Ajker Patrika

ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে: চালু ১৮ কিমি, বাইক নিষিদ্ধ

  • বিদেশি নির্ভরশীলতা থেকে ক্রমেই মুক্ত হতে হবে: উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
  • এই অংশে কোনো ইউটার্ন থাকবে না।
  • উদ্বোধনী ফলকে নাম দেখে রেগে গেলেন উপদেষ্টা।
গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৩৩
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়ার পরের দৃশ্য। গতকাল গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস টোল প্লাজায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ খুলে দেওয়ার পরের দৃশ্য। গতকাল গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস টোল প্লাজায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ। গতকাল রোববার সকালে এই সড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সংযোগস্থল গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। কমবে সময় ব্যয়ও। তবে নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই অংশে কোনো ইউ টার্ন থাকছে না।

গতকাল সকালে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের এ অংশ উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সূত্র জানায়, ২০২২ সালের মে মাসে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে হস্তান্তরের সময়সীমা ২০২৬ সালের জুন।

উদ্বোধনের সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘বড় শহরগুলোতে এ রকম বাইপাস করতে হবে, যাতে যানজটমুক্ত রাখা যায়। তবে সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং টেকনোলজি বাড়াতে হবে। যেন বছর বছর সড়ক খারাপ না হয়। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি, সব রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, চলাচল করা যাচ্ছে না। সিলেট থেকে আমি প্রায় প্রতিদিন ফোন পাই রাস্তা খারাপের বিষয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব জায়গায়, সব সময় বলি আর কতকাল বাইরে থেকে লোক এনে রাস্তা বানানো হবে। কতকাল বাইরে থেকে লোক এসে সেতু, রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যাবে। এ জন্য আমাদের দেশের প্রকৌশলী দিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। আমাদের বিদেশি নির্ভরশীলতা থেকে ক্রমেই মুক্ত হতে হবে। আর আমাদের প্রকৌশলীরা যদি চান, ৩০-৪০ শতাংশ ব্যয় কমাতে পারেন।’

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১৮ কিলোমিটার অংশে আংশিকভাবে টোল আদায় শুরু হচ্ছে। যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে এটি দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি বিকল্প রুট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফলকে নাম দেখে উপদেষ্টার রাগ

এদিকে উদ্বোধনী ফলকে নিজের নাম লেখা দেখে রেগে গেলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় তিনি বলেন, ‘এখানে নাম আসল কীভাবে? এটি কি আমার বাপের টাকায় করছে? তাহলে এখানে আমার নাম দিয়েছ কেন? এই ফলকে আমার নাম থাকবে না। এটি ইমিডিয়েটলি চেঞ্জ করো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নাম থাকবে না। জাস্ট বাইপাস উদ্বোধন করা হয়েছে—এ কথা লেখা থাকবে। তা ছাড়া আর যারা কাজ করছে; মন্ত্রণালয় বা অন্যান্য বিষয় লেখা থাকবে।’

জানা গেছে, উদ্বোধনী বক্তৃতা শেষ করে ফিতা কেটে ফলক উদ্বোধন করতে যান উপদেষ্টা। উদ্বোধনী ফলকের কাছে গিয়ে হাত দিয়ে পর্দা সরিয়ে তিনি দেখতে পান, সেখানে উদ্বোধক হিসেবে তাঁর নাম লেখা রয়েছে। এটি দেখে তিনি অসন্তুষ্ট হন এবং রেগে যান।

উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে নাম আসল কীভাবে? কেন তোমরা জানো না, এখানে আমার নাম লেখা যাবে না?’ এ কথা বলে তিনি হাঁটতে শুরু করেন। এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, এ রকম নির্দেশনা আগে দেওয়া ছিল কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আগেই নির্দেশনা দেওয়া ছিল।’ পরে উপদেষ্টা উপস্থিত অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ফিতা কাটতে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুজিবুর মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
মুজিবুর মাঝি। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুজিবুর মাঝি (৪৫) নামে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার পূর্ব রতনপুর এলাকার একটি খাল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মুজিবুর মাঝি মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার বাঁধন সরকারের গ্যারেজে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার মুজিবুর লৌহজংয়ের মাওয়া যাওয়ার উদ্দেশে গ্যারেজ থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রাসেল মিয়া গতকাল রোববার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ সোমবার সকালে এলাকাবাসী ওই খালে হাত পা-বাঁধা অবস্থায় মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহাগ জানান, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জালাল উদ্দীন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জালাল উদ্দীন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গাজীপুরের শ্রীপুরে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান কৃষক জালাল উদ্দীন। পুরো ট্রেন তাঁর ওপর দিয়ে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তিনি। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত জালাল উদ্দীন (৪৫) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর আগে জালাল উদ্দীনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়ানো মোহনগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন। এ সময় তিনি ট্রেনে উঠতে দৌড় দেন। একই সময়ে স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটিও ছেড়ে দেয়। এ সময় পা পিছলে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে চলে যান তিনি। এর পরের ঘটনা বলতে পারেননি গুরুতর আহত জালাল উদ্দীন।

স্থানীয় দোকানি মনির হোসেন জানান, স্টেশনে দুটি ভিন্ন লাইনে দুটি ট্রেন দাঁড়ানো ছিল এবং একই সঙ্গে ট্রেন দুটি ছাড়া শুরু করে। হঠাৎ জালাল উদ্দীন এক নম্বর লাইনে দৌড়ালে পা পিছলে চোখের পলকে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায়। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরপরই স্টেশনের লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন এবং নিজের নাম-ঠিকানা বলতে পারছিলেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চরআগলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলু বলেন, রাতেই তিনি মারা গেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত ৯টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজন মানুষ জালাল উদ্দীন নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত্যুর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তা ছাড়া বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে এনসিপি নেতা পাটওয়ারীর কুশপুতুল পোড়াল জিয়া সাইবার ফোর্স

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১০
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করে সভায় অংশগ্রহণকারীরা।

নোয়াখালী জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর অর রশিদ আজাদ, নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম পলাশসহ আরও অনেকে।

এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সভায় বক্তারা বলেন, অদৃশ্য শক্তি ক্রমশ দৃশ্যমান হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। এ অপপ্রচার রুখে দিতে হলে বিএনপির জিয়া সাইবার ফোর্স ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের সঠিক তথ্য ছবি ও প্রমাণ দিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে এবং দল থেকে যাকে ধানের শীষ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সভা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে তরুণকে গুলি করে হত্যা, বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সিকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত তুহিন মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও বিএনপি নেতা আতিক মল্লিকের অনুসারী।

নিহতের চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান, রোববার রাতে তুহিন হাঁটার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এ সময় মুন্সিকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের অনুসারী লিটন ব্যাপারীর নেতৃত্বে পেছন থেকে তুহিনকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি করে। এ সময় তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ ছিল বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পিঠে ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত