা হয়। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানি করতে না পারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ব্যর্থতার উদাহরণ। প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে কোনো গ্যাস চুক্তি হয়নি; যা চীন ও থাইল্যান্ড সফলভাবে করতে পেরেছে। বর্তমান সরকারকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সংকট সমাধানে এলএনজি আমদানি থেকে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে আমদানি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে গ্যাসের বর্তমান মূল্য বজায় রাখার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের আরও গভীর চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। কারণ, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কঠিন করে তুলবে।
বিপিজিএমইএ উপদেষ্টা ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, হুট করে দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা কীভাবে ব্যবসা চালাবেন? তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতায় থাকবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের জন্য হওয়া উচিত এবং যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে খাতটি চলছে, সেভাবেই চলতে দেওয়া উচিত।
বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের মধ্যে এখনো ঘাপটি মেরে আছে পুরোনো দোসরেরা। তারা দেশের শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে এখনো লিপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী আনোয়ারুল হক, পরিচালক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, সাবেক পরিচালক ঝন্টু কুমার সাহা, ডিউরেবল প্লাস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌকিরুল আলম এবং আকিজ বায়াক্সের পরিচালক মফিজুল ইসলাম ইরাজ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। তাদের মতে, এই উদ্যোগ শিল্পায়নকে ব্যাহত এবং নতুন বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করে দেশের কর্মসংস্থানকে সংকুচিত করবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সংকটের কারণে শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন-বকেয়া এবং কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে শিল্প খাত আরও সংকটের দিকে ধাবিত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তে শিল্পোদ্যোক্তারা আরও গভীর সমস্যার সম্মুখীন হবেন, যা দেশের শিল্পক্ষেত্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের নিজস্ব কার্যালয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি শিল্প কারখানায় গ্যাসের দাম এখন যা আছে, তা-ই বহাল রাখার অনুরোধ জানান।
সামিম আহমেদ বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো চুক্তি বা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। বর্তমানে শিল্প খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এই মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত চেষ্টা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্লাস্টিক খাতের জন্য গ্যাস ও এলএনজি বিষয়ে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে নতুন কূপ খননে বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং দ্রুততার সঙ্গে ১৫০টি কূপ খননের প্রস্তাব সমর্থন করা হয়। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানি করতে না পারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ব্যর্থতার উদাহরণ। প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে কোনো গ্যাস চুক্তি হয়নি; যা চীন ও থাইল্যান্ড সফলভাবে করতে পেরেছে। বর্তমান সরকারকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সংকট সমাধানে এলএনজি আমদানি থেকে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে আমদানি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে গ্যাসের বর্তমান মূল্য বজায় রাখার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের আরও গভীর চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। কারণ, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কঠিন করে তুলবে।
বিপিজিএমইএ উপদেষ্টা ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, হুট করে দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা কীভাবে ব্যবসা চালাবেন? তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতায় থাকবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের জন্য হওয়া উচিত এবং যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে খাতটি চলছে, সেভাবেই চলতে দেওয়া উচিত।
বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের মধ্যে এখনো ঘাপটি মেরে আছে পুরোনো দোসরেরা। তারা দেশের শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে এখনো লিপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী আনোয়ারুল হক, পরিচালক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, সাবেক পরিচালক ঝন্টু কুমার সাহা, ডিউরেবল প্লাস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌকিরুল আলম এবং আকিজ বায়াক্সের পরিচালক মফিজুল ইসলাম ইরাজ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। তাদের মতে, এই উদ্যোগ শিল্পায়নকে ব্যাহত এবং নতুন বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করে দেশের কর্মসংস্থানকে সংকুচিত করবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সংকটের কারণে শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন-বকেয়া এবং কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে শিল্প খাত আরও সংকটের দিকে ধাবিত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তে শিল্পোদ্যোক্তারা আরও গভীর সমস্যার সম্মুখীন হবেন, যা দেশের শিল্পক্ষেত্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের নিজস্ব কার্যালয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি শিল্প কারখানায় গ্যাসের দাম এখন যা আছে, তা-ই বহাল রাখার অনুরোধ জানান।
সামিম আহমেদ বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো চুক্তি বা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। বর্তমানে শিল্প খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এই মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত চেষ্টা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্লাস্টিক খাতের জন্য গ্যাস ও এলএনজি বিষয়ে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে নতুন কূপ খননে বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং দ্রুততার সঙ্গে ১৫০টি কূপ খননের প্রস্তাব সমর্থন করা হয়। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানি করতে না পারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ব্যর্থতার উদাহরণ। প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে কোনো গ্যাস চুক্তি হয়নি; যা চীন ও থাইল্যান্ড সফলভাবে করতে পেরেছে। বর্তমান সরকারকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সংকট সমাধানে এলএনজি আমদানি থেকে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে আমদানি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে গ্যাসের বর্তমান মূল্য বজায় রাখার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের আরও গভীর চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। কারণ, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কঠিন করে তুলবে।
বিপিজিএমইএ উপদেষ্টা ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, হুট করে দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা কীভাবে ব্যবসা চালাবেন? তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতায় থাকবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের জন্য হওয়া উচিত এবং যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে খাতটি চলছে, সেভাবেই চলতে দেওয়া উচিত।
বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের মধ্যে এখনো ঘাপটি মেরে আছে পুরোনো দোসরেরা। তারা দেশের শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে এখনো লিপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী আনোয়ারুল হক, পরিচালক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, সাবেক পরিচালক ঝন্টু কুমার সাহা, ডিউরেবল প্লাস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌকিরুল আলম এবং আকিজ বায়াক্সের পরিচালক মফিজুল ইসলাম ইরাজ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। তাদের মতে, এই উদ্যোগ শিল্পায়নকে ব্যাহত এবং নতুন বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করে দেশের কর্মসংস্থানকে সংকুচিত করবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সংকটের কারণে শ্রমিক অসন্তোষ, বেতন-বকেয়া এবং কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে শিল্প খাত আরও সংকটের দিকে ধাবিত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তে শিল্পোদ্যোক্তারা আরও গভীর সমস্যার সম্মুখীন হবেন, যা দেশের শিল্পক্ষেত্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের নিজস্ব কার্যালয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি শিল্প কারখানায় গ্যাসের দাম এখন যা আছে, তা-ই বহাল রাখার অনুরোধ জানান।
সামিম আহমেদ বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো চুক্তি বা সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। বর্তমানে শিল্প খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহু শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এই মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ধ্বংসের একটি পরিকল্পিত চেষ্টা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্লাস্টিক খাতের জন্য গ্যাস ও এলএনজি বিষয়ে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে নতুন কূপ খননে বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং দ্রুততার সঙ্গে ১৫০টি কূপ খননের প্রস্তাব সমর্থন করা হয়। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানি করতে না পারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ব্যর্থতার উদাহরণ। প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে কোনো গ্যাস চুক্তি হয়নি; যা চীন ও থাইল্যান্ড সফলভাবে করতে পেরেছে। বর্তমান সরকারকে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সংকট সমাধানে এলএনজি আমদানি থেকে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে আমদানি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের স্বার্থে গ্যাসের বর্তমান মূল্য বজায় রাখার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের আরও গভীর চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। কারণ, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কঠিন করে তুলবে।
বিপিজিএমইএ উপদেষ্টা ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, হুট করে দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা কীভাবে ব্যবসা চালাবেন? তিনি প্রশ্ন তোলেন, এ সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতায় থাকবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের জন্য হওয়া উচিত এবং যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে খাতটি চলছে, সেভাবেই চলতে দেওয়া উচিত।
বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারের মধ্যে এখনো ঘাপটি মেরে আছে পুরোনো দোসরেরা। তারা দেশের শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে এখনো লিপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, কাজী আনোয়ারুল হক, পরিচালক সৈয়দ নাসির উদ্দিন, সাবেক পরিচালক ঝন্টু কুমার সাহা, ডিউরেবল প্লাস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌকিরুল আলম এবং আকিজ বায়াক্সের পরিচালক মফিজুল ইসলাম ইরাজ।

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৩ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাকে শিল্প ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
১২ ঘণ্টা আগে