নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাজারে (মানুষের হাতে) টাকার জোগান কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই লক্ষ্যে সুদহার বাড়িয়ে টাকার জোগান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার (রেপো রেট) দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুদহার বাড়বে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদ বাড়াবে ব্যাংকগুলো। বাড়তি সুদে অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর নতুন ঋণে আগ্রহ কমবে। এতে মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ কমে যাবে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে সুদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, নীতি সুদহার বাড়ানোর নতুন সিদ্ধান্ত আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটির পঞ্চম সভায় নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সোমবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নীতি সুদহার বাড়ানোর কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গভর্নর দায়িত্বে আসার পর দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ানো হলো সুদহার। এর আগে সাড়ে ৮ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছিল।
নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ওভারনাইট রেপো বা নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার শতকরা ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১১ শতাংশ করা হয়েছে। আর নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলো যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে, তখন তার সুদহার ঠিক হয় রেপোর (নীতি সুদহার) মাধ্যমে। আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে বাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে সুদ হারে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়, সেটাই মূলত ব্যাংক রেট। রেপো রেট বাড়ার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খরচ বাড়বে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বাড়াবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদ বাড়াবে ব্যাংকগুলো। এতে বাড়তি সুদে অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর নতুন ঋণে আগ্রহ কমবে। ফলে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমে যাবে। একটা পর্যায়ে মানুষের হাতে টাকা রাখার প্রবণতা কমবে। আর হাতে টাকা কমলে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। তখন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক টান পড়লে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ। জুলাইতে ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। তবে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১ শতাংশ, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতিকে সংকোচনমূলক করা দরকার। বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ বেশি হলে খরচ বাড়ে। যার প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়ে। আবার জনজীবনে ডলারের প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২০২২ সালের মে থেকে কয়েকবার সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দফায় পলিসি রেট বাড়িয়েছে। গত ৮ মে মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার ৮ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট নীতি সুদহার ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাজারে (মানুষের হাতে) টাকার জোগান কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই লক্ষ্যে সুদহার বাড়িয়ে টাকার জোগান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার (রেপো রেট) দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুদহার বাড়বে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদ বাড়াবে ব্যাংকগুলো। বাড়তি সুদে অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর নতুন ঋণে আগ্রহ কমবে। এতে মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ কমে যাবে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে সুদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, নীতি সুদহার বাড়ানোর নতুন সিদ্ধান্ত আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটির পঞ্চম সভায় নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সোমবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নীতি সুদহার বাড়ানোর কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গভর্নর দায়িত্বে আসার পর দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ানো হলো সুদহার। এর আগে সাড়ে ৮ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছিল।
নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ওভারনাইট রেপো বা নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার শতকরা ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১১ শতাংশ করা হয়েছে। আর নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলো যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে, তখন তার সুদহার ঠিক হয় রেপোর (নীতি সুদহার) মাধ্যমে। আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে বাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে সুদ হারে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়, সেটাই মূলত ব্যাংক রেট। রেপো রেট বাড়ার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খরচ বাড়বে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বাড়াবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদ বাড়াবে ব্যাংকগুলো। এতে বাড়তি সুদে অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর নতুন ঋণে আগ্রহ কমবে। ফলে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমে যাবে। একটা পর্যায়ে মানুষের হাতে টাকা রাখার প্রবণতা কমবে। আর হাতে টাকা কমলে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। তখন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক টান পড়লে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ। জুলাইতে ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। তবে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.১ শতাংশ, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতিকে সংকোচনমূলক করা দরকার। বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ বেশি হলে খরচ বাড়ে। যার প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়ে। আবার জনজীবনে ডলারের প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২০২২ সালের মে থেকে কয়েকবার সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দফায় পলিসি রেট বাড়িয়েছে। গত ৮ মে মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার ৮ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট নীতি সুদহার ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০ মিনিট আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৯ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১৩ ঘণ্টা আগে