Ajker Patrika

অসামঞ্জস্যপূর্ণ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি: ড. তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট 
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮: ৪৭
অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। ফাইল ছবি
অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের স্থানীয় সরকারব্যবস্থা অনেক পুরোনো। কতগুলো বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তসম্পর্ক তৈরি হয়নি। ফলে এগুলো কার্যকর ভূমিকাও রাখতে পারছে না। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি।

গতকাল সিলেটের একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার সংস্কারবিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. তোফায়েল। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগ এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় এ সভার আয়োজন করা হয়।

দেশের সরকার সংসদীয় পদ্ধতির কিন্তু স্থানীয় সরকারব্যবস্থা রাষ্ট্রপতিশাসিত উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এক একটি একেকভাবে কাজ করছে। প্রচলিত কাঠামোয় প্রতিষ্ঠানগুলো এক ব্যক্তির কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলে কাউন্সিল অধিবেশনে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আবার এ অধিবেশনও ঠিকমতো হয় না। প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় কাউন্সিল সত্যিকার অর্থে কার্যকর হচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার জেরে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় পুলিশ দম্পতির ফাঁসি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সহকর্মী পুলিশ সদস্যকে পরকীয়ার জেরে হত্যার দায়ে এক পুলিশ দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক হারুন-অর রশিদ। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন কনস্টেবল মো. আলাউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কনস্টেবল নাসরিন নেলী। আলাউদ্দিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর এলাকায়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে কনস্টেবল আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন নেলীর সঙ্গে সহকর্মী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকায় প্রেমিকা নেলীর ভাড়া বাসাতেই পরকীয়া প্রেমিক পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামকে খুন করেন নেলী ও তাঁর স্বামী আলাউদ্দিন।

হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত পুলিশ দম্পতি সাইফুল ইসলামের মরদেহ বস্তাবন্দী করে গুম করার চেষ্টা করেন। তবে লাশ গুম করতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। নগরীর টাউন হল মোড়ে পুলিশের তল্লাশির সময় বস্তাবন্দী লাশসহ তাঁরা হাতেনাতে আটক হন।

ঘটনার পর নিহত সাইফুলের মা মোছা. মুলেদা বেগম ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল আলাউদ্দিন, তাঁর স্ত্রী নাসরিন নেলীসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে টাকা ধার চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার দায়ে দেবর সাদিকুর রহমান সাদিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন।

নারায়ণগঞ্জ আদলত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, ২০২২ সালের ২ জুলাই রাতে সাদিকুর তাঁর ভাবি রাজিয়া সুলতানা কাকলীর কাছে টাকা ধার চান। এ সময় ভাবি রাজিয়া টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। পরে রাজিয়ার ঘুমন্ত ছেলে তালহাকেও (৮) কুপিয়ে হত্যা করে আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পরদিন নিহত রাজিয়ার মা তাসলিমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তে দেবর সাদিকুরের সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার মামলার আদেশ দেন আদালত।

সাদিকুর রহমান আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দ এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অপসো স্যালাইন ফার্মাতে ৫৭০ শ্রমিক ছাঁটাই: থালা নিয়ে রাস্তায় সন্তানেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আজ দুপুরে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাবার চাকরি নেই। তাই মা-বাবার সঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে থালা হাতে রাস্তায় বসেছে প্রায় অর্ধশত শিশু। মা-বাবা যখন চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন, সন্তানেরা তখন ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাঁদের পাশে বসে আছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরের বগুড়া রোডে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে শ্রম অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায় মালিক-শ্রমিক সমঝোতা বৈঠক বৃহস্পতিবার আলোচনা ছাড়াই ভেস্তে গেছে।

জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর দেশের বৃহত্তম ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠান অপসোনিন লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অপসো স্যালাইন ফার্মা কর্তৃপক্ষ ৫৭০ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করে। এর পর থেকে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন। এর ফলে আট দিন ধরে কারখানাটি অচল হয়ে আছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার সামনে শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁদের কোমলমতি সন্তানেরাও যুক্ত হয়।

শ্রমিক গোপাল চন্দ বলেন, ‘বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে মালিক-শ্রমিক বৈঠক হয়েছে, কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার আবারও বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আমরা তো মরবই। তবে ঘরে বসে মরতে চাই না, তাই রাস্তায় নেমেছি।’

শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় বলেন, ‘শ্রম অধিদপ্তরে আবারও সভা হওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ জানিয়েছে, তারা আর শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে না। এরপর শ্রমিকেরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে অপসো স্যালাইন ফার্মার সামনে আন্দোলন চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী সরকারি কলেজে পরিবহন ব্যবস্থার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সরকারি কলেজে নিজস্ব পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, জাতীয় শিক্ষা বোর্ড তথা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী সরকারি কলেজ। এই কলেজে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজের নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা কম থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের বাসাবাড়ি থেকে যাতায়াত করেন।

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে ক্যাম্পাসে আসেন। গণপরিবহনে বিভিন্ন সময় চালকদের দুর্ব্যবহার ও শ্রমিকদের হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। এ ছাড়াও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো শিক্ষার্থী। ৪ নভেম্বর কলেজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান নিহত হন।

দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো নিজস্ব পরিবহন নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালী সরকারি কলেজের নিজস্ব পরিবহন চালু না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত