নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন। রায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রায়হান উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রায়হান। রায়হানের দেওয়া তথ্যমতে একটি জমি থেকে তালা-চাবি ও রায়হানের বসতঘর থেকে একটি প্যান্টের পকেটে রাখা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পাঁচ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাইপ্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমানপ্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
মোস্তাকিন তার মা ফুলবানু বিবি, ছোট ভাই তামিম, প্রবাসী ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম, সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে চার বেডরুমের বাড়িতে থাকত। মোস্তাকিনের ভাই সজল মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রায়হানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মোস্তাকিনের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ডসহ রাউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল রায়হানের হাতে। বাড়িতে রায়হানের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল।
আদালতে রায়হানের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, অবাধ যাতায়াতের সুবাদে প্রথমে মোস্তাকিনের বড় ভাই ওমানপ্রবাসী সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং পরে আরেক ভাই দুবাইপ্রবাসী ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রায়হান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই-তিন মাস আগে এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয় এবং তাঁকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও মোস্তাকিনদের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত চলছিল।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তাকিনের নানি অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। তখন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা ও তাছলিমা এবং মোস্তাকিন ও তামিমকে রেখে তাঁদের মা ফুলবানু মাকে দেখতে তিমিরপুর গ্রামে যান। রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যান রায়হান। রায়হান প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবি তাছলিমার ঘরে যান। পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের ঘরে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। মোস্তাকিন সেই কথা মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাসলিমা, রোজিনা ও মোস্তাকিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার থেকে একটি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনেন রায়হান। পরে মোস্তাকিনের ঘরে প্রবেশ করে তাছলিমা তার দুই পা এবং রোজিনা দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। রায়হান বাঁ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
মোস্তাকিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুই ভাবি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দুই ভাবির পরকীয়ার বিবরণ সামনে এলেও মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বিবি ছেলের স্ত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। পরে (২৫ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রায়হান উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ফুলবানু।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডে মামলার প্রধান আসামি রায়হান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোস্তাকিনের দুই ভাবির সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলেও জানান ওসি।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন। রায়হানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২০) ও রোজিনা বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় মোস্তাকিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে রায়হান উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন রায়হান। রায়হানের দেওয়া তথ্যমতে একটি জমি থেকে তালা-চাবি ও রায়হানের বসতঘর থেকে একটি প্যান্টের পকেটে রাখা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পাঁচ ছেলে। তাঁদের মধ্যে মোস্তাকিনের বড় ভাই ফজলু মিয়া দুবাইপ্রবাসী, আরেক ভাই সজলু মিয়া ওমানপ্রবাসী। অন্য ভাইদের মধ্যে সজল মিয়া মৌলভীবাজারের সরকার বাজার এলাকায় একটি ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। সবার ছোটটি তামিম।
মোস্তাকিন তার মা ফুলবানু বিবি, ছোট ভাই তামিম, প্রবাসী ভাই ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম, সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে চার বেডরুমের বাড়িতে থাকত। মোস্তাকিনের ভাই সজল মিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের বাড়িতে একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রায়হানের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মোস্তাকিনের ঘরের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ডসহ রাউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল রায়হানের হাতে। বাড়িতে রায়হানের সেখানে অবাধ যাতায়াত ছিল।
আদালতে রায়হানের দেওয়া জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, অবাধ যাতায়াতের সুবাদে প্রথমে মোস্তাকিনের বড় ভাই ওমানপ্রবাসী সজলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এবং পরে আরেক ভাই দুবাইপ্রবাসী ফজলু মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রায়হান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই-তিন মাস আগে এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয় এবং তাঁকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও মোস্তাকিনদের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত চলছিল।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তাকিনের নানি অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। তখন প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা ও তাছলিমা এবং মোস্তাকিন ও তামিমকে রেখে তাঁদের মা ফুলবানু মাকে দেখতে তিমিরপুর গ্রামে যান। রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যান রায়হান। রায়হান প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবি তাছলিমার ঘরে যান। পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের ঘরে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। মোস্তাকিন সেই কথা মাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাসলিমা, রোজিনা ও মোস্তাকিন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার থেকে একটি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনেন রায়হান। পরে মোস্তাকিনের ঘরে প্রবেশ করে তাছলিমা তার দুই পা এবং রোজিনা দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। রায়হান বাঁ হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন।
মোস্তাকিনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুই ভাবি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দুই ভাবির পরকীয়ার বিবরণ সামনে এলেও মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বিবি ছেলের স্ত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। পরে (২৫ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানায় ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রায়হান উদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন ফুলবানু।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডে মামলার প্রধান আসামি রায়হান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে মোস্তাকিনের দুই ভাবির সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলেও জানান ওসি।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে