স্থানীয় ঘাটতির শঙ্কা
রোকন উদ্দীন, ঢাকা
দেশের সম্ভাবনাময় চামড়াশিল্পে নতুন করে রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সরকার কাঁচা ও ওয়েট ব্লু (লবণযুক্ত, পশম ছাড়ানো) চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, যা চীন ও ভিয়েতনামের মতো বাজারে প্রবেশের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা ঢাকার পোস্তা এলাকার আড়তদারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন এবং আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চীনের কাছেও রপ্তানির প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যেখানে থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ২৫ মে থেকে ব্যবসায়ীরা কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছেন। তবে শুরুতে এ রপ্তানির পরিমাণ সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে, যাতে দেশীয় শিল্পে কাঁচামালের সংকট না দেখা দেয়, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানির পথ খুলে যায়।
১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশ থেকে ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি বন্ধ ছিল। ফলে আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ না থাকায় প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানিতেও জটিলতা তৈরি হয়; যার ফলে কোরবানির মৌসুমে উৎপাদিত বিপুল চামড়া স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের সমস্যা এবং বিপণনব্যবস্থার সংকটে পড়ে নষ্ট হয়ে যেত। এবারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একাধিক পদক্ষেপ নেয়, যেমন ঈদের আগে প্রতিটি জেলায় বিনা মূল্যে লবণ সরবরাহ এবং ঢাকার বাইরে থেকে চামড়া পরিবহনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা, যার ফলে বাজারে চামড়ার ভিড় কমে এবং পচনও কিছুটা রোধ করা সম্ভব হয়।
চামড়ার মান ধরে রাখতে সরকার ঢাকা, নাটোর ও চট্টগ্রামে কোল্ডস্টোরেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে, যাতে ওয়েট ব্লু চামড়া এক বছর পর্যন্ত সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়। এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে, যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে এবং চামড়া বিক্রি ন্যায্যমূল্যে নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে বছরে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার আয় হয় এবং সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এই আয় ৫ বিলিয়নে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ট্যানারিমালিকেরা এই রপ্তানিনীতিতে দ্বিধান্বিত। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বলছে, এ বছর পশু কোরবানির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৩ লাখ কম হওয়ায় চামড়া সংগ্রহ কম হয়েছে। তার ওপর রপ্তানি মূল্য বেশি হলে আড়তদারেরা অভ্যন্তরীণ বাজারের তুলনায় রপ্তানির দিকেই ঝুঁকবেন, ফলে স্থানীয় চামড়াশিল্পে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই খাত শুধু রপ্তানির ওপর নির্ভর করলে আমাদের ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হারানোর ঝুঁকি আছে। ওয়েট ব্লু চামড়ার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সহনীয় থাকলেও আমাদের নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) ভাইস চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘কাঁচা চামড়ার ঘাটতির কারণে উৎপাদন বন্ধ হলে আমাদের কারখানার মেশিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে রপ্তানি আয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য আশাবাদী, এই রপ্তানির সুযোগ চামড়াশিল্পের বাজারকে সচল রাখবে এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রপ্তানির সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণও হতে পারে।
দেশের সম্ভাবনাময় চামড়াশিল্পে নতুন করে রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সরকার কাঁচা ও ওয়েট ব্লু (লবণযুক্ত, পশম ছাড়ানো) চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, যা চীন ও ভিয়েতনামের মতো বাজারে প্রবেশের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা ঢাকার পোস্তা এলাকার আড়তদারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন এবং আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চীনের কাছেও রপ্তানির প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যেখানে থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ২৫ মে থেকে ব্যবসায়ীরা কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছেন। তবে শুরুতে এ রপ্তানির পরিমাণ সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে, যাতে দেশীয় শিল্পে কাঁচামালের সংকট না দেখা দেয়, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানির পথ খুলে যায়।
১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশ থেকে ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি বন্ধ ছিল। ফলে আন্তর্জাতিক লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদ না থাকায় প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানিতেও জটিলতা তৈরি হয়; যার ফলে কোরবানির মৌসুমে উৎপাদিত বিপুল চামড়া স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের সমস্যা এবং বিপণনব্যবস্থার সংকটে পড়ে নষ্ট হয়ে যেত। এবারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একাধিক পদক্ষেপ নেয়, যেমন ঈদের আগে প্রতিটি জেলায় বিনা মূল্যে লবণ সরবরাহ এবং ঢাকার বাইরে থেকে চামড়া পরিবহনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা, যার ফলে বাজারে চামড়ার ভিড় কমে এবং পচনও কিছুটা রোধ করা সম্ভব হয়।
চামড়ার মান ধরে রাখতে সরকার ঢাকা, নাটোর ও চট্টগ্রামে কোল্ডস্টোরেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে, যাতে ওয়েট ব্লু চামড়া এক বছর পর্যন্ত সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়। এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে, যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে এবং চামড়া বিক্রি ন্যায্যমূল্যে নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে বছরে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার আয় হয় এবং সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এই আয় ৫ বিলিয়নে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ট্যানারিমালিকেরা এই রপ্তানিনীতিতে দ্বিধান্বিত। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বলছে, এ বছর পশু কোরবানির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৩ লাখ কম হওয়ায় চামড়া সংগ্রহ কম হয়েছে। তার ওপর রপ্তানি মূল্য বেশি হলে আড়তদারেরা অভ্যন্তরীণ বাজারের তুলনায় রপ্তানির দিকেই ঝুঁকবেন, ফলে স্থানীয় চামড়াশিল্পে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই খাত শুধু রপ্তানির ওপর নির্ভর করলে আমাদের ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হারানোর ঝুঁকি আছে। ওয়েট ব্লু চামড়ার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সহনীয় থাকলেও আমাদের নিজস্ব উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) ভাইস চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘কাঁচা চামড়ার ঘাটতির কারণে উৎপাদন বন্ধ হলে আমাদের কারখানার মেশিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে রপ্তানি আয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য আশাবাদী, এই রপ্তানির সুযোগ চামড়াশিল্পের বাজারকে সচল রাখবে এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রপ্তানির সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণও হতে পারে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
২ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৫ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে