মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করার পরও মিলছে না সমাধান। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ও আশপাশের প্রায় সকল উপজেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ—ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহরির সময় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়মিত হয়ে গেছে। একদিকে রমজান মাস অন্যদিকে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের তীব্র দাবদাহ। এ অবস্থায় ঘনঘন বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে জনজীবন। গরম থেকে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ক্ষুব্ধ সবাই।
স্থানীয়রা জানায়, পবিত্র মাহে রমজানের ১০ রোজার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জেলার মানুষ। প্রায় সময় কোনো কারণ ছাড়া বিদ্যুৎ থাকে না। সামান্য বাতাস শুরু হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড় বৃষ্টি হলে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এর মধ্যে কয়েকবার মাইকিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে সারা দিন মেরামত করার পরও লোডশেডিং নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য অজুহাতে প্রায়শই বিদ্যুৎ থাকছে না।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর জয়েস বলেন, ‘ঝড়-তুফান বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এক দুবার বিদ্যুৎ না থাকতে পারে। তাই বলে দিনের পর দিন এই ভেলকিবাজি কত সহ্য করা যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি না পেছনে যাচ্ছি এটা একটা বড় প্রশ্ন।’
ডালিয়া আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, ‘ইফতার ও সাহরিসহ অন্যান্য রান্নাবান্না করা, বাসন কোসন পরিষ্কার করা পরিবার সদস্যদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া সবকিছুতে দম বন্ধ হয়ে আসছে। এত পরিশ্রমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে কেমন লাগে বলেন।’
এ ছাড়া বিদ্যুতের এই বিভ্রাটের কারণে চরম ক্ষতির সম্মুখীন জেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকানপাটসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা। প্রচণ্ড গরম ও পবিত্র রমজান মাসে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষজন।
সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের জুয়েল আহমদ হতাশ নিয়ে লিখেছেন, ‘খুব কষ্ট লাগে রমজান মাস, সাহরির সময়, কিন্তু কারেন্ট নাই, রাত ১২টা পর থেকে। পল্লিবিদ্যুৎ অফিসটা দেখার কি কেউ নেই।’
সংবাদকর্মী মু. ইমাদ উদ্দীন লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ কি এখন আবহাওয়াবিদেরা চালান? তা না হলে ঝড় তুফান আসার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায় কি ভাবে।’
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একবার বিদ্যুৎ গেলে আসতে প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। আবার কখনো সারা রাত কিংবা দিনব্যাপী চলে এমন পরিস্থিতি। সম্প্রতি এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন মানুষ লোডশেডিং এর কবলে পড়ে ৪ থেকে ৫ বার। গরমের দিনে বিদ্যুতের এই সমস্যার কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বড়লেখা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এমাজ উদ্দীন সরদার বলেন, ‘আমরা রাত-দিন কাজ করি মানুষের ভোগান্তি না হওয়ার জন্য। ঝড় বৃষ্টি শুরুর আগে একাধিক লাইন মেরামত করা হয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।’
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এই মুহূর্তে ঝড়-তুফানের ফলে ঘনঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আমরা একদিকে মেরামত করি অন্যদিকে ঝড় বৃষ্টি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নাই, জনসাধারণকে সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
মৌলভীবাজারে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করার পরও মিলছে না সমাধান। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ও আশপাশের প্রায় সকল উপজেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ—ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহরির সময় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়মিত হয়ে গেছে। একদিকে রমজান মাস অন্যদিকে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের তীব্র দাবদাহ। এ অবস্থায় ঘনঘন বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে জনজীবন। গরম থেকে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ক্ষুব্ধ সবাই।
স্থানীয়রা জানায়, পবিত্র মাহে রমজানের ১০ রোজার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জেলার মানুষ। প্রায় সময় কোনো কারণ ছাড়া বিদ্যুৎ থাকে না। সামান্য বাতাস শুরু হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড় বৃষ্টি হলে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এর মধ্যে কয়েকবার মাইকিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে সারা দিন মেরামত করার পরও লোডশেডিং নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য অজুহাতে প্রায়শই বিদ্যুৎ থাকছে না।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর জয়েস বলেন, ‘ঝড়-তুফান বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এক দুবার বিদ্যুৎ না থাকতে পারে। তাই বলে দিনের পর দিন এই ভেলকিবাজি কত সহ্য করা যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি না পেছনে যাচ্ছি এটা একটা বড় প্রশ্ন।’
ডালিয়া আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, ‘ইফতার ও সাহরিসহ অন্যান্য রান্নাবান্না করা, বাসন কোসন পরিষ্কার করা পরিবার সদস্যদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া সবকিছুতে দম বন্ধ হয়ে আসছে। এত পরিশ্রমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে কেমন লাগে বলেন।’
এ ছাড়া বিদ্যুতের এই বিভ্রাটের কারণে চরম ক্ষতির সম্মুখীন জেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকানপাটসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা। প্রচণ্ড গরম ও পবিত্র রমজান মাসে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষজন।
সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের জুয়েল আহমদ হতাশ নিয়ে লিখেছেন, ‘খুব কষ্ট লাগে রমজান মাস, সাহরির সময়, কিন্তু কারেন্ট নাই, রাত ১২টা পর থেকে। পল্লিবিদ্যুৎ অফিসটা দেখার কি কেউ নেই।’
সংবাদকর্মী মু. ইমাদ উদ্দীন লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ কি এখন আবহাওয়াবিদেরা চালান? তা না হলে ঝড় তুফান আসার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায় কি ভাবে।’
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একবার বিদ্যুৎ গেলে আসতে প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। আবার কখনো সারা রাত কিংবা দিনব্যাপী চলে এমন পরিস্থিতি। সম্প্রতি এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন মানুষ লোডশেডিং এর কবলে পড়ে ৪ থেকে ৫ বার। গরমের দিনে বিদ্যুতের এই সমস্যার কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বড়লেখা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এমাজ উদ্দীন সরদার বলেন, ‘আমরা রাত-দিন কাজ করি মানুষের ভোগান্তি না হওয়ার জন্য। ঝড় বৃষ্টি শুরুর আগে একাধিক লাইন মেরামত করা হয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।’
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এই মুহূর্তে ঝড়-তুফানের ফলে ঘনঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আমরা একদিকে মেরামত করি অন্যদিকে ঝড় বৃষ্টি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নাই, জনসাধারণকে সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৬ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৯ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে