মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে বন বিভাগের আওতায় চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এই সব কটি বাঁশমহাল বর্তমানে ইজারাবিহীন। যদিও একসময় সেসব ইজারা দেওয়া হতো। রাজস্ব আদায় হতো কোটি টাকা। কিন্তু এবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও নেওয়ার লোক পায়নি বন বিভাগ। এ সুযোগে নির্বিচারে লুট হচ্ছে বনের বাঁশ ও বেত। বন বিভাগ বলছে, ইজারাদারেরা সরকারি দরপত্রের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মূল্য হাঁকিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে রাখেন। এ কারণে ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, একসময় মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার বাঁশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হতো। বৈধভাবে বাঁশমহাল ইজারা দেওয়া হতো। এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হতো। তবে কয়েক বছর ধরে বাঁশমহাল আস্তে আস্তে ইজারা দেওয়া কমে গেছে। চলতি বছর একটি মহাল কেউ ইজারা নেয়নি। মহালে পর্যাপ্ত বাঁশ না থাকায় এ পরিস্থিতি বলে জানান তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় রেঞ্জ হচ্ছে রাজকান্দি। এই রেঞ্জে লেওয়াছড়া, চম্পারায়, বাঘাছড়া, ডালুয়াছড়া, কুরমাছড়া, সোনারাইছড়া, সুনছড়া বাঁশমহাল রয়েছে। জুড়ী রেঞ্জে সুরমাছড়া, রাগনাছড়া, পুটিছড়া, পূর্ব গোয়ালী, ধলাইছড়া, সাগরনাল, হলম্পাছড়া বাঁশমহাল রয়েছে। বড়লেখা রেঞ্জে লাটুছঠা, হাতমাছড়া, নিকুড়িছড়া, মাধবছড়া ও কুলাউড়া রেঞ্জের পশ্চিম গোগালী, ছোট কালাইগিরি, বেগুনছড়া, লবণছড়া ও বড় কালাইগিরি বাঁশমহাল—ইজারা না থাকায় এসব মহাল থেকে কোটি টাকার বাঁশ নির্বিচারে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। বনের ভেতর বাঁশমহাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম। এ সুযোগে বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশ কেটে বিক্রি করে ছড়ার পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজকান্দি রেঞ্জের ৭টি বাঁশমহালের বেশির ভাগ কেটে নেওয়া হয়েছে। ছোট থেকে বড়—সব ধরনের বাঁশ কাটার প্রমাণ রয়েছে। বাঁশের পরিত্যক্ত অংশ রেখে মূল্যবান অংশ বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এর মধ্যে রাজকান্দি রেঞ্জে ৭টি, জুড়ী রেঞ্জে ৭টি, বড়লেখা ৪ ও কুলাউড়া রেঞ্জে ৫টি বাঁশমহাল রয়েছে। এসব মহালে ৪০ হাজার ৫৫ একর বনভূমি বাঁশমহালের আওতায় রয়েছে। সিলেট বন বিভাগের আওতায় গত ২০ এপ্রিল ২০২৫-২৬ সালের জন্য বাঁশমহালের দরপত্র আহ্বান করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিলেট বন বিভাগের হালনাগাদ তালিকাভুক্ত কোনো মহালদার এই দরপত্রে সাড়া দেননি।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিগত বছরে মহালদারেরা প্রতিযোগিতা করে প্রতিটি বাঁশমহালের সরকারি দরপত্রের কয়েক গুণ বেশি দরপত্র হাঁকিয়েছেন।
পরে নিয়ম অনুযায়ী বাঁশমহালের মূল্য বেড়ে যায়। অনেকেই বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে দরপত্রে অংশ নিলেও ইজারা নেননি। আবার কিছু মহালে মামলার মাধ্যমে জটিলতা সৃষ্টি করা রাখা হয়েছে। গত বছর দুটি মহাল ইজারা দেওয়া হলেও এ বছর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আগে যেভাবে মহাল থেকে বাঁশ চুরি হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে এখনো বাঁশ চুরি হচ্ছে। এত বেশি পরিমাণে বাঁশ চুরি হয়েছে যে, এখন আর কেউ বাঁশমহাল ইজারা নিতে চান না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বনে বাঁশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁশ ও বেতমহালকে টিকিয়ে রাখতে হলে বন বিভাগকে এখনই শক্ত অবস্থানে যেতে হবে।
বাঁশমহালের কয়েকজন সাবেক ইজারাদার বলেন, ‘একটি বাঁশ আমরা ২০ টাকায় বিক্রি করি অথচ দরপত্রের মাধ্যমে দেখা যায় এই বাঁশ আমাদের ক্রয়মূল্য, বিক্রি মূল্যের চেয়ে বেশি। এ জন্য কেউ বাঁশমহাল ইজারা নিতে চান না।’
বাধা ছাড়াই বাঁশ চুরি করে বিক্রি করা যায়, এ জন্য কেউ ইজারা নিতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতির সালেহ সোহেল। তিনি বলেন, চুরি করে বাঁশ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ভ্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সময় থাকতে পদক্ষেপ না নিলে বন, বাঁশ, গাছ, বেতসহ বনের প্রাণী কিছুই পাওয়া যাবে না।
মৌলভীবাজার বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নাজমুল আলম বলেন, বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাঁশমহালগুলো ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না। বাঁশমহালে কী পরিমাণ বাঁশ আছে, তা পরিমাপ করছে ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগ। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর যেসব মহাল ইজারা দেওয়া যাবে, সেগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
মৌলভীবাজারে বন বিভাগের আওতায় চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এই সব কটি বাঁশমহাল বর্তমানে ইজারাবিহীন। যদিও একসময় সেসব ইজারা দেওয়া হতো। রাজস্ব আদায় হতো কোটি টাকা। কিন্তু এবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও নেওয়ার লোক পায়নি বন বিভাগ। এ সুযোগে নির্বিচারে লুট হচ্ছে বনের বাঁশ ও বেত। বন বিভাগ বলছে, ইজারাদারেরা সরকারি দরপত্রের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মূল্য হাঁকিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে রাখেন। এ কারণে ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, একসময় মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার বাঁশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হতো। বৈধভাবে বাঁশমহাল ইজারা দেওয়া হতো। এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হতো। তবে কয়েক বছর ধরে বাঁশমহাল আস্তে আস্তে ইজারা দেওয়া কমে গেছে। চলতি বছর একটি মহাল কেউ ইজারা নেয়নি। মহালে পর্যাপ্ত বাঁশ না থাকায় এ পরিস্থিতি বলে জানান তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় রেঞ্জ হচ্ছে রাজকান্দি। এই রেঞ্জে লেওয়াছড়া, চম্পারায়, বাঘাছড়া, ডালুয়াছড়া, কুরমাছড়া, সোনারাইছড়া, সুনছড়া বাঁশমহাল রয়েছে। জুড়ী রেঞ্জে সুরমাছড়া, রাগনাছড়া, পুটিছড়া, পূর্ব গোয়ালী, ধলাইছড়া, সাগরনাল, হলম্পাছড়া বাঁশমহাল রয়েছে। বড়লেখা রেঞ্জে লাটুছঠা, হাতমাছড়া, নিকুড়িছড়া, মাধবছড়া ও কুলাউড়া রেঞ্জের পশ্চিম গোগালী, ছোট কালাইগিরি, বেগুনছড়া, লবণছড়া ও বড় কালাইগিরি বাঁশমহাল—ইজারা না থাকায় এসব মহাল থেকে কোটি টাকার বাঁশ নির্বিচারে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। বনের ভেতর বাঁশমহাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা একেবারেই কম। এ সুযোগে বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশ কেটে বিক্রি করে ছড়ার পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজকান্দি রেঞ্জের ৭টি বাঁশমহালের বেশির ভাগ কেটে নেওয়া হয়েছে। ছোট থেকে বড়—সব ধরনের বাঁশ কাটার প্রমাণ রয়েছে। বাঁশের পরিত্যক্ত অংশ রেখে মূল্যবান অংশ বিক্রির জন্য নেওয়া হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এর মধ্যে রাজকান্দি রেঞ্জে ৭টি, জুড়ী রেঞ্জে ৭টি, বড়লেখা ৪ ও কুলাউড়া রেঞ্জে ৫টি বাঁশমহাল রয়েছে। এসব মহালে ৪০ হাজার ৫৫ একর বনভূমি বাঁশমহালের আওতায় রয়েছে। সিলেট বন বিভাগের আওতায় গত ২০ এপ্রিল ২০২৫-২৬ সালের জন্য বাঁশমহালের দরপত্র আহ্বান করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিলেট বন বিভাগের হালনাগাদ তালিকাভুক্ত কোনো মহালদার এই দরপত্রে সাড়া দেননি।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিগত বছরে মহালদারেরা প্রতিযোগিতা করে প্রতিটি বাঁশমহালের সরকারি দরপত্রের কয়েক গুণ বেশি দরপত্র হাঁকিয়েছেন।
পরে নিয়ম অনুযায়ী বাঁশমহালের মূল্য বেড়ে যায়। অনেকেই বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে দরপত্রে অংশ নিলেও ইজারা নেননি। আবার কিছু মহালে মামলার মাধ্যমে জটিলতা সৃষ্টি করা রাখা হয়েছে। গত বছর দুটি মহাল ইজারা দেওয়া হলেও এ বছর কোনো মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আগে যেভাবে মহাল থেকে বাঁশ চুরি হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে এখনো বাঁশ চুরি হচ্ছে। এত বেশি পরিমাণে বাঁশ চুরি হয়েছে যে, এখন আর কেউ বাঁশমহাল ইজারা নিতে চান না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বনে বাঁশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁশ ও বেতমহালকে টিকিয়ে রাখতে হলে বন বিভাগকে এখনই শক্ত অবস্থানে যেতে হবে।
বাঁশমহালের কয়েকজন সাবেক ইজারাদার বলেন, ‘একটি বাঁশ আমরা ২০ টাকায় বিক্রি করি অথচ দরপত্রের মাধ্যমে দেখা যায় এই বাঁশ আমাদের ক্রয়মূল্য, বিক্রি মূল্যের চেয়ে বেশি। এ জন্য কেউ বাঁশমহাল ইজারা নিতে চান না।’
বাধা ছাড়াই বাঁশ চুরি করে বিক্রি করা যায়, এ জন্য কেউ ইজারা নিতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতির সালেহ সোহেল। তিনি বলেন, চুরি করে বাঁশ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ভ্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সময় থাকতে পদক্ষেপ না নিলে বন, বাঁশ, গাছ, বেতসহ বনের প্রাণী কিছুই পাওয়া যাবে না।
মৌলভীবাজার বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নাজমুল আলম বলেন, বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাঁশমহালগুলো ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না। বাঁশমহালে কী পরিমাণ বাঁশ আছে, তা পরিমাপ করছে ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগ। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর যেসব মহাল ইজারা দেওয়া যাবে, সেগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
রাজশাহীতে গাছ কাটার ‘মহোৎসব’ শুরু হয়েছে। তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাটা পড়ছে ২ হাজার ৩২৩টি গাছ। ইতিমধ্যে এক প্রকল্পের ৪১৮টি গাছ কাটা শুরু হয়েছে। দ্রুত অন্য দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে বাকি গাছগুলো কাটা শুরু হবে। গাছ কেটে এমন উন্নয়নে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে রাজশাহীর পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
৩৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের এক নিভৃত গ্রাম রতনপুর। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরঘেঁষা এ গ্রামের দৃশ্য এখন নদীভাঙনের করুণ চিত্র। শুকনো মৌসুমে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক মাসে গ্রামটির প্রায় ৫০ বিঘা জমি, অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লংপংপাড়া ও বুচিডংপাড়া এলাকায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)-রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমা ইলিশ রক্ষায় নদ-নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এই সময়ে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে মাছ ধরা রোধই মূল উদ্দেশ্য মৎস্য অধিদপ্তরের। তবে ইলিশের খনি হিসেবে পরিচিত বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৮২ কিলোমিটার মেঘনা নদী নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির সহযোগিতা নেবে প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে