Ajker Patrika

চা শ্রমিকদের একাংশ এখনো আন্দোলনে, উপজেলার পরিষদে বিক্ষোভ

চা শ্রমিকদের একাংশ এখনো আন্দোলনে, উপজেলার পরিষদে বিক্ষোভ

চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আসন্ন দুর্গাপূজার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরবর্তী মজুরির বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গতকাল রোববার রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চলমান মজুরি ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকেরা কাজে ফেরার কথা। 

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র, চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তর কর্মকর্তার এই সিদ্ধান্ত না মেনে সোমবার বেলা ১২টা থেকে কমলগঞ্জের বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকেরা সকাল থেকে শমশেরনগর-শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কে অবরোধ ও উপজেলা পরিষদের ভেতরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। সড়ক অবরোধের ফলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলার ফুলবাড়ি, আলীনগর, শমশেরনগর, পাত্র খোলাসহ বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়ন না করে ঘরে ফিরবেন না বলে স্লোগান দিচ্ছেন। উপজেলার মৃত্তিঙ্গা চা বাগানের কিছু শ্রমিক সকালে কাজে যোগ দেন। শ্রীমঙ্গলেরও কিছু কিছু চা বাগানে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিলেও পরে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। সিলেট, হবিগঞ্জ, কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন চা বাগানে সাধারণ চা শ্রমিক ও চা ছাত্র যুব সমাজ ৩০০ টাকা মজুরিসহ বিভিন্ন দাবিতে মিছিল ও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। 

কমলগঞ্জের কয়েকটি চা বাগানের শ্রমিকেরা উপজেলা পরিষদের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেনগতকাল রোববার রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মঘট চলাকালীন মজুরি শ্রমিকদের পরিশোধ করার কথা। এদিকে সোমবার বেলা ১২টা থেকে আলীনগর চা বাগানের শ্রমিকেরা উপজেলা প্রশাসনের ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন বলে শ্রমিকেরা জানান। 

এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আলীনগর চা বাগানের চা শ্রমিক নেতা দয়াশংকর কৈরী ও ইউপি সদস্য কিরন বৈদ্য আন্দোলনের বিষয়ে একই মন্তব্য করেছেন। তারা বলছেন, ‘নেতারা আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই নিজেরা সমঝোতা করে আসছেন। সেটি আমরা মানিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করলে আমরা সেটি মেনে নেব। এতদিন ধরে আন্দোলন করে আসলেও আমাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে কেন এত গড়িমসি করা হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত