নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরেকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ রোববার সকালে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আজ রোববার মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি ঘটনার সময় হবিগঞ্জে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বর্তমানে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার। শফিকুর রেজা বিশ্বাস হবিগঞ্জে তিন আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন। আসামিরা হলেন জয়নাল আবেদীন মুমিন, জমির আলী ও মো. তাজুল ইসলাম।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সারোয়ার হোসেন আবদাল আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হবিগঞ্জের সেই সময়ের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর রহমান বিশ্বাসের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ৪৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।’
আসামিদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি এ মামলার সংশোধিত চার্জশিটভুক্ত আসামি। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। কারাবন্দী আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) সদস্য মিজানুর রহমান মিঠু, বদরুল আলম মিজান, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমেদ, মুফতি মইন উদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা মফিজুর রহমান ওরফি অভি ও মুফতি আব্দুল হাই এবং জামিনে থাকা হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কিবরিয়া গউছ, জয়নাল আবেদীন জালাল, মো. আয়াত আলী, জমির আলী, তাজুল ইসলাম, কাজল মিয়া, আব্দুল জলিল, এ কে এস আবদুল কাইয়ুম ও জয়নাল আবেদীন মুমিন।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়।
২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তিন দফা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ প্রথম দফায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন বাদী মজিদ খান। ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবারও সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ জুন শাহ এ এম এস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া সেই অভিযোগপত্রের ওপরও নারাজি আবেদন করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ ছাড়া ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
হত্যা মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (মৃত), মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মো. বদরুল, মাওলানা তাজ উদ্দিন ও মো. মুহিবুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মিজানুর রহমান মিটু, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমদ আরিফ প্রকাশ নিমু, বদরুল আলম মিজান, মাওলানা শেখ ফরিদ আহমদ, আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মুহিবুল্লাহ ওরফে মুজিবুর রহমান প্রকাশ অভি ও মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম। এ ছাড়া সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌসসহ ১২ জন জামিনে আছেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরেকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ রোববার সকালে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আজ রোববার মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি ঘটনার সময় হবিগঞ্জে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বর্তমানে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার। শফিকুর রেজা বিশ্বাস হবিগঞ্জে তিন আসামির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন। আসামিরা হলেন জয়নাল আবেদীন মুমিন, জমির আলী ও মো. তাজুল ইসলাম।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সারোয়ার হোসেন আবদাল আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হবিগঞ্জের সেই সময়ের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর রহমান বিশ্বাসের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ৪৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।’
আসামিদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি এ মামলার সংশোধিত চার্জশিটভুক্ত আসামি। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। কারাবন্দী আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) সদস্য মিজানুর রহমান মিঠু, বদরুল আলম মিজান, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমেদ, মুফতি মইন উদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা মফিজুর রহমান ওরফি অভি ও মুফতি আব্দুল হাই এবং জামিনে থাকা হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কিবরিয়া গউছ, জয়নাল আবেদীন জালাল, মো. আয়াত আলী, জমির আলী, তাজুল ইসলাম, কাজল মিয়া, আব্দুল জলিল, এ কে এস আবদুল কাইয়ুম ও জয়নাল আবেদীন মুমিন।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানো হয়।
২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তিন দফা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ প্রথম দফায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন বাদী মজিদ খান। ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবারও সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ জুন শাহ এ এম এস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া সেই অভিযোগপত্রের ওপরও নারাজি আবেদন করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ ছাড়া ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
হত্যা মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (মৃত), মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মো. বদরুল, মাওলানা তাজ উদ্দিন ও মো. মুহিবুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মিজানুর রহমান মিটু, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমদ আরিফ প্রকাশ নিমু, বদরুল আলম মিজান, মাওলানা শেখ ফরিদ আহমদ, আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মুহিবুল্লাহ ওরফে মুজিবুর রহমান প্রকাশ অভি ও মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম। এ ছাড়া সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌসসহ ১২ জন জামিনে আছেন।
রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় এসব নেতা-কর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই নারী শিক্ষার্থীসহ ৯ জন। অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বাম সংগঠন ও কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চোর সন্দেহে টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন...
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভবন থেকে পড়ে মো. রিফাত (২০) নামে এক এসি মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন জোড় পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বিকেল সাড়ে
৫ ঘণ্টা আগে