যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।
এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।
এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাজ্যে আবাসন খাতে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের কয়েকজন মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর নামে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভারের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সম্পত্তির মোট মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি। এসব সম্পত্তি বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্য অবজারভার হলো পুরোনো ও প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গতকাল শনিবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই ব্যক্তিদের নামে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট থেকে সুবিশাল ম্যানশন। অধিকাংশ সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
মেফেয়ার এলাকায় গ্রোসভেনর স্কয়ারে সালমানের পরিবারের সদস্যদের সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। একই এলাকায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও একটি ফ্ল্যাট তাঁর মালিকানায় রয়েছে।
এ ছাড়া সালমানের আরেক ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের চারটি সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দী। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যে তিন শতাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৬ কোটি পাউন্ড।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে বলা হয়, বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এবং আদালতের নির্দেশে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে।
এদিকে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের লন্ডনের কেনসিংটনে পাঁচটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত করছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দেশটির ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এই অনুসন্ধানের ফলে যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচার ও সম্পত্তি কেনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
পূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
১ ঘণ্টা আগেদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়নের স্বার্থে রেমিট্যান্সসংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
১ ঘণ্টা আগেআপগ্রেড কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৪ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত টেলিটকের নম্বরে সব ধরনের রিচার্জ সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আজ রোববার (২২ জুন) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেএখন থেকে ভ্রমণ হবে আরও সাশ্রয়ী ও ঝামেলামুক্ত। দেশের জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ ও গ্রামীণফোনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে