Ajker Patrika

নবীগঞ্জে টিসিবির পণ্য ওজনে কম দেওয়ায় বিক্ষোভ

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
নবীগঞ্জে টিসিবির পণ্য ওজনে কম দেওয়ায় বিক্ষোভ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিতরণকালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আজ মঙ্গলবার দুপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। 

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভর্তুকি মূল্যে সারা দেশের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হবে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নে ‘ফ্যামিলি কার্ডের’ মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫টি পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে ভর্তুকি দিয়ে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল মোট ৪৬০ টাকার প্যাকেজে পণ্য বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে হিমাংশু শেখর রায়ের মেসার্স সুরমা ট্রেডার্স দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। 

বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলে চিনি ও ডালে ওজন কম দেওয়া হচ্ছে বলে সন্দেহ হয় কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের। পরে ওজন করে দেখা যায়, চিনি ২ কেজি দেওয়ার বদলে ১ কেজি ২ শ গ্রাম দেওয়া হচ্ছে। 

আবিদ আলী নামে এক সুবিধাভোগী বলেন, ‘আমাকে চিনি ১ কেজি ৫০০ গ্রাম চিনি ও ডাল ১ কেজি ৮০০ গ্রাম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।’ 

এ ব্যাপারে দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ রিয়াজ নাদির সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিসিবির পণ্যে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন কয়েকজন সুবিধাভোগী। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে ইউএনও ও এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে এসে ওজনে কম দেওয়ার সত্যতাও পান। পরবর্তীতে উপস্থিত কার্ডধারীদের সঠিকভাবে ২ কেজি করে মেপে মেপে চিনি ও ডাল দেওয়া হয়েছে।’ 

মেসার্স সুরমা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হিমাংশু শেখর রায় বলেন, ‘টিসিবির পণ্য প্যাকেটিং করা হয় শায়েস্তাগঞ্জের গুদামে। সেই প্যাকেট খোলার কোনো সুযোগ নেই। গোদাম থেকে প্যাকেটের পণ্যে ওজন কম দেওয়া হয়েছে।’ 

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্ডধারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্যাকেটে চিনির পরিমাণ কম। তাৎক্ষণিক ডিলারের পক্ষ থেকে যেসব প্যাকেটে কম রয়েছে, সেগুলোর ওজন সঠিকভাবে মেপে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে কেন কম দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বেশ কিছু প্যাকেটে চিনির পরিমাণ কম রয়েছে—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, শায়েস্তাগঞ্জে গুদামে সারা জেলার প্যাকেটিং করা হয়, হয়তোবা কিছু প্যাকেটে ভুলবশত কম দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত