নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তারল্যসংকটে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের গ্রাহকেরা টাকা পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা না পেয়ে ব্যাংকটি এখন গ্রাহকদের চেক ফেরত দিচ্ছে। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে অনেক শাখার ব্যবস্থাপক ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় মাসের পর মাস ঘুরেও টাকা পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। ইতালিপ্রবাসী আফসার উদ্দিন ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখায় এক মাসে তিনবার গিয়েও টাকা পাননি বলে জানিয়েছেন। এমনকি ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজারকেও তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। আফসার উদ্দিনের সঙ্গে গতকাল রোববার দুপুরে কথা হয় দিলকুশায়। তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৮৮ সালের পর থেকে এই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করছি। আগে কুয়েতে থাকতাম, বর্তমানে ইতালিতে থাকি। আমার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮ লাখ টাকা রয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে তিনবার এসেছি, তবে এখনো টাকা পাইনি।’
আফসার আরও বলেন, ‘টাকা পাব, এমনটাই বলা হচ্ছে ব্যাংক থেকে। ব্যাংকে ঝামেলা চলছে বলেও কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আমি যতবার এসেছি, কখনো এই শাখার ম্যানেজারকে পাইনি। যখনই আসি তখনই বলা হয়, ম্যানেজার বাইরে চলে গেছেন।’
ব্যাংকের মতিঝিল শাখার গ্রাহক শিবলি মাহমুদের সঙ্গে কথা হয় পুরানা পল্টনে। তিনি বলেন, ‘এই ব্যাংকে দুই বছর আগে ৩ লাখ টাকা রেখেছিলাম। হঠাৎ করে শুনতেছি, ব্যাংকটি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। তাই ১৫ দিন আগে এসেছিলাম টাকা তুলতে।
ব্যাংক থেকে বলা হয়েছিল কয়েক দিন পরে আসার জন্য। এরপর আজকে (রোববার) আবার এসেছি। তবে ব্যাংকটির এই শাখা থেকে টাকা দিতে পারছে না, শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।’
ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই সংকটের জন্য উল্টো দুষছেন বাংলাদেশ ব্যাংককে। তাঁদের দাবি, বিপৎকালীন সহায়তা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য ব্যাংকের বেলায় ভিন্ন আচরণ করে। চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকার পরও টাকা পাচ্ছে কিছু বিশেষ ব্যাংক।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ জানান, তাঁরা আগে কখনো এমন সংকটে পড়েননি। তিনি অবশ্য অজুহাত দেখিয়ে বলেন, সবাই একসঙ্গে টাকা তুলতে আসছে, তাই সমস্যা আরও কঠিন হচ্ছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ব্যাংকটির মৌলভীবাজার শাখার গ্রাহক আব্দুল হামিদ মাহবুব টাকা তুলতে গেলে তাঁকে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। ওই শাখায় তাঁর ১ লাখ টাকা জমা ছিল। তিনি ৫৫ হাজার টাকার চেক নিয়ে গেলে শাখার ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে কোনো টাকা নেই। সেদিন ওই শাখার আরও অন্তত ১৫ জন আমানতকারীর একই অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। আব্দুল হামিদ মাহবুব দুই দিন পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা নিয়ে ওই শাখা থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা পান।
রাজধানীর পরিস্থিতিও একই রকম। গতকাল পল্টন ও কারওয়ান বাজার শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে টাকা তোলার জন্য আসা আমানতকারীদের ফেরত যেতে হচ্ছিল খালি হাতেই। তাঁরা কথা বলতে চেয়েও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেখা পাচ্ছিলেন না।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাপক তারল্যসংকটে পড়ে গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জামানতমুক্ত তারল্য সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি টাকা চেয়েছিল আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ইতিমধ্যে ব্যাংকটির ৪২৫ কোটি টাকা দেনা হয়েছে। ফলে আবেদনের দুই সপ্তাহ পরে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টকে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। কারণ, এটি তারল্যসংকটের কারণে কার্যত বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকটি আমানত, মূলধনের ঘাটতি, উচ্চ খেলাপি ঋণ এবং তারল্যসংকটের কারণে পদ্ধতিগত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ব্যাংকটি সম্পর্কে অবগত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়েছে যে ব্যাংকটির কাছে এমন কোনো জামানত নেই, যার বিপরীতে এটি অন্যান্য ইসলামি ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে নগদ অর্থ ধার করতে পারে। এমনকি ব্যাংকটির কর্মীদের বেতনও ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষের দিকে ব্যাংকটি ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়ে। তাদের মোট ৭৯০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণের ৮৭ শতাংশই খারাপ ঋণ।
আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ৩৩টি শাখায় ৩৫০ কর্মী আছেন। ব্যাংকটির এমডি মুহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তারল্য সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি। তাই সমস্যা মোকাবিলা কঠিন হচ্ছে। তবে আমি আশা করি, এ মাসের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে।’
জানা যায়, ২০২২ সালের শেষে ব্যাংকটিতে আমানত ছিল ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৪৪ কোটি টাকা ফ্রোজেন ডিপোজিট। আল-বারাকা ব্যাংক নামে এটির যাত্রা ১৯৮৭ সালে। ১৯৯৪ সালে এটি ‘সমস্যাযুক্ত ব্যাংকে’ পরিণত হয়। এরপর ২০০৪ সালে এটি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক নামে বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। তবে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দেয়। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ৩৪টি মামলা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক এটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষার জন্য ব্যাংকে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। ২০০৭ সালের আগস্টে ব্যাংকটির অধিকাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক রাখা হয়।
তারল্যসংকটে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের গ্রাহকেরা টাকা পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা না পেয়ে ব্যাংকটি এখন গ্রাহকদের চেক ফেরত দিচ্ছে। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে অনেক শাখার ব্যবস্থাপক ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় মাসের পর মাস ঘুরেও টাকা পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। ইতালিপ্রবাসী আফসার উদ্দিন ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখায় এক মাসে তিনবার গিয়েও টাকা পাননি বলে জানিয়েছেন। এমনকি ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজারকেও তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। আফসার উদ্দিনের সঙ্গে গতকাল রোববার দুপুরে কথা হয় দিলকুশায়। তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৮৮ সালের পর থেকে এই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করছি। আগে কুয়েতে থাকতাম, বর্তমানে ইতালিতে থাকি। আমার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮ লাখ টাকা রয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে তিনবার এসেছি, তবে এখনো টাকা পাইনি।’
আফসার আরও বলেন, ‘টাকা পাব, এমনটাই বলা হচ্ছে ব্যাংক থেকে। ব্যাংকে ঝামেলা চলছে বলেও কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আমি যতবার এসেছি, কখনো এই শাখার ম্যানেজারকে পাইনি। যখনই আসি তখনই বলা হয়, ম্যানেজার বাইরে চলে গেছেন।’
ব্যাংকের মতিঝিল শাখার গ্রাহক শিবলি মাহমুদের সঙ্গে কথা হয় পুরানা পল্টনে। তিনি বলেন, ‘এই ব্যাংকে দুই বছর আগে ৩ লাখ টাকা রেখেছিলাম। হঠাৎ করে শুনতেছি, ব্যাংকটি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। তাই ১৫ দিন আগে এসেছিলাম টাকা তুলতে।
ব্যাংক থেকে বলা হয়েছিল কয়েক দিন পরে আসার জন্য। এরপর আজকে (রোববার) আবার এসেছি। তবে ব্যাংকটির এই শাখা থেকে টাকা দিতে পারছে না, শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে।’
ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই সংকটের জন্য উল্টো দুষছেন বাংলাদেশ ব্যাংককে। তাঁদের দাবি, বিপৎকালীন সহায়তা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য ব্যাংকের বেলায় ভিন্ন আচরণ করে। চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকার পরও টাকা পাচ্ছে কিছু বিশেষ ব্যাংক।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ জানান, তাঁরা আগে কখনো এমন সংকটে পড়েননি। তিনি অবশ্য অজুহাত দেখিয়ে বলেন, সবাই একসঙ্গে টাকা তুলতে আসছে, তাই সমস্যা আরও কঠিন হচ্ছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ব্যাংকটির মৌলভীবাজার শাখার গ্রাহক আব্দুল হামিদ মাহবুব টাকা তুলতে গেলে তাঁকে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। ওই শাখায় তাঁর ১ লাখ টাকা জমা ছিল। তিনি ৫৫ হাজার টাকার চেক নিয়ে গেলে শাখার ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে কোনো টাকা নেই। সেদিন ওই শাখার আরও অন্তত ১৫ জন আমানতকারীর একই অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। আব্দুল হামিদ মাহবুব দুই দিন পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা নিয়ে ওই শাখা থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা পান।
রাজধানীর পরিস্থিতিও একই রকম। গতকাল পল্টন ও কারওয়ান বাজার শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে টাকা তোলার জন্য আসা আমানতকারীদের ফেরত যেতে হচ্ছিল খালি হাতেই। তাঁরা কথা বলতে চেয়েও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেখা পাচ্ছিলেন না।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাপক তারল্যসংকটে পড়ে গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জামানতমুক্ত তারল্য সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি টাকা চেয়েছিল আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ইতিমধ্যে ব্যাংকটির ৪২৫ কোটি টাকা দেনা হয়েছে। ফলে আবেদনের দুই সপ্তাহ পরে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টকে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। কারণ, এটি তারল্যসংকটের কারণে কার্যত বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকটি আমানত, মূলধনের ঘাটতি, উচ্চ খেলাপি ঋণ এবং তারল্যসংকটের কারণে পদ্ধতিগত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ব্যাংকটি সম্পর্কে অবগত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়েছে যে ব্যাংকটির কাছে এমন কোনো জামানত নেই, যার বিপরীতে এটি অন্যান্য ইসলামি ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে নগদ অর্থ ধার করতে পারে। এমনকি ব্যাংকটির কর্মীদের বেতনও ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষের দিকে ব্যাংকটি ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়ে। তাদের মোট ৭৯০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণের ৮৭ শতাংশই খারাপ ঋণ।
আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ৩৩টি শাখায় ৩৫০ কর্মী আছেন। ব্যাংকটির এমডি মুহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তারল্য সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি। তাই সমস্যা মোকাবিলা কঠিন হচ্ছে। তবে আমি আশা করি, এ মাসের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে।’
জানা যায়, ২০২২ সালের শেষে ব্যাংকটিতে আমানত ছিল ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৪৪ কোটি টাকা ফ্রোজেন ডিপোজিট। আল-বারাকা ব্যাংক নামে এটির যাত্রা ১৯৮৭ সালে। ১৯৯৪ সালে এটি ‘সমস্যাযুক্ত ব্যাংকে’ পরিণত হয়। এরপর ২০০৪ সালে এটি ওরিয়েন্টাল ব্যাংক নামে বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। তবে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে দেয়। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ৩৪টি মামলা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক এটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষার জন্য ব্যাংকে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। ২০০৭ সালের আগস্টে ব্যাংকটির অধিকাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক রাখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৮ মিনিট আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৫ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৫ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৫ ঘণ্টা আগে