সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মেয়ে মেহেনাজ আফরি হুমায়রার (৯) চিরবিদায় মেনে নিতে পারছেন না মা সুমি আক্তার। তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে চারিদিকে অবাক তাকিয়ে থাকছেন, আবার মুহূর্তেই মূর্ছা যাচ্ছেন। বাড়ির উঠানে আর্তনাদ করছেন বৃদ্ধা দাদি। এদিকে মেয়ের কফিনে বারবার চুমু খেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানাচ্ছিলেন বাবা দেলোয়ার হোসাইন রানা।
আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া হুমায়রার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে এমন করুণ দৃশ্য। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহেনাজ আফরি হুমায়রার মৃত্যু হয়। হুমায়রা ওই এলাকার দেলোয়ার হোসাইনের একমাত্র মেয়ে। দেলোয়ার হোসাইন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। তবে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেলোয়ার হোসাইন ও তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার প্রাণে বেঁচে গেছেন।
শিশু হুমায়রার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটনায় হুমায়রার মৃত্যুর খবরটি সোমবার বিকেলেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যার পর থেকেই গ্রামের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। রাত আড়াইটার দিকে হুমায়রার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে কান্না ও আহাজারির শব্দে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সকলের প্রিয় ছোট্ট হুমায়রার মৃত্যু যেন এলাকাবাসীও মেনে নিতে পারছে না। হুমায়রার বাবা দেলোয়ার ও মা সুমি আক্তারের চোখের পানি যেন ফুরিয়ে গেছে। পরিচিতজন বন্ধুবান্ধবদের কোনো সান্ত্বনার বাণী যেনো তাঁদের নিভৃত করতে পারছে না।
হুমায়রার বৃদ্ধা দাদি আহাজারি করছেন, ‘আমার বোন (নাতনি হুমায়রা) ঈদের মধ্যে বাড়িতে আইছিলো। বাড়িজুইড়্যা কতো দৌড়াদৌড়ি খেলাধুলা করলো! ওইটাই ছিল আমার সঙ্গে শেষ দেহা। এরপরে গত সপ্তাহে মাত্র একবার ফোনে কথা কইছিলাম। গতকাল (সোমবার) সকালেও ফোনে কথা কইতে চাইছিলো, কিন্তু কবার পারিনাই। শেষ কথা না কইয়াই বোনে আমার চইল্যা গেল!’
হুমায়রার বাবা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘হুমায়রার ছুটি হয়েছিল। তাকে বলেছি, অপেক্ষা করো তোমার মা নিতে আসবে। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে-আমার স্ত্রী (সুমি) শ্রেণিকক্ষের কাছে যাওয়ার আগেই ওর সামনে দিয়ে বিমানটি আমার মেয়ের শ্রেণিকক্ষের ভেতর ঢুকে পড়েছে। সব ঘটনা আমার স্ত্রীর চোখের সামনেই ঘটেছে, তাঁকে কীভাবে সান্তনা দেব।’ তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান, শহরের ভেতরে যেনো আর কখনো বিমানের প্রশিক্ষণ না হয়।
এদিকে হুমায়রার দাদা আব্দুল বাছেদের আর্তনাদে উপস্থিত কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তিনি শুধু বলছেন, ‘এবার কুরবানির ঈদে দাদু এসেছিল। দাদু সারাক্ষণ আমার সঙ্গেই থাকতো। দাদু আর কোনোদিন আসবে না! আর আমাকে দাদু বলবে না!’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় হতেয়া গাবলের বাজারে হুমায়রার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে হুমায়রাকে দাফন করা হয়।
আরও খবর পড়ুন:
মেয়ে মেহেনাজ আফরি হুমায়রার (৯) চিরবিদায় মেনে নিতে পারছেন না মা সুমি আক্তার। তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে চারিদিকে অবাক তাকিয়ে থাকছেন, আবার মুহূর্তেই মূর্ছা যাচ্ছেন। বাড়ির উঠানে আর্তনাদ করছেন বৃদ্ধা দাদি। এদিকে মেয়ের কফিনে বারবার চুমু খেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানাচ্ছিলেন বাবা দেলোয়ার হোসাইন রানা।
আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া হুমায়রার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে এমন করুণ দৃশ্য। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহেনাজ আফরি হুমায়রার মৃত্যু হয়। হুমায়রা ওই এলাকার দেলোয়ার হোসাইনের একমাত্র মেয়ে। দেলোয়ার হোসাইন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। তবে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেলোয়ার হোসাইন ও তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার প্রাণে বেঁচে গেছেন।
শিশু হুমায়রার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটনায় হুমায়রার মৃত্যুর খবরটি সোমবার বিকেলেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যার পর থেকেই গ্রামের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। রাত আড়াইটার দিকে হুমায়রার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে কান্না ও আহাজারির শব্দে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সকলের প্রিয় ছোট্ট হুমায়রার মৃত্যু যেন এলাকাবাসীও মেনে নিতে পারছে না। হুমায়রার বাবা দেলোয়ার ও মা সুমি আক্তারের চোখের পানি যেন ফুরিয়ে গেছে। পরিচিতজন বন্ধুবান্ধবদের কোনো সান্ত্বনার বাণী যেনো তাঁদের নিভৃত করতে পারছে না।
হুমায়রার বৃদ্ধা দাদি আহাজারি করছেন, ‘আমার বোন (নাতনি হুমায়রা) ঈদের মধ্যে বাড়িতে আইছিলো। বাড়িজুইড়্যা কতো দৌড়াদৌড়ি খেলাধুলা করলো! ওইটাই ছিল আমার সঙ্গে শেষ দেহা। এরপরে গত সপ্তাহে মাত্র একবার ফোনে কথা কইছিলাম। গতকাল (সোমবার) সকালেও ফোনে কথা কইতে চাইছিলো, কিন্তু কবার পারিনাই। শেষ কথা না কইয়াই বোনে আমার চইল্যা গেল!’
হুমায়রার বাবা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘হুমায়রার ছুটি হয়েছিল। তাকে বলেছি, অপেক্ষা করো তোমার মা নিতে আসবে। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে-আমার স্ত্রী (সুমি) শ্রেণিকক্ষের কাছে যাওয়ার আগেই ওর সামনে দিয়ে বিমানটি আমার মেয়ের শ্রেণিকক্ষের ভেতর ঢুকে পড়েছে। সব ঘটনা আমার স্ত্রীর চোখের সামনেই ঘটেছে, তাঁকে কীভাবে সান্তনা দেব।’ তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান, শহরের ভেতরে যেনো আর কখনো বিমানের প্রশিক্ষণ না হয়।
এদিকে হুমায়রার দাদা আব্দুল বাছেদের আর্তনাদে উপস্থিত কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তিনি শুধু বলছেন, ‘এবার কুরবানির ঈদে দাদু এসেছিল। দাদু সারাক্ষণ আমার সঙ্গেই থাকতো। দাদু আর কোনোদিন আসবে না! আর আমাকে দাদু বলবে না!’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় হতেয়া গাবলের বাজারে হুমায়রার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে হুমায়রাকে দাফন করা হয়।
আরও খবর পড়ুন:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর বাজারে সবুজ পাতা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি রেইনট্রিগাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, গাছটির বয়স ১৫০ বছর হবে। প্রাচীন গাছটি এখন কাটতে চাইছে প্রশাসন। তবে তাতে বাধ সেধেছেন এলাকাবাসী।
১৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক কাজী এনাম আহমেদকে যশোর ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার ক্রীড়া সংগঠকেরা। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন গ্যালারির নিচে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
৪৪ মিনিট আগেফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. শামসুল আজম।
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাড়াইপাড়া সীমান্তে ঘাস কাটতে যাওয়া রবিনাশ নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৯৫-এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে