হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হাসপাতালে না নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী সহকারী (আয়া) নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসবের সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এরপর গুরুতর অবস্থায় প্রসূতি মা কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলেছেন, 'অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।'
এদিকে মায়া রাণী নামের সেই আয়া বলছেন, 'গর্ভেই মৃত ছিল নবজাতক, মা মারা গেছেন ডায়রিয়ায়।' তবে রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন সেই প্রসূতির স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা ঘটে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কালাইলছেও এলাকায়।
জানা গেছে, উপজেলার কামালপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯টায় কাকাইলছেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে বলেন। কিন্তু তাসলিমার স্বামী রইছ উদ্দিন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত হয়ে মায়া রাণী বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই ওই প্রসূতি মৃত সন্তান প্রসব করেন।
অভিযোগ উঠছে, ওই নারীর সন্তান প্রসবের স্বাভাবিক তারিখ ছিল ২৯ অক্টোবর। এক মাসেরও বেশি সময় আগে সন্তান প্রসব করাতে বিভিন্ন অপচিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও সন্তান প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নিস্তেজ হয়ে পরেন প্রসূতি তাসলিমা। অবস্থার বেগতিক দেখে মায়া রাণী ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক মনির হোসেন বলেন, ‘শনিবার ভোর ৩টার দিকে ওই নারীকে খুবই খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাঁর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্তক্ষরণের কারণেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর আর কোনো সমস্যা ছিল না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মায়া রাণী বলেন, ‘ডেলিভারির সময় কোনো অপচিকিৎসা হয়নি। ডেলিভারি নরমাল হয়েছে। এ সময় কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি। তাঁর ডায়রিয়া ও বমি বেড়ে যাওয়ায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এ ছাড়া বাচ্চা গর্ভেই মৃত ছিল।’ বাড়িতে নিয়ে ডেলিভারি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় যেতে তাদের নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তাদের ও আশপাশের লোকজনের অনুরোধে আমি তাদের বাসায় যেতে দিই।’
এদিকে, মৃত প্রসূতির স্বামী রইছ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আমার স্ত্রী মারা গেছেন। আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
নাম না প্রকাশের শর্তে তাঁদের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘মায়া রাণী প্রায় সময়ই গর্ভবতী নারীদের তার বাসায় নিয়ে ডেলিভারি করান। এই প্রসূতি মারা যাওয়ার পর তাঁর স্বামী ও মায়া রাণীর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার কারণে তিনি কোথাও অভিযোগ করছেন না।’
হাসপাতালে না নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী সহকারী (আয়া) নিজ বাড়িতেই সন্তান প্রসবের সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এরপর গুরুতর অবস্থায় প্রসূতি মা কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলেছেন, 'অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।'
এদিকে মায়া রাণী নামের সেই আয়া বলছেন, 'গর্ভেই মৃত ছিল নবজাতক, মা মারা গেছেন ডায়রিয়ায়।' তবে রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন সেই প্রসূতির স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা ঘটে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কালাইলছেও এলাকায়।
জানা গেছে, উপজেলার কামালপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯টায় কাকাইলছেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে বলেন। কিন্তু তাসলিমার স্বামী রইছ উদ্দিন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত হয়ে মায়া রাণী বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই ওই প্রসূতি মৃত সন্তান প্রসব করেন।
অভিযোগ উঠছে, ওই নারীর সন্তান প্রসবের স্বাভাবিক তারিখ ছিল ২৯ অক্টোবর। এক মাসেরও বেশি সময় আগে সন্তান প্রসব করাতে বিভিন্ন অপচিকিৎসার কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও সন্তান প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নিস্তেজ হয়ে পরেন প্রসূতি তাসলিমা। অবস্থার বেগতিক দেখে মায়া রাণী ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক মনির হোসেন বলেন, ‘শনিবার ভোর ৩টার দিকে ওই নারীকে খুবই খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাঁর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্তক্ষরণের কারণেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর আর কোনো সমস্যা ছিল না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মায়া রাণী বলেন, ‘ডেলিভারির সময় কোনো অপচিকিৎসা হয়নি। ডেলিভারি নরমাল হয়েছে। এ সময় কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি। তাঁর ডায়রিয়া ও বমি বেড়ে যাওয়ায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এ ছাড়া বাচ্চা গর্ভেই মৃত ছিল।’ বাড়িতে নিয়ে ডেলিভারি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় যেতে তাদের নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তাদের ও আশপাশের লোকজনের অনুরোধে আমি তাদের বাসায় যেতে দিই।’
এদিকে, মৃত প্রসূতির স্বামী রইছ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আমার স্ত্রী মারা গেছেন। আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
নাম না প্রকাশের শর্তে তাঁদের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘মায়া রাণী প্রায় সময়ই গর্ভবতী নারীদের তার বাসায় নিয়ে ডেলিভারি করান। এই প্রসূতি মারা যাওয়ার পর তাঁর স্বামী ও মায়া রাণীর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার কারণে তিনি কোথাও অভিযোগ করছেন না।’
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়াকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে তীব্র ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘আপনারে কে এখানে বসাইছে, আমি তার কইলজা খুলিয়ালামু। আপনার কইলজাও খুলমু।’
৫ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছে জাপানের ১১০ সদস্যের একটি বিনিয়োগকারী দল। ব্র্যাক ইপিএলের উদ্যোগে জাপানি প্রতিনিধিদলটি সোনারগাঁয়ের অনন্য স্থাপত্যকীর্তি প্রাচীন পানাম নগর, বড় সরদারবাড়ি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর পরিদর্শন করে।
১৫ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘিতে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় আব্দুল মান্নান (৭০) নামের এক ব্যাটারিচালিত টমটমের চালক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খন্দকার নিশাত নামের স্কুলশিক্ষক আহত হন। আজ মঙ্গলবার সকালে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে
১ ঘণ্টা আগে