নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হলে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কোনো ক্রেতা পাওয়া যাবে না। কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন শ্রমিকেরা যে খেয়ে পরে আছে, ওই পরিমাণ মজুরি বাড়ালে তাঁরা সেটিও আর পাবেন না।
জাতিসংঘের অতি দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত অলিভিয়ের ডি শ্যুটারের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
গত ৩০ মে বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অলিভিয়ের ডি শ্যুটার বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে রাখার মধ্যে থাকতে পারে না।’
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে আজ শুক্রবার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ।
সংবাদ সম্মেলনে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে অলিভিয়ের ডি শ্যুটারের ওই মন্তব্যের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ইনি (অলিভিয়ের ডি শ্যুটার) কি জানেন না যে, কালকে শ্রমিকদের বেতন ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার করে দিলে পরের দিন আমি (পোশাক খাত) আর অর্ডার পাব না। তৈরি পোশাক কারকানা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন যে ৮ হাজার টাকা পাচ্ছে, সেই টাকাটাও শ্রমিকেরা পাবে না। এখন তো খেতে পায় কিছু, তখন তো কোনো খাবারই পাবে না।’
বিবিসি বাংলার সঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে অলিভিয়ের ডি শ্যুটার আরও বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকেরা এখন যে ৮ হাজার টাকা বেতন পান, সেটি তাঁদের ন্যায্য বেতনের এক–তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে রাখার জন্য শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে রাখা হয়। এই বেতন দিয়ে শ্রমিকদের পক্ষে ন্যূনতম সম্মানজনক জীবন নির্বাহ করা সম্ভব না। তৈরি পোশাক খাতে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে রাখার মধ্যে থাকতে পারে না।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমি জানি উনি (অলিভিয়ের ডি শ্যুটার) অনেক কথা বলে গেছে। অনেক প্রেসক্রিপশন দিয়ে গেছে। আমি একটা কথা বলি, স্টেডিয়ামে বসে অনেক কথা বলা যায়...এই ভাবে মারলে গোল হতো...চার হতো...করলে ক্যাচটা ধরতে পারত। কিন্তু মাঠে যে খেলছে সে জানে ক্যাচটা কেন ধরতে পারেনি। কষ্টটা কোথায় ছিল বা আউট করতে পারে নাই কেন। ছয় মারতে পারে নাই কেন।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা জানি কী করতে হবে। তাঁদের অনেক প্ল্যাটফর্মে আমি কথা বলেছি। তোমরা ফেয়ার ওয়েজের কথা বলো, কিন্তু এথিক্যাল সোর্সিংয়ের কথা কেন বল না? তোমরা (তৈরি পোশাকের) ফেয়ার প্রাইসের কথা বলো না কেন? এথিক্যাল প্রাইসের কথা বলা না কেন? ওনারা আমাদের খাওয়ায়ে দেবে না, পরিয়েও দেবে না।’
পরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমালোচনা করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু কি সমাধান করতে পেরেছে? কয়জনকে ফেরত পাঠাতে পেরেছে? কয় বছর হলো? তারা চায়, রোহিঙ্গারা এখানে থাকুক। তাদের জন্য ফান্ড আসবে সেখান থেকে...আমি আর বলতে চাই না এই ব্যাপারে।’
বিকল্প কর্মসংস্থা না থাকার কারণে শ্রমিকেরা কম মজুরিতে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে—অলিভিয়ের ডি শ্যুটারের এই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যেই জিনিসটা বলতে চাই, আমাদের যে শ্রমিকেরা আছে তারা এই দেশের মানুষ। আমরা চেষ্টা করছি, করে যাচ্ছি তাদের মজুরি বাড়াতে। আমাদের দেশে চায়নার মতো ফোর্সড লেবার নেই।’
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হলে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের কোনো ক্রেতা পাওয়া যাবে না। কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন শ্রমিকেরা যে খেয়ে পরে আছে, ওই পরিমাণ মজুরি বাড়ালে তাঁরা সেটিও আর পাবেন না।
জাতিসংঘের অতি দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত অলিভিয়ের ডি শ্যুটারের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
গত ৩০ মে বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অলিভিয়ের ডি শ্যুটার বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে রাখার মধ্যে থাকতে পারে না।’
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে আজ শুক্রবার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ।
সংবাদ সম্মেলনে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে অলিভিয়ের ডি শ্যুটারের ওই মন্তব্যের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ইনি (অলিভিয়ের ডি শ্যুটার) কি জানেন না যে, কালকে শ্রমিকদের বেতন ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার করে দিলে পরের দিন আমি (পোশাক খাত) আর অর্ডার পাব না। তৈরি পোশাক কারকানা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন যে ৮ হাজার টাকা পাচ্ছে, সেই টাকাটাও শ্রমিকেরা পাবে না। এখন তো খেতে পায় কিছু, তখন তো কোনো খাবারই পাবে না।’
বিবিসি বাংলার সঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে অলিভিয়ের ডি শ্যুটার আরও বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকেরা এখন যে ৮ হাজার টাকা বেতন পান, সেটি তাঁদের ন্যায্য বেতনের এক–তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিদেশি ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে রাখার জন্য শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে রাখা হয়। এই বেতন দিয়ে শ্রমিকদের পক্ষে ন্যূনতম সম্মানজনক জীবন নির্বাহ করা সম্ভব না। তৈরি পোশাক খাতে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে রাখার মধ্যে থাকতে পারে না।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমি জানি উনি (অলিভিয়ের ডি শ্যুটার) অনেক কথা বলে গেছে। অনেক প্রেসক্রিপশন দিয়ে গেছে। আমি একটা কথা বলি, স্টেডিয়ামে বসে অনেক কথা বলা যায়...এই ভাবে মারলে গোল হতো...চার হতো...করলে ক্যাচটা ধরতে পারত। কিন্তু মাঠে যে খেলছে সে জানে ক্যাচটা কেন ধরতে পারেনি। কষ্টটা কোথায় ছিল বা আউট করতে পারে নাই কেন। ছয় মারতে পারে নাই কেন।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা জানি কী করতে হবে। তাঁদের অনেক প্ল্যাটফর্মে আমি কথা বলেছি। তোমরা ফেয়ার ওয়েজের কথা বলো, কিন্তু এথিক্যাল সোর্সিংয়ের কথা কেন বল না? তোমরা (তৈরি পোশাকের) ফেয়ার প্রাইসের কথা বলো না কেন? এথিক্যাল প্রাইসের কথা বলা না কেন? ওনারা আমাদের খাওয়ায়ে দেবে না, পরিয়েও দেবে না।’
পরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমালোচনা করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু কি সমাধান করতে পেরেছে? কয়জনকে ফেরত পাঠাতে পেরেছে? কয় বছর হলো? তারা চায়, রোহিঙ্গারা এখানে থাকুক। তাদের জন্য ফান্ড আসবে সেখান থেকে...আমি আর বলতে চাই না এই ব্যাপারে।’
বিকল্প কর্মসংস্থা না থাকার কারণে শ্রমিকেরা কম মজুরিতে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে—অলিভিয়ের ডি শ্যুটারের এই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যেই জিনিসটা বলতে চাই, আমাদের যে শ্রমিকেরা আছে তারা এই দেশের মানুষ। আমরা চেষ্টা করছি, করে যাচ্ছি তাদের মজুরি বাড়াতে। আমাদের দেশে চায়নার মতো ফোর্সড লেবার নেই।’
রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগী সক্ষম করতে আইএমএফের পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে প্রভাব পড়বে উৎপাদন ও সেবা খাতে।
১৭ মিনিট আগেবিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
১ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম ব্যবহারের জন্য পূবালী, যমুনা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
১১ ঘণ্টা আগে