Ajker Patrika

চুরির মামলায় দুপুরে গ্রেপ্তার, সন্ধ্যায় থানা হাজতে ‘ঝুলন্ত লাশ’

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ৫৭
চুরির মামলায় দুপুরে গ্রেপ্তার, সন্ধ্যায় থানা হাজতে ‘ঝুলন্ত লাশ’

হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা হাজতে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, হাজতের ফ্যানের সঙ্গে পরনের বেল্ট ও গেঞ্জি গলায় বেঁধে ঝুলছিলেন তিনি। তবে স্বজনদের দাবি, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ।

নিহত গোলাম রাব্বানী (২৫) উপজেলা সদরের নন্দীপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি চুরির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি চুরির মামলায় গোলাম রাব্বানীকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। এশার নামাজের সময় পুলিশ তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, হাজতের ফ্যানের সঙ্গে পরনের বেল্ট ও গেঞ্জি গলায় বেঁধে ঝুলছিলেন ওই ব্যক্তি।

পুলিশের অগোচরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক ব্যক্তিকে (রাব্বানী) আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।’

গোলাম রাব্বানীর বড় ভাই মঈন উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে আমার ছোটকে এসআই মনিরুল হকসহ দুই পুলিশ সদস্য ধরে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আমার মা খবর পেয়ে থানায় গেলে পুলিশ জানায় তার বুকে ব্যথা থাকায় বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়ে। রাত ১০টার দিকে আমার এক মামা ফোনে আমাকে দ্রুত থানায় যেতে বলেন। থানায় গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইকে পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত