Ajker Patrika

ঋণের শর্তপূরণ: আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের লুকোচুরি

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ২৯
ঋণের শর্তপূরণ: আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের লুকোচুরি

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত বাস্তবায়নে লুকোচুরির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। শর্ত মানার ধারাবাহিকতায় আর্থিক খাতে সুশাসন ফেরাতে খেলাপি ঋণের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খেলাপি রাতারাতি কমানো যায় না বলে আইএমএফকে খেলাপি কম দেখাতে লুকোচুরি করছে ব্যাংকগুলো। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিসহায়তাকে পুঁজি করার অভিযোগ রয়েছে। নতুন নিয়মে দুই বছরের বেশি খেলাপি— এমন ৪৪ হাজার কোটি টাকা অবলোপনের সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি খেলাপিযোগ্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা নতুন করে পুনঃ তফসিলও করা হয়েছে। যার মোট পরিমাণ প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ আইএমএফকে দেওয়া খেলাপি থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ৬১টি ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণ ১৫ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১০ শতাংশ। আর সরকারি ব্যাংকগুলোর ৩ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণের খেলাপি ৬৫ হাজার ৭৯৭ কোটি, যা মোট খেলাপির প্রায় ২২ শতাংশ। পাশাপাশি মোট অবলোপন করা বকেয়ার পরিমাণ ৬৬ হাজার কোটি থেকে দুই বছর ধরে চলমান বকেয়া প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা খেলাপি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। আবার গত বছরের ৯ মাসে খেলাপিযোগ্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। ফলে গত সেপ্টেম্বর শেষে পুনঃ তফসিল করা ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। এই নতুন পুনঃ তফসিল ও অবলোপন করা বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোর অর্থঋণ আদালতের মামলায় আটকা অর্থ ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে আটকা রয়েছে ১১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। সব মিলে অর্থঋণ আদালতসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৪২ হাজার মামলায় ঝুলে রয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। আর অবলোপন করা ঋণের প্রায় ৪৪ হাজার কোটি এবং নতুন করে পুনঃ তফসিলের ১৯ হাজার কোটি টাকা আইএমএফকে দেওয়া তথ্য থেকে বাদ দেওয়া হবে।

bd-bankবাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক খাতে সংস্কারের জন্য দাবি ছিল ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠন করা। সেটি না করে রোডম্যাপ ঘোষণা করা করেছে। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে তারা প্রভাবশালী ও সরকারের নিকটজন। তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কতটুকু কঠোর হতে পারে, তা দেখার বিষয়। এসব করতে না পারলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে না।

এদিকে ব্যাংকবহির্ভূত ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) বিতরণ করা ঋণ ৭২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। খেলাপি ২১ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা বা ২৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পুনঃ তফসিল ও অবলোপন সুদ মওকুফ এটা খারাপ সংস্কৃতি। এ অবস্থায় খেলাপি কমবে কিন্তু ব্যাংকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে না। এখানে লুকোচুরি করা উচিত নয়। যা ঘটে, তা-ই প্রকাশ করতে হবে। তাতে নীতিমালা কার্যকর হচ্ছে না, তা বোঝা যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের ৭৫ লাখ গ্রাহকের আমানতের কী হবে, বিস্তারিত জানালেন গভর্নর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি

সংকটাপন্ন পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামি ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক। তাঁদের কাজ হবে ব্যবসা পরিচালনা, আইটি নিরাপত্তা, মানবসম্পদ বিভাগ নিয়ন্ত্রণ ও শাখার দায়িত্ব বণ্টন। মার্জারের পুরো প্রক্রিয়া শেষে নতুন ব্যাংকের নামে নতুন কার্যক্রম শুরু হবে। ব্যাংক অকার্যকর হলেও আগের নামেই এলসি, আমানত ও চেক নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন চৌধুরি, মো. কবির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংকের বোর্ড বাতিল হলেও গ্রাহকসেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। ব্যাংকগুলোর পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, এলসিসহ সব ধরনের কার্যক্রম আগের মতোই চলবে। পাঁচটি ব্যাংকের মোট ৭৫০টি শাখা ও ৭৫ লাখ আমানতকারী রয়েছে। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে চাই। ব্যাংকগুলো যেহেতু সরকারের অধীনে যাচ্ছে, তাই আমানতকারীদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হলেও যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁরাই শুধু অর্থ উত্তোলন করবেন। অযথা ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য ভিড় করবেন না।’

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর জানান, বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের আমানতের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শিগগির একটি নির্দেশনা জারি করবে। ইসলামি ব্যাংক তার টাকার জন্য মুনাফা পাবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব সরকার নিলেও বেসরকারি নিয়মেই চলবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনকাঠামোতে কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না। বিদ্যমান বেতনকাঠামো অনুযায়ী কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা পাবেন।

গভর্নর আরও বলেন, পাঁচ ইসলামি ব্যাংক মিলেই দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি ব্যাংক হবে। নতুন এ সমন্বিত ব্যাংকের পেইড-আপ ক্যাপিটাল হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা; যা বর্তমানে দেশের যেকোনো ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি।

শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন নেগেটিভ। তাই শেয়ারের ভ্যালু জিরো বিবেচনা করা হবে। কাউকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনযায়ী সব কোম্পানির মালিককে লভ্যাংশের পাশাপাশি ক্ষতির ভাগও নিতে হয়। কিন্তু আমরা এসব ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জরিমানা করছি না। শুধু শেয়ারমূল্যগুলো শূন্য বিবেচনা করছি। অন্য দেশে হলে তাদের থেকে জরিমানা আদায় করা হতো। এখন ব্যাংকগুলোর নেট অ্যাসেট ভ্যালু ঋণাত্বক ৩৫০ টাকা।’

গভর্নর আহসান মনসুর জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে বলেন, ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতকারীরা ১০০ শতাংশ টাকা তুলতে পারবেন। বড় অঙ্কের আমানতের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে উত্তোলনের সুযোগ থাকবে। এর বিস্তারিত পরে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে তিনি সবাইকে উদ্বেগে না পড়ে শুধু প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ তোলার অনুরোধ জানান।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের পর এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে কি না—জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, এটা দেশের স্বার্থে নেওয়া সিদ্ধান্ত। সরকার বদলালেও জনগণের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে। এটা সরকারের জন্য সহায়ক হবে।

আহসান মনসুর এস আলম ও নাসা গ্রুপের শেয়ারের বিষয়ে জানান, শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আদালতের রায় যখন হবে, তখন সেটা কার্যকর করা হবে। আদালতের রায় মেনে শেয়ারের অর্থ ব্যাংকের মূলধনে যোগ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে কারখানা চালু করল সিকা বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে সিকা বাংলাদেশের ফ্যাক্টরির উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে সিকা বাংলাদেশের ফ্যাক্টরির উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি সিকা বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন কারখানা চালু হলো নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে (এমআইইজেড)।

গত সোমবার (৩ নভেম্বর) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সুইস রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি উপস্থিত ছিলেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিশেষায়িত কেমিক্যাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিকা, নির্মাণ ও মোটরগাড়িশিল্পের জন্য বন্ডিং, সিলিং, ড্যাম্পিং, রিইনফোর্সিং এবং প্রোটেকশনের জন্য বিভিন্ন সিস্টেম, পণ্য উদ্ভাবন ও উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। শতাধিক দেশে সিকার সাবসিডিয়ারি ও ৪০০টির বেশি উৎপাদন কারখানা রয়েছে, যেখানে ৩৪ হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত আছেন।

এ সময় সিকা বাংলাদেশের প্রধান সঞ্জীবন রায় নন্দী বলেন, ‘সিকা বাংলাদেশ হলো সিকার ১০০তম সাবসিডিয়ারি। সিকা এখন বিশ্বজুড়ে সর্বত্র। আমাদের এই সফল বৈশ্বিক যাত্রায় টেকসই উন্নয়ন সব সময়ই উদ্ভাবনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। নির্মাণ খাত ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রেই সিকা দীর্ঘস্থায়িত্ব এবং শক্তি ও উপকরণের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের কনস্ট্রাকশন কেমিক্যালের বাজার বর্তমানে ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। সিকা বাংলাদেশে তাদের এই উৎপাদন ফ্যাক্টরি স্থাপনে প্রায় ৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক বিনিয়োগ করেছে।’

প্রায় ৮ হাজার ৯৪ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে নির্মিত এই নতুন ফ্যাক্টরিতে দুটি প্রোডাকশন লাইন (লিকুইড অ্যাডমিক্সচার, অন্যান্য কংক্রিট এসেনশিয়াল এবং পাউডারভিত্তিক পণ্য) রয়েছে। এই ফ্যাক্টরির মাধ্যমে দেশের স্থানীয় বাজারে সাপ্লাই চেইন ইফিসিয়েন্সি আরও বাড়বে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য দেশজুড়ে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ও প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও আরও বাড়বে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ ছাড়া সিকা বাংলাদেশ বাজারে একটি নতুন ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাইল অ্যাডহেসিভ নিয়ে আসতে যাচ্ছে। এই ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্টটি প্রচলিত মর্টারের তুলনায় অধিক দীর্ঘস্থায়ী ও বন্ডিং স্ট্রেন্থ দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডমিনেজ স্টিলের নরসিংদী কারখানা বন্ধ পেয়েছে ডিএসই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদীর কারখানা বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। তবে কোম্পানির সাভারের কারখানাটি চালু রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইর একটি পরিদর্শক দল সরেজমিন কোম্পানির নরসিংদী কারখানা পরিদর্শনে গেলে কারখানা বন্ধ পায়।

আজ বুধবার ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসই।

ডিএসই বলছে, সাধারণত নিয়মিতভাবে কোম্পানি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করছে না বা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ নেই—এমন কারণে কোম্পানি পরিদর্শন করে থাকে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এরই ধরাবাহিকতায় ৪ নভেম্বর ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদীর কারখানা পরিদর্শনে যায় ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল। তবে পরিদর্শনে গিয়ে তারা কারখানাটি বন্ধ পায়।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ডমিনেজ স্টিলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ২৬ লাখ। এর মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পূবালী ব্যাংক ও VISA ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পূবালী ব্যাংক পিএলসি ও VISA ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পূবালী ব্যাংক পিএলসি ও VISA ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

পূবালী ব্যাংক পিএলসি ও VISA ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রাইভেট লিমিটেড সম্প্রতি VISA কার্ড ও POS অধিগ্রহণ ব্যবসার প্রচার ও বিপণন এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্রোগ্রাম চালু করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী; VISA, বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ; ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান এবং (VISA) দক্ষিণ এশিয়া, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের পরিচালক আরিফুর রহমান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান মহাব্যবস্থাপক ও সিটিও (টিসি) ইন্দ্র মোহন সূত্রধর, আইসিটি অপারেশন ডিভিশনের প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিন, কার্ড অপারেশন ডিভিশনের প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার রায়, মহাব্যবস্থাপক ও সিএফও মোহাম্মদ লিটন মিয়া এফসিএ, উপমহাব্যবস্থাপক ও এডিসি বিভাগের প্রধান মো. রবিউল আলম, হেড অব কার্ড বিজনেস ডিভিশন ও উপমহাব্যবস্থাপক এন এম ফিরাজ কামালসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত