নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ফেসবুকেই শুধু দেখি সবকিছুর দাম কমছে, বাজারে তো আলামত পাচ্ছি না।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে সাপ্তাহিক সওদাপাতি কিনতে আসা এনজিওকর্মী তামান্না আফরিন।
তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছেন, সরকার বদলের পর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বাজারে মাছ, মাংস, সবজি বা ডিম কোনো কিছুই তিনি এক মাস আগের তুলনায় কম দামে কিনতে পারেননি।
শুধু তামান্না আফরীন নন, আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও ও বনানী কাঁচাবাজারে একাধিক ক্রেতার কাছে এই একই অভিযোগ শোনা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল, ডাল, ডিম, পেঁয়াজ, রসুনের দাম এক মাসের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। কিছু সবজি এবং মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিনির দাম কমেছে। তবে মাছের দাম চলে গেছে সীমিত আয়ের ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
টিসিবির বাজারদরের তালিকা বলছে, গত ৩০ জুলাই কেজিপ্রতি স্বর্ণা জাতের মোটা চাল বিক্রি হয়েছিল ৫০-৫৪ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে দাম ২ শতাংশ বেড়ে কেজিপ্রতি ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই চাল। আর নাজিরশাইল ও পাইজাম জাতের চাল কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬৪-৮০ এবং ৫৫-৬০ টাকায়। তবে টিসিবির এই মূল্যের তুলনায় বাজারে আরও কিছুটা বেশি দামে চাল বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চালের মতোই বেড়েছে ডালের দামও। দেশি মসুর ডাল কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়ে ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ শতাংশ।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুলাই আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৯৫-১০০ টাকা। বর্তমানে সেই দাম ১০০-১১৫ টাকায় ঠেকেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, পটোল ৪০-৫০, ধুন্দুল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০, ঝিঙে ৬০, শসা ৬০-৬৫ ও ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত মাসের শেষে কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০০-২৬০ টাকা। আলুর দাম সামান্য কমে ৫২-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা ডজন। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১১৫০ টাকায়।
বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা এ জন্য বন্যাকে দায়ী করেছেন। গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৩০ টাকায়, তেলাপিয়া ২৩০-২৬০ টাকায়। এ ছাড়া চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০-২৮০ টাকা, ছোট রুই ২৮০-৩৫০, কাতল ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ইলিশ বরাবরের মতোই চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বনানী কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল আলীম বলেন, ‘বন্যায় সব ভাইসা গেছে। তাই মাছের দাম এখন একটু বেশি।’
ক্রেতারা বলছেন, সরকার পরিবর্তনের পরে কয়েক দিন বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছিল। তবে আবারও ব্যবসায়ীরা স্বরূপে ফিরেছেন।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার বদলেছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাঁদের অতিমুনাফার প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি।
নাজের হোসাইন বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পূর্বের মতোই তারা ভাবছেন, যেমন খুশি তেমন দাম হাঁকালেও প্রশাসন তাঁদের কিছুই করতে পারবে না। এ জন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানান তিনি।
‘ফেসবুকেই শুধু দেখি সবকিছুর দাম কমছে, বাজারে তো আলামত পাচ্ছি না।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে সাপ্তাহিক সওদাপাতি কিনতে আসা এনজিওকর্মী তামান্না আফরিন।
তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছেন, সরকার বদলের পর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বাজারে মাছ, মাংস, সবজি বা ডিম কোনো কিছুই তিনি এক মাস আগের তুলনায় কম দামে কিনতে পারেননি।
শুধু তামান্না আফরীন নন, আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও ও বনানী কাঁচাবাজারে একাধিক ক্রেতার কাছে এই একই অভিযোগ শোনা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল, ডাল, ডিম, পেঁয়াজ, রসুনের দাম এক মাসের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছে। কিছু সবজি এবং মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিনির দাম কমেছে। তবে মাছের দাম চলে গেছে সীমিত আয়ের ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
টিসিবির বাজারদরের তালিকা বলছে, গত ৩০ জুলাই কেজিপ্রতি স্বর্ণা জাতের মোটা চাল বিক্রি হয়েছিল ৫০-৫৪ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে দাম ২ শতাংশ বেড়ে কেজিপ্রতি ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই চাল। আর নাজিরশাইল ও পাইজাম জাতের চাল কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬৪-৮০ এবং ৫৫-৬০ টাকায়। তবে টিসিবির এই মূল্যের তুলনায় বাজারে আরও কিছুটা বেশি দামে চাল বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চালের মতোই বেড়েছে ডালের দামও। দেশি মসুর ডাল কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়ে ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ শতাংশ।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুলাই আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৯৫-১০০ টাকা। বর্তমানে সেই দাম ১০০-১১৫ টাকায় ঠেকেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, পটোল ৪০-৫০, ধুন্দুল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০, ঝিঙে ৬০, শসা ৬০-৬৫ ও ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত মাসের শেষে কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০০-২৬০ টাকা। আলুর দাম সামান্য কমে ৫২-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা ডজন। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১১৫০ টাকায়।
বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা এ জন্য বন্যাকে দায়ী করেছেন। গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৩০ টাকায়, তেলাপিয়া ২৩০-২৬০ টাকায়। এ ছাড়া চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০-২৮০ টাকা, ছোট রুই ২৮০-৩৫০, কাতল ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ইলিশ বরাবরের মতোই চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বনানী কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল আলীম বলেন, ‘বন্যায় সব ভাইসা গেছে। তাই মাছের দাম এখন একটু বেশি।’
ক্রেতারা বলছেন, সরকার পরিবর্তনের পরে কয়েক দিন বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছিল। তবে আবারও ব্যবসায়ীরা স্বরূপে ফিরেছেন।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার বদলেছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাঁদের অতিমুনাফার প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি।
নাজের হোসাইন বলেন, বাজার মনিটরিং না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পূর্বের মতোই তারা ভাবছেন, যেমন খুশি তেমন দাম হাঁকালেও প্রশাসন তাঁদের কিছুই করতে পারবে না। এ জন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানান তিনি।
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার সংযোগ কেটে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। নতুন আয়কর আইনে কর কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সেই লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠান আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ফাইভ-জি সেবা চালু এবং দেশের ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান করা হোটেলে আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
৬ ঘণ্টা আগেসমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক গবেষক রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাগরের সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দেশের উপকূলরেখা থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ সমুদ্রসীমা
৬ ঘণ্টা আগে