আজিজুল হক, বেনাপোল
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। দুর্গোৎসবের আগে এ নিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের চাহিদার প্রস্তাবও বিবেচনায় নিচ্ছে সরকার। তবে প্রতিবছর দেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ ভারতে রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, বৈধ পথে তার অর্ধেকও যাচ্ছে না। এ কারণে কোনো বছরই ভারতে ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। গত পাঁচ অর্থবছর অব্যাহতভাবে লক্ষ্যমাত্রার বিচ্যুতি ঘটেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ১৮ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় রপ্তানি হয় মাত্র ১ হাজার ৬৯৯ টন। ২০২১-২২ এ ৫২ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৮০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ রপ্তানি হয় মাত্র ১ হাজার ২৩০ টন। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৫০ টনের বিপরীতে রপ্তানি হয় ১ হাজার ৩৯১ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয় মাত্র ৮০২ টন।
অন্যদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর সরকার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির জন্য ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে গত ১২ অক্টোবর শেষ হয়ে যায় রপ্তানির সময়সীমা। কিন্তু সময়ের মধ্যে অনুমোদিত ২৯ প্রতিষ্ঠান এক কেজি ইলিশও রপ্তানি করতে পারেনি। বাকি ২০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৩২ টন।
বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসওয়াদুল আলম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ২ হাজার ৪২০ টন। রপ্তানি হয়েছে ৫৩২ টন।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ইলিশের সংকট আর দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ এবার রপ্তানি করতে পারেনি অনেকে। তদুপরি যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিণতি। তাই বলে ভারতে ইলিশ যাওয়া থেমেও থাকছে না। বেশির ভাগই যাচ্ছে অবৈধ পথে। তার কম-বেশি প্রমাণও রয়েছে কাষ্টমসের হাতে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ জানান, সক্ষমতা যাচাই করে ইলিশ রপ্তানিকারক বরাদ্দ না দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না।
ব্যবসায়ী রুবেল জানান, অনিয়ম করে প্রচুর ইলিশ গেছে ভারতে। এ কারণে বৈধ পথে ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ এত কম হচ্ছে।
জানা যায়, আগে ইলিশ সাধারণ রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উন্মুক্ত ছিল। পরে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ২০১২ সালে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় শুধু দুর্গাপূজায় ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেয় সরকার।
সূত্রগুলোর দাবি, কাগজপত্রে প্রতিবছর ইলিশ রপ্তানি কম হচ্ছে। যদিও চাহিদার বেশি ইলিশ যাচ্ছে ভারতে। বেশি লাভের আশায় রপ্তানিকারকেরা পরিমাণে কম দেখিয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি করছে। সম্প্রতি এই অভিযোগে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এর মধ্যে রুপালি সি ফুডসকে ৬০০ কেজির বেশি ইলিশ পাঠানোর অপরাধে ৭০ হাজার টাকা এবং সততা ফিশকে ৭০ হাজার টাকা শাস্তিমূলক জরিমানা করে বেনাপোল কাস্টমস। পণ্য চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করাচ্ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্স ও রাহাত ট্রেডার্স।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। দুর্গোৎসবের আগে এ নিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের চাহিদার প্রস্তাবও বিবেচনায় নিচ্ছে সরকার। তবে প্রতিবছর দেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ ভারতে রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, বৈধ পথে তার অর্ধেকও যাচ্ছে না। এ কারণে কোনো বছরই ভারতে ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। গত পাঁচ অর্থবছর অব্যাহতভাবে লক্ষ্যমাত্রার বিচ্যুতি ঘটেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ১৮ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় রপ্তানি হয় মাত্র ১ হাজার ৬৯৯ টন। ২০২১-২২ এ ৫২ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৮০ টন অনুমোদনের বিপরীতে ইলিশ রপ্তানি হয় মাত্র ১ হাজার ২৩০ টন। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৫০ টনের বিপরীতে রপ্তানি হয় ১ হাজার ৩৯১ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভারতে রপ্তানি হয় মাত্র ৮০২ টন।
অন্যদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর সরকার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির জন্য ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে গত ১২ অক্টোবর শেষ হয়ে যায় রপ্তানির সময়সীমা। কিন্তু সময়ের মধ্যে অনুমোদিত ২৯ প্রতিষ্ঠান এক কেজি ইলিশও রপ্তানি করতে পারেনি। বাকি ২০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৩২ টন।
বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসওয়াদুল আলম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে এ বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ২ হাজার ৪২০ টন। রপ্তানি হয়েছে ৫৩২ টন।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ইলিশের সংকট আর দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ এবার রপ্তানি করতে পারেনি অনেকে। তদুপরি যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিণতি। তাই বলে ভারতে ইলিশ যাওয়া থেমেও থাকছে না। বেশির ভাগই যাচ্ছে অবৈধ পথে। তার কম-বেশি প্রমাণও রয়েছে কাষ্টমসের হাতে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ জানান, সক্ষমতা যাচাই করে ইলিশ রপ্তানিকারক বরাদ্দ না দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না।
ব্যবসায়ী রুবেল জানান, অনিয়ম করে প্রচুর ইলিশ গেছে ভারতে। এ কারণে বৈধ পথে ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ এত কম হচ্ছে।
জানা যায়, আগে ইলিশ সাধারণ রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উন্মুক্ত ছিল। পরে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ২০১২ সালে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় শুধু দুর্গাপূজায় ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেয় সরকার।
সূত্রগুলোর দাবি, কাগজপত্রে প্রতিবছর ইলিশ রপ্তানি কম হচ্ছে। যদিও চাহিদার বেশি ইলিশ যাচ্ছে ভারতে। বেশি লাভের আশায় রপ্তানিকারকেরা পরিমাণে কম দেখিয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি করছে। সম্প্রতি এই অভিযোগে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
এর মধ্যে রুপালি সি ফুডসকে ৬০০ কেজির বেশি ইলিশ পাঠানোর অপরাধে ৭০ হাজার টাকা এবং সততা ফিশকে ৭০ হাজার টাকা শাস্তিমূলক জরিমানা করে বেনাপোল কাস্টমস। পণ্য চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করাচ্ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্স ও রাহাত ট্রেডার্স।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০ মিনিট আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৯ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১৩ ঘণ্টা আগে