Ajker Patrika

‘ফুরির বাড়ি ইফতারি’: সুখ্যাতির প্রথা, নাকি বোঝা

জুয়েল আহমদ জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) 
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১১: ৫৯
‘ফুরির বাড়ি ইফতারি’: সুখ্যাতির প্রথা, নাকি বোঝা

সিলেটের মানুষের চালচলন, আতিথেয়তা, সংস্কৃতি, স্বতন্ত্র ঐতিহ্যের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে সুদূর বিদেশেও বিস্তৃত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর জনপদ সিলেট। রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য। স্বকীয়তায় এখানকার মানুষ উদ্ভাসিত। বিশেষ করে সিলেটের একান্ত আপন ঐতিহ্য হচ্ছে রমজান মাসে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ইফতারি নিয়ে যাওয়ার। সিলেটি আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ফুরির বাড়ি ইফতারি’। 

আঞ্চলিক সংস্কৃতি ধরে রাখতে রমজান এলেই সারা সিলেটের মতো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরেও ধুম পড়ে যায় ফুরির বাড়ি ইফতারি পাঠানোর। তবে যুগ-যুগান্তরের এ সংস্কৃতি নিয়ে বর্তমানে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা। সুশীল সমাজের প্রশ্ন, এ কি প্রথা, নাকি মেয়ের বাড়ির জন্য বোঝা?

প্রবীণদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অতিথি আপ্যায়নে সিলেটের মানুষের রয়েছে দারুণ খ্যাতি। তেমনি অতিথি হিসেবে কারও বাড়িতে যাওয়ার সময় নানা ধরনের মৌসুমি ফল-ফলাদি, মিষ্টি-মিঠাই বা পছন্দমতো যেকোনো জিনিস সঙ্গে করে নেওয়ার প্রচলনও এখানে অনেক পুরোনো। বিশেষ করে সিলেটের আঞ্চলিক নিয়ম অনুযায়ী, রমজান মাসে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ইফতারি নিয়ে যাওয়ার প্রথা দীর্ঘদিনের। 

তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিলেট অঞ্চল থেকে ফুরির বাড়ির ইফতারি দেওয়ার রেওয়াজে পরিবর্তন এসেছে অনেকটাই।
নারিকেলতলা গ্রামের প্রবীণ সালিসি ব্যক্তি আতিকউল্লাহ বলেন, ‘এটি আমাদের একটি সংস্কৃতি। বহু বছর ধরে চলছে। অনেক পরিবারই আনন্দের সঙ্গে এটি করে থাকে। তবে জুলুম করে নয়, যাঁর যাঁর সামর্থ্যানুযায়ী করা ভালো।’ 

জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরামের জ্যেষ্ঠ সদস্য আলী আহমদ বলেন, বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম, এতে ফুরির বাড়ি ইফতারি পাঠানো খুবই ব্যয়বহুল। ধনীরা দিতে পারেন। তাঁদের তো টাকার অভাব নেই, কিন্তু দরিদ্র পরিবারগুলোর পক্ষে এটি সম্ভব নয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজ ইচ্ছায় কেউই ফুরির বাড়ি ইফতারি পাঠান না! মেয়ের সম্মান রাখতে বা নির্যাতন থেকে বাঁচাতে এ ইফতারি পাঠানো হয়ে থাকে। 

জগন্নাথপুরের ইকড়ছই জামেয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রিপন বলেন, এটি এখন প্রথার চেয়ে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান আধুনিক যুগে এ প্রথা বন্ধ করা হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিরামপুরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে অটোরিকশাচালকের মৃত্যু

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের বিরামপুরে সড়কে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করার সময় পেছন থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আতিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ইজিবাইকচালক (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের ঢাকা মোড়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আতিয়ার রহমান দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক শাহাবাজপুর গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চালক আতিয়ার রহমান বিরামপুর পৌর শহরের ঢাকা মোড়ে তাঁর ইজিবাইক দাঁড় করে ফুলবাড়ী যেতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুরগামী একটি পণ্যবাহী ট্রাক পেছন থেকে ইজিবাইকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকচালক আতিয়ার রহমান ছিটকে সড়কের ওপর পড়ে যান। এ সময় ট্রাকটি তাঁর মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে, খবর পেয়ে বিরামপুর থানা-পুলিশ, বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আতিয়ার রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেন।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বিরামপুর ঢাকা মোড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আতিয়ার রহমান নামের এক ইজিবাইকচালক নিহত হন। ঘটনার পর ট্রাকচালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যান। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম ইপিজেডের কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে। হতাহত ও ক্ষতির বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

জেলার দক্ষিণ হালিশহরে অবস্থিত সিইপিজেডের ৯ তলা ভবনটিতে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে এক বিবৃতিতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, আজ বেলা ২টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম সিইপিজেডের লিংকরোডে একটি তোয়ালে কারখানায় আগুন লাগার খবর পায় তারা। খবর পেয়ে ২টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সাততলা একটি ভবনের পাঁচ, ছয় ও সাততলায় আগুন লেগেছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পাবনা প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা শহরের শালগাড়িয়া গোরস্থানপাড়ায় ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শালগাড়িয়া গোরস্থানপাড়া এলাকার বাসিন্দারা ডোবায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিন আগে তাঁকে কেউ হত্যা করে নির্জন ডোবায় ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, প্রাথমিক সুরতহালে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এটি হত্যাকাণ্ড কি না সে বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্ষতিপূরণসহ চার দফা দাবিতে বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ক্ষতিপূরণসহ চার দফা দাবিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ‘বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে খনি এলাকার পাথরাপাড়া গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ অননুমোদিত জায়গায় কয়লা তোলার কারণে পাথরাপাড়া গ্রামের বসতভিটা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট দেবে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে খনি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও, তারা শুধু নামমাত্র একটি জরিপ করে কয়েকটি ফাটল ধরা বাড়ির সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে গভীর রাতে গ্রামবাসী ঘুমাতে পারছেন না। যেকোনো মুহূর্তে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধসে পড়তে পারে।

কমিটির পক্ষ থেকে চারটি প্রধান দাবি তুলে ধরা হয়—

১. বাড়িঘরে ফাটল ও জায়গা দেবে যাওয়ার জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ স্থায়ী সুব্যবস্থা করতে হবে।

২. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করতে হবে।

৪. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।

সভাপতি নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে খনির পূর্বাংশে পাথরাপাড়া গ্রাম প্রায় এক থেকে দেড় ফুট জায়গা দেবে গেছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি এবং আমাদের আবাসস্থল নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। কখন কী ঘটে যাবে, আমরা কেউ বুঝতে পারছি না।’ তিনি জানান, গ্রামের পশ্চিমাংশে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ফুট জায়গা ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে, যা গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং খনি কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করা হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করছে না। তিনি প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান, এই দুরবস্থার স্থায়ী সমাধানের জন্য যেন খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে।

সভাপতি আরও বলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন যে বিগত দিনে আন্দোলন করে আমরা শুধু বাড়ি ফাটলের জন্য কিছু ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিলাম। বর্তমানে যে জায়গা দেবে যাচ্ছে, সে বিষয়ে তারা এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাইনিং জিএমকে বহুবার বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে তাঁদের চার দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে পরবর্তীকালে বৃহত্তর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।

এ সময় বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বড়পুকুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেলেনা খানমসহ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তালেব ফরাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কল গ্রহণ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত