অর্চি হক, ঢাকা
‘আমার বড় ভাই এসএসএলে (সফটওয়্যার শপ লিমিটেড) চাকরি করেন। আপনার আটকে থাকা টাকা উনি পাইয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু শর্ত একটাই, টাকার ১০% উনাকে দিতে হবে।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কয়েকটি গ্রুপে এমনই কিছু খুদেবার্তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। বার্তাটি কে কাকে পাঠিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অর্থাৎ ই-কমার্সে প্রতারণা ঠেকাতে যেই এসক্রো সেবা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, তা এখন হয়ে উঠেছে প্রতারণার হাতিয়ার। এসক্রো এমন একটি সেবা, যেখানে একজন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের সময় যে মূল্য পরিশোধ করেন, তা জমা থাকে একটি তৃতীয় পক্ষের কাছে। ক্রেতা তাঁর কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা সেবা বুঝে পেয়েছেন এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পর সেই তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতাকে মূল্য পরিশোধ করেন। আর পণ্য দিতে ব্যর্থ হলে টাকা ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই এখন দাবি করছেন, এসক্রো সেবা দেওয়া পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতেই তাঁদের টাকা আটকে আছে। গ্রাহকেরা বলছেন, পণ্য না পাওয়ার পরেও এসক্রো সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে না। আর বিক্রেতা অর্থাৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পরেও তাঁরা টাকা বুঝে পাচ্ছেন না।
সম্প্রতি ইক্যাবে (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পাঠানো এক চিঠিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম জানায়, পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পরেও তাদের অন্তত ৬২০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি ফোস্টার। এর মধ্যে ৪২০ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে ৪ জুলাইয়ের পরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিক বলেন, ‘টাকা আটকে রাখার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানিও না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনেই আমরা কাজ করছি।’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ৪ জুলাই অগ্রিম পরিশোধ নিষিদ্ধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করলেও পেমেন্ট গেটওয়েগুলো জুন থেকেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের ৪৭৮ কোটি আটকে আছে এসএসএলে।
প্রদীপ সাহা নামে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহক বলেন, জুনের পর থেকে ক্রেতারা যত টাকা পরিশোধ করেছেন, তার একটা বড় অংশ এসএসএলে আটকে আছে। টাকা ফেরত পেতে যোগাযোগ করা হলে বলা হচ্ছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া তারা টাকা দেবে না।
এসএসএল, আমার পে, ফোস্টার সবার ব্যাপারেই এ ধরনের অভিযোগ এসেছে জানিয়ে ইক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ‘লিখিত এবং মৌখিকভাবে অনেকে অভিযোগ করেছেন ডে গেটওয়ে তাদের টাকা ছাড়ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বসে আমরা এর সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
এসএসএলে আটকে থাকা টাকা পেতে ১০ শতাংশ কমিশনের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার আলম তিনি বলেন, ‘কারা এসব ছড়াচ্ছে আমরাও তাদের খুঁজছি। সবকিছুর হিসাব আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে দিচ্ছি। এখানে অনৈতিক কিছু করার অবকাশ নেই।’
এ ছাড়া ৫ জুলাইয়ের আগের কোনো টাকা তাদের কাছে আটকে নেই এবং এরপরের কিছু পেমেন্ট থাকলেও সেই অঙ্কটা ৪৭৮ কোটির মতো বড় নয় বলে দাবি করেন তিনি।
‘আমার বড় ভাই এসএসএলে (সফটওয়্যার শপ লিমিটেড) চাকরি করেন। আপনার আটকে থাকা টাকা উনি পাইয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু শর্ত একটাই, টাকার ১০% উনাকে দিতে হবে।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কয়েকটি গ্রুপে এমনই কিছু খুদেবার্তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। বার্তাটি কে কাকে পাঠিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অর্থাৎ ই-কমার্সে প্রতারণা ঠেকাতে যেই এসক্রো সেবা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, তা এখন হয়ে উঠেছে প্রতারণার হাতিয়ার। এসক্রো এমন একটি সেবা, যেখানে একজন ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের সময় যে মূল্য পরিশোধ করেন, তা জমা থাকে একটি তৃতীয় পক্ষের কাছে। ক্রেতা তাঁর কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা সেবা বুঝে পেয়েছেন এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পর সেই তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতাকে মূল্য পরিশোধ করেন। আর পণ্য দিতে ব্যর্থ হলে টাকা ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই এখন দাবি করছেন, এসক্রো সেবা দেওয়া পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতেই তাঁদের টাকা আটকে আছে। গ্রাহকেরা বলছেন, পণ্য না পাওয়ার পরেও এসক্রো সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে না। আর বিক্রেতা অর্থাৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পরেও তাঁরা টাকা বুঝে পাচ্ছেন না।
সম্প্রতি ইক্যাবে (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পাঠানো এক চিঠিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম জানায়, পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পরেও তাদের অন্তত ৬২০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানি ফোস্টার। এর মধ্যে ৪২০ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে ৪ জুলাইয়ের পরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিক বলেন, ‘টাকা আটকে রাখার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানিও না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনেই আমরা কাজ করছি।’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ৪ জুলাই অগ্রিম পরিশোধ নিষিদ্ধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করলেও পেমেন্ট গেটওয়েগুলো জুন থেকেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের ৪৭৮ কোটি আটকে আছে এসএসএলে।
প্রদীপ সাহা নামে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের এক গ্রাহক বলেন, জুনের পর থেকে ক্রেতারা যত টাকা পরিশোধ করেছেন, তার একটা বড় অংশ এসএসএলে আটকে আছে। টাকা ফেরত পেতে যোগাযোগ করা হলে বলা হচ্ছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া তারা টাকা দেবে না।
এসএসএল, আমার পে, ফোস্টার সবার ব্যাপারেই এ ধরনের অভিযোগ এসেছে জানিয়ে ইক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ‘লিখিত এবং মৌখিকভাবে অনেকে অভিযোগ করেছেন ডে গেটওয়ে তাদের টাকা ছাড়ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বসে আমরা এর সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
এসএসএলে আটকে থাকা টাকা পেতে ১০ শতাংশ কমিশনের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার আলম তিনি বলেন, ‘কারা এসব ছড়াচ্ছে আমরাও তাদের খুঁজছি। সবকিছুর হিসাব আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে দিচ্ছি। এখানে অনৈতিক কিছু করার অবকাশ নেই।’
এ ছাড়া ৫ জুলাইয়ের আগের কোনো টাকা তাদের কাছে আটকে নেই এবং এরপরের কিছু পেমেন্ট থাকলেও সেই অঙ্কটা ৪৭৮ কোটির মতো বড় নয় বলে দাবি করেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
২ ঘণ্টা আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
৪ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
৪ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভিন্ন। এখানকার রাস্তা, আবহাওয়া আর ট্রাফিকের ধরন গাড়ির ইঞ্জিনের ওপর বেশ লোড বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি বাজারে নিয়ে এসেছে Mobil Super™ All-In-One Protection 0 W-16।
৭ ঘণ্টা আগে