আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা ‘আনারসের রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। তবে এবার সেখানে পেঁপে চাষে বিপ্লব ঘটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে আনারসের দাম পড়ে গিয়ে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার অনেকেই আনারসের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে পেঁপে চাষ করেছেন। কেউ আবার লিজ নিয়ে শুধু পেঁপের বাগান করেছেন। উন্নত জাতের চারা রোপণ করায় প্রতিটি গাছ থেকেই চার-পাঁচ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
মধুপুরের গাছাবাড়ী, বেরীবাইদ, মির্জাবাড়ী, ভাইঘাট, ইদিলপুর, টেলকি, বেরিবাই, গারো বাজার, দোখলা, আলোকদিয়া, লাউফুলা, অরণখোলা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের মধ্যে পেঁপে চাষের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম অর্থকরী ফসল হলো আনারস। এই আনারসের দাম মাঝেমধ্যেই ব্যাপকভাবে ওঠানামা করায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরা আনারসের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে পেঁপে, আদা, হলুদ, কলা, লেবুসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে শুরু করেছেন, যাতে করে ক্ষতির শঙ্কা কম থাকে। এর মধ্যে পেঁপে চাষের প্রতি আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে নতুন অধিকাংশ আনারসের খেতেই পেঁপের চারা শোভা পাচ্ছে। অনেকেই আবার বিঘার পর বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুধু পেঁপের আবাদ করেছেন।
অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল হক ৩৩ বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করছেন। তিনি উচ্চফলনশীল জাতের পেঁপে আবাদ করে ব্যাপকভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। পেঁপে চাষে ইতিমধ্যে তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। তিনি বর্তমানে পেঁপে বাজারজাত করতে শুরু করেছেন।
আব্দুল হক জানান, মৌসুমের শুরুতেই কাঁচা পেঁপে ১ কোটি ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখনো গাছে গাছে প্রচুর পেঁপে ঝুলে রয়েছে। আগস্টের পরে পুনরায় নতুন করে পেঁপে আসতে শুরু করবে। ওই সময় পেঁপেগাছের পেছনে খুবই অল্প পরিমাণ ব্যয় হবে। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ার আশা করেন তিনি।
মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের শাহজাহান বলেন, আমি পাঁচ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। টপলেডি জাতের পেঁপের ফলন ভালো হয়েছে। পেঁপে বিক্রিতেও কোনো সমস্যা হয় না। দেশব্যাপী এর চাহিদা থাকায় পাইকারেরা খেতে এসেই ট্রাক বোঝাই করে পেঁপে নিয়ে যান। কোনো প্রকার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না।
মধুপুরের হাফিজুর রহমান ছয় বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করতে গিয়ে ব্যয় করেছেন ১০ লক্ষাধিক টাকা। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে তিনি অন্তত ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, ‘মধুপুরের মাটি ও আবহাওয়া সব ফসলের জন্যই উপযোগী। মধুপুরে আনারসের পাশাপাশি অর্থকরী ফসলের মধ্যে যুক্ত হয়েছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, ড্রাগনসহ বেশ কয়েকটি ফসল। এর মধ্যে ঝুঁকি কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় পেঁপের প্রতি কৃষকেরা ঝুঁকেছেন বেশি। তাঁরা উন্নত জাতের টপ লেডি, রেড লেডি, সুইট লেডি আবাদ করে থাকেন। চলতি মৌসুমে কৃষকেরা অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার পেঁপে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা ‘আনারসের রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। তবে এবার সেখানে পেঁপে চাষে বিপ্লব ঘটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে আনারসের দাম পড়ে গিয়ে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার অনেকেই আনারসের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে পেঁপে চাষ করেছেন। কেউ আবার লিজ নিয়ে শুধু পেঁপের বাগান করেছেন। উন্নত জাতের চারা রোপণ করায় প্রতিটি গাছ থেকেই চার-পাঁচ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
মধুপুরের গাছাবাড়ী, বেরীবাইদ, মির্জাবাড়ী, ভাইঘাট, ইদিলপুর, টেলকি, বেরিবাই, গারো বাজার, দোখলা, আলোকদিয়া, লাউফুলা, অরণখোলা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের মধ্যে পেঁপে চাষের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম অর্থকরী ফসল হলো আনারস। এই আনারসের দাম মাঝেমধ্যেই ব্যাপকভাবে ওঠানামা করায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরা আনারসের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে পেঁপে, আদা, হলুদ, কলা, লেবুসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে শুরু করেছেন, যাতে করে ক্ষতির শঙ্কা কম থাকে। এর মধ্যে পেঁপে চাষের প্রতি আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে নতুন অধিকাংশ আনারসের খেতেই পেঁপের চারা শোভা পাচ্ছে। অনেকেই আবার বিঘার পর বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুধু পেঁপের আবাদ করেছেন।
অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল হক ৩৩ বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করছেন। তিনি উচ্চফলনশীল জাতের পেঁপে আবাদ করে ব্যাপকভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। পেঁপে চাষে ইতিমধ্যে তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। তিনি বর্তমানে পেঁপে বাজারজাত করতে শুরু করেছেন।
আব্দুল হক জানান, মৌসুমের শুরুতেই কাঁচা পেঁপে ১ কোটি ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখনো গাছে গাছে প্রচুর পেঁপে ঝুলে রয়েছে। আগস্টের পরে পুনরায় নতুন করে পেঁপে আসতে শুরু করবে। ওই সময় পেঁপেগাছের পেছনে খুবই অল্প পরিমাণ ব্যয় হবে। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ার আশা করেন তিনি।
মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের শাহজাহান বলেন, আমি পাঁচ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। টপলেডি জাতের পেঁপের ফলন ভালো হয়েছে। পেঁপে বিক্রিতেও কোনো সমস্যা হয় না। দেশব্যাপী এর চাহিদা থাকায় পাইকারেরা খেতে এসেই ট্রাক বোঝাই করে পেঁপে নিয়ে যান। কোনো প্রকার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না।
মধুপুরের হাফিজুর রহমান ছয় বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করতে গিয়ে ব্যয় করেছেন ১০ লক্ষাধিক টাকা। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে তিনি অন্তত ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, ‘মধুপুরের মাটি ও আবহাওয়া সব ফসলের জন্যই উপযোগী। মধুপুরে আনারসের পাশাপাশি অর্থকরী ফসলের মধ্যে যুক্ত হয়েছে পেঁপে, কলা, পেয়ারা, ড্রাগনসহ বেশ কয়েকটি ফসল। এর মধ্যে ঝুঁকি কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় পেঁপের প্রতি কৃষকেরা ঝুঁকেছেন বেশি। তাঁরা উন্নত জাতের টপ লেডি, রেড লেডি, সুইট লেডি আবাদ করে থাকেন। চলতি মৌসুমে কৃষকেরা অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার পেঁপে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
২ মিনিট আগেগ্রাম আদালতে ছোটখাটো অভিযোগ নিষ্পত্তি হলে অনেক মামলা কম হবে। মানুষ স্বল্প সময়ে ও সহজে বিচার পাবে। আর এতে কমবে মামলাজটও। আজ বুধবার আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
৩ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর বাজারে সবুজ পাতা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি রেইনট্রিগাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, গাছটির বয়স ১৫০ বছর হবে। প্রাচীন গাছটি এখন কাটতে চাইছে প্রশাসন। তবে তাতে বাধ সেধেছেন এলাকাবাসী।
২৯ মিনিট আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক কাজী এনাম আহমেদকে যশোর ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার ক্রীড়া সংগঠকেরা। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন গ্যালারির নিচে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে