বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা প্রতিবেদন-২০২৩ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বেশ কয়েক ধাপ এগিয়েছে। পাশাপাশি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে সক্ষম বাংলাদেশিদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ সালে যেখানে বাংলাদেশের ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারত না, সেখানে ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ১২ কোটি ১৮ লাখ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৯ লাখে। অর্থাৎ পাঁচ বছরে ১ কোটিরও বেশি মানুষ এই সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পর ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান। ২০১৭ সালে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারত না ভুটানে। ২০২১ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ২ শতাংশে। বেশ খানিকটা উন্নতি করেছে ভারতও। ২০১৭ সালে ভারতের প্রায় ৭৯ শতাংশ (৭৮.৮ শতাংশ) মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণে অক্ষম ছিল। পাঁচ বছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ইরানকেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা হয়েছে। দেশটির এই সূচকে অবনতি হয়েছে। ২০১৭ সালে যেখানে দেশটির মাত্র ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণে অক্ষম ছিল, সেখানে পাঁচ বছরের ব্যবধানে দেশটির ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষ সেই কাতারে চলে গেছে।
তবে উন্নতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের। ২০১৭ সালে দেশটির মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু পাঁচ বছর পরে এসে দেশটির সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশে। একই ধারায়, অর্থাৎ সূচকে উন্নতি করেছে নেপালও। দেশটির ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য থেকে বঞ্চিত ছিল ২০১৭ সালে, কিন্তু ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশে।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে এখনো বিপুল পরিমাণ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ২০২১ সালে পাকিস্তানে প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত ছিল। অথচ পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ৮১ শতাংশ।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও নিজ জনগণকে সুষম খাদ্য দিতে কসুর করেনি। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য পেত না। পাঁচ বছরে সেই সংখ্যা কমেছে বেশ। ২০২১ সালেও দেশটির ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য পেত।
বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা প্রতিবেদন-২০২৩ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বেশ কয়েক ধাপ এগিয়েছে। পাশাপাশি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে সক্ষম বাংলাদেশিদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭ সালে যেখানে বাংলাদেশের ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারত না, সেখানে ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ১২ কোটি ১৮ লাখ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৯ লাখে। অর্থাৎ পাঁচ বছরে ১ কোটিরও বেশি মানুষ এই সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে মাছ চাষের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পর ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান। ২০১৭ সালে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারত না ভুটানে। ২০২১ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ২ শতাংশে। বেশ খানিকটা উন্নতি করেছে ভারতও। ২০১৭ সালে ভারতের প্রায় ৭৯ শতাংশ (৭৮.৮ শতাংশ) মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণে অক্ষম ছিল। পাঁচ বছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ইরানকেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা হয়েছে। দেশটির এই সূচকে অবনতি হয়েছে। ২০১৭ সালে যেখানে দেশটির মাত্র ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণে অক্ষম ছিল, সেখানে পাঁচ বছরের ব্যবধানে দেশটির ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষ সেই কাতারে চলে গেছে।
তবে উন্নতি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের। ২০১৭ সালে দেশটির মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু পাঁচ বছর পরে এসে দেশটির সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশে। একই ধারায়, অর্থাৎ সূচকে উন্নতি করেছে নেপালও। দেশটির ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য থেকে বঞ্চিত ছিল ২০১৭ সালে, কিন্তু ২০২১ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশে।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে এখনো বিপুল পরিমাণ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ২০২১ সালে পাকিস্তানে প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত ছিল। অথচ পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ৮১ শতাংশ।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও নিজ জনগণকে সুষম খাদ্য দিতে কসুর করেনি। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য পেত না। পাঁচ বছরে সেই সংখ্যা কমেছে বেশ। ২০২১ সালেও দেশটির ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ সুষম খাদ্য পেত।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৪ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৪ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১২ ঘণ্টা আগে