জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ঋণখেলাপিদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে হালনাগাদ করা হচ্ছে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটা। এতে বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও সিআইবির হালনাগাদ সফটওয়্যারে আপলোড করা হবে। আর সিআইবির তালিকাভুক্ত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের খেলাপিরাও দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপিদের মতো নতুন ঋণ পাবেন না। একই সঙ্গে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়বেন। এ ছাড়া খেলাপির কারণে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রার্থীও হতে পারবেন না।
বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানি আইনে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানিকে সিআইবিতে খেলাপি হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই। কিন্তু সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের এক নির্দেশনার আলোকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সিআইবির ডেটাবেইস সফটওয়্যারে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মূলত কানাডা, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চেক প্রজাতন্ত্র ও রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের কাছ খেলাপি হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সামিট পাওয়ার, এসএস পাওয়ার, বেক্সিমকো ও দেশবন্ধুসহ ১১টি কোম্পানি বিদেশে প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সিআইবিতে তালিকাভুক্তির কাজ আগামী সেপ্টেম্বরে হতে পারে। সফটওয়্যার হালনাগাদ হলে পর্যায়ক্রমে বিদেশের প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি হওয়া সবার তালিকা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, জার্মানি থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ৩৩ মিলিয়ন ইউরো ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। বেক্সিমকোকে দেওয়া ৩৩ মিলিয়ন ইউরোর ইসিএ টার্ম লোন আদায়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিডা) চিঠি দিয়েছে আইএনজি ব্যাংকের জার্মান শাখা। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেড জার্মানিতেও ঋণখেলাপি হয়েছে। এদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের চেকোস্লোভেন্সকা ওবখোদিনি বানকা (চেকোস্লোভাকিয়ার বাণিজ্যিক ব্যাংক) থেকে নেওয়া ৪ দশমিক ১০ মিলিয়ন ইউরোর ইসিএ কাভার্ড বায়ার্স ক্রেডিট পরিশোধে ‘সহযোগিতা না করার’ অভিযোগে দেশবন্ধু গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি চিঠি পাঠিয়েছে দিল্লিতে অবস্থিত চেক প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস। এ ছাড়া সামিট পাওয়ার ও এসএস পাওয়ার সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকের কাছে খেলাপি। এর বাইরে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশের ঋণ শোধ না করায় খেলাপি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি ১ হাজার ৯৪২ কোটি ডলার। আর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাড়ে ১৫ বছরে সরকার প্রায় ৮৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ করে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। আর গত জুলাইতে বিদেশি ঋণ ছিল ১০ হাজার ৩৭৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, সরকারের নিজের ঋণের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং এ ধরনের অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর নেওয়া বিদেশি ঋণও শেষপর্যন্ত সরকারকে পরিশোধ করতে হয়। এসব ঋণের ক্ষেত্রে সরকার গ্যারান্টি দিয়েছে। ঋণ নেওয়ার সময় চুক্তিতে যদিও বলা হয়ে থাকে যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে এ অর্থ নিয়েছে এবং তাদের সেটি ফেরত দিতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, যখন কিস্তি পরিশোধের সময় আসে, তখন অনেক ক্ষেত্রে তারা এটি পরিশোধ করতে পারে না এবং তখন সরকারকেই সেটি পরিশোধ করতে হয়। এটিই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ফলে সার্বিকভাবে সুদাসলে সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে।
জানা গেছে, গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈদেশিক ঋণ বা সরবরাহ ঋণ যাচাই কমিটির সভায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ঋণসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এরপর গভর্নর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপিদের তালিকা সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি, পরিদর্শন, অফ সাইট, অন সাইট, আইটি, সচিব বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের খেলাপিদের নিয়ে কাজ করছেন। একই সঙ্গে সিআইবিতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের একটি বিশেষ ঘরে তালিকাভুক্তির কাজ করা হচ্ছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোর তুলনায় মাল্টিন্যাশনাল ও বিদেশি কোম্পানিগুলো কমপ্লায়েন্সের (নিয়মনীতি মানা) ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে। দেশি কোম্পানির তুলনায় বিদেশি কোম্পানির খেলাপির হারও কম। তাই এ ধরনের বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ ইতিবাচক। আর এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর দেশীয় ও বিদেশি কোম্পানির মধ্যে এ ধরনের বৈষম্য রাখার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ১৯৮০ সালের ‘বিদেশি ব্যক্তি মালিকানাধীন বিনিয়োগ (উৎসাহ ও সুরক্ষা) আইন’-এ বলা আছে, সরকার দেশীয় ও বিদেশি ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগের মধ্যে ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক আচরণ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পালাবদলের পর গভর্নর ব্যাংক খাতের কল্যাণে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপির বিষয়ে তিনি কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করেছেন। বিদেশি পাওনা পরিশোধে জোর তাগিদ দিয়েছেন। দেশি, বিদেশি ও ইচ্ছাকৃত সব খেলাপিকে সিআইবির ডেটাবেইসে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কোনো খেলাপি ঋণ বা ব্যাংকের পরিচালক কিংবা জনপ্রতিনিধি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ঋণখেলাপিদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে হালনাগাদ করা হচ্ছে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটা। এতে বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও সিআইবির হালনাগাদ সফটওয়্যারে আপলোড করা হবে। আর সিআইবির তালিকাভুক্ত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের খেলাপিরাও দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপিদের মতো নতুন ঋণ পাবেন না। একই সঙ্গে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়বেন। এ ছাড়া খেলাপির কারণে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রার্থীও হতে পারবেন না।
বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানি আইনে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি ব্যক্তি বা কোম্পানিকে সিআইবিতে খেলাপি হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই। কিন্তু সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের এক নির্দেশনার আলোকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সিআইবির ডেটাবেইস সফটওয়্যারে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মূলত কানাডা, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চেক প্রজাতন্ত্র ও রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের কাছ খেলাপি হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সামিট পাওয়ার, এসএস পাওয়ার, বেক্সিমকো ও দেশবন্ধুসহ ১১টি কোম্পানি বিদেশে প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সিআইবিতে তালিকাভুক্তির কাজ আগামী সেপ্টেম্বরে হতে পারে। সফটওয়্যার হালনাগাদ হলে পর্যায়ক্রমে বিদেশের প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি হওয়া সবার তালিকা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, জার্মানি থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ৩৩ মিলিয়ন ইউরো ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। বেক্সিমকোকে দেওয়া ৩৩ মিলিয়ন ইউরোর ইসিএ টার্ম লোন আদায়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিডা) চিঠি দিয়েছে আইএনজি ব্যাংকের জার্মান শাখা। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেড জার্মানিতেও ঋণখেলাপি হয়েছে। এদিকে, চেক প্রজাতন্ত্রের চেকোস্লোভেন্সকা ওবখোদিনি বানকা (চেকোস্লোভাকিয়ার বাণিজ্যিক ব্যাংক) থেকে নেওয়া ৪ দশমিক ১০ মিলিয়ন ইউরোর ইসিএ কাভার্ড বায়ার্স ক্রেডিট পরিশোধে ‘সহযোগিতা না করার’ অভিযোগে দেশবন্ধু গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি চিঠি পাঠিয়েছে দিল্লিতে অবস্থিত চেক প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস। এ ছাড়া সামিট পাওয়ার ও এসএস পাওয়ার সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকের কাছে খেলাপি। এর বাইরে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশের ঋণ শোধ না করায় খেলাপি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি ১ হাজার ৯৪২ কোটি ডলার। আর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাড়ে ১৫ বছরে সরকার প্রায় ৮৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ করে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। আর গত জুলাইতে বিদেশি ঋণ ছিল ১০ হাজার ৩৭৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, সরকারের নিজের ঋণের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং এ ধরনের অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর নেওয়া বিদেশি ঋণও শেষপর্যন্ত সরকারকে পরিশোধ করতে হয়। এসব ঋণের ক্ষেত্রে সরকার গ্যারান্টি দিয়েছে। ঋণ নেওয়ার সময় চুক্তিতে যদিও বলা হয়ে থাকে যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে এ অর্থ নিয়েছে এবং তাদের সেটি ফেরত দিতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, যখন কিস্তি পরিশোধের সময় আসে, তখন অনেক ক্ষেত্রে তারা এটি পরিশোধ করতে পারে না এবং তখন সরকারকেই সেটি পরিশোধ করতে হয়। এটিই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ফলে সার্বিকভাবে সুদাসলে সরকারের বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে।
জানা গেছে, গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈদেশিক ঋণ বা সরবরাহ ঋণ যাচাই কমিটির সভায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ঋণসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এরপর গভর্নর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপিদের তালিকা সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি, পরিদর্শন, অফ সাইট, অন সাইট, আইটি, সচিব বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের খেলাপিদের নিয়ে কাজ করছেন। একই সঙ্গে সিআইবিতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের একটি বিশেষ ঘরে তালিকাভুক্তির কাজ করা হচ্ছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোর তুলনায় মাল্টিন্যাশনাল ও বিদেশি কোম্পানিগুলো কমপ্লায়েন্সের (নিয়মনীতি মানা) ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে। দেশি কোম্পানির তুলনায় বিদেশি কোম্পানির খেলাপির হারও কম। তাই এ ধরনের বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ ইতিবাচক। আর এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর দেশীয় ও বিদেশি কোম্পানির মধ্যে এ ধরনের বৈষম্য রাখার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ১৯৮০ সালের ‘বিদেশি ব্যক্তি মালিকানাধীন বিনিয়োগ (উৎসাহ ও সুরক্ষা) আইন’-এ বলা আছে, সরকার দেশীয় ও বিদেশি ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগের মধ্যে ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক আচরণ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পালাবদলের পর গভর্নর ব্যাংক খাতের কল্যাণে নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপির বিষয়ে তিনি কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করেছেন। বিদেশি পাওনা পরিশোধে জোর তাগিদ দিয়েছেন। দেশি, বিদেশি ও ইচ্ছাকৃত সব খেলাপিকে সিআইবির ডেটাবেইসে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কোনো খেলাপি ঋণ বা ব্যাংকের পরিচালক কিংবা জনপ্রতিনিধি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১৭ ঘণ্টা আগেমাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
১ দিন আগেকয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে...
২ দিন আগেচট্টগ্রাম নগরীর হারিকেন ফ্যাক্টরি এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আনোয়ারা বেগম। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে রাস্তাঘাট, অলিগলি, ফ্লাইওভারের নিচে পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে। বছর দুয়েক আগেও তাঁর জীবনে ছিল শুধুই টানাপোড়েন—পরিশ্রমের বিনিময়ে মজুরি ছিল সামান্য। খাবার জুটত না ঠিকমতো, চিকিৎসা ছিল বিলাসিতা...
২ দিন আগে