হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগনসহ কয়েকজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে। সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ডা. মোশাররফ।
সকালে শায়েস্তানগর প্রবেশমুখে রাস্তায় সমাবেশ করায় এতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা যেন কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রধান রাস্তায় বের হতে না পারে সে জন্য পুলিশ রাস্তার মুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যুবদল নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে আসতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শায়েস্তানগর পয়েন্ট রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে পিছু হটে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরে আবারও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় আরেক দফা সংঘর্ষ বাঁধে। বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।
সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগনসহ কয়েকজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে, জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতু, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আশফাক, মোশাহিদ আহমেদ।
সংঘর্ষের পর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ডা. মোশাররফ। এ সময় তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে সরকার যে বাঁধা সৃষ্টি করছে সেই বাঁধা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে আমরা হবিগঞ্জে সমাবেশ করতে এসেছিলাম। কিন্তু সরকারের নির্দেশে হবিগঞ্জের প্রশাসন আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়নি। সমাবেশ আসতে বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
মোশাররফ বলেন, ‘পুলিশ আমাদের সমাবেশ মঞ্চের চারপাশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় সমাবেশ করতে চেয়েছে। যে কারণে আমরা তাদেরকে বাঁধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতশত বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশরে ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে সেটির হিসেব এখনো করা হয়নি।’
হবিগঞ্জে সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগনসহ কয়েকজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে। সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ডা. মোশাররফ।
সকালে শায়েস্তানগর প্রবেশমুখে রাস্তায় সমাবেশ করায় এতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা যেন কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রধান রাস্তায় বের হতে না পারে সে জন্য পুলিশ রাস্তার মুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যুবদল নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে আসতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশ ও যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শায়েস্তানগর পয়েন্ট রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে পিছু হটে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরে আবারও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় আরেক দফা সংঘর্ষ বাঁধে। বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।
সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগনসহ কয়েকজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে, জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতু, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আশফাক, মোশাহিদ আহমেদ।
সংঘর্ষের পর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ডা. মোশাররফ। এ সময় তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে সরকার যে বাঁধা সৃষ্টি করছে সেই বাঁধা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে আমরা হবিগঞ্জে সমাবেশ করতে এসেছিলাম। কিন্তু সরকারের নির্দেশে হবিগঞ্জের প্রশাসন আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়নি। সমাবেশ আসতে বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
মোশাররফ বলেন, ‘পুলিশ আমাদের সমাবেশ মঞ্চের চারপাশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় সমাবেশ করতে চেয়েছে। যে কারণে আমরা তাদেরকে বাঁধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতশত বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশরে ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে সেটির হিসেব এখনো করা হয়নি।’
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
২০ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
৩৫ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
৩৯ মিনিট আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে