Ajker Patrika

কমলগঞ্জে চালের থেকে ভুসির দাম বেশি

আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৪: ০৪
কমলগঞ্জে চালের থেকে ভুসির দাম বেশি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিত্যপণের পাশাপাশি দাম বেড়েছে গোখাদ্যের। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ভুসি, চিটা, ভুট্টাভাঙা, ফিড, খইল, খড় ও সবুজ ঘাসের দাম বেড়েছে। এগুলো খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বিশেষ করে প্রতি বস্তা ভুসিতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দাম বেড়েছে।

এসব গোখাদ্যের দাম বাড়ায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। 

উপজেলার গরুর খামারিরা জানান, বাজারে চালের দামের চেয়ে ভুসির দাম বেশি। এক কেজি চাল ৪৫ টাকা আর ভুসির দাম ৫৫ টাকা। গত ১০ দিনের ব্যবধানে দফায় দফায় ভুসির অতিরিক্ত দাম বেড়েছে। শুধু ভুসি নয়, পাল্লা দিয়ে প্রতিটি গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে হঠাৎ করে দাম বাড়ায় খামারের গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। 

উপজেলার শমশেরনগর, শহীদনগর বাজার ও মুন্সিবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহখানেক আগে যে ভুসি কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। খইল, ভুট্টাভাঙা, বিভিন্ন কোম্পানির ফিডে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে দাম বেড়েছে। এ ছাড়া খড় ও সবুজ ঘাস আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু গোখাদ্যে নয়, মাছের খাদ্যেও দাম বেড়েছে আগের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। 

তবে উপজেলা পানিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা-ময়দার পাশাপাশি ভুসিরও দাম বেড়েছে। গোখাদ্যে সরকারি ভর্তুকি ছাড়া এগুলোর দাম কমানো সম্ভব নয়। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে গোখাদ্যের ভ্যাটে ছাড় দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের আব্দুল মতিন বলেন, ‘যেভাবে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে, আমরা আর গরু পালতে পারব না মনে হয়। প্রতি সপ্তাহে গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ছে। শুধু দাম নয়, প্রতি বস্তায় ওজনে এক থেকে দুই কেজি করে খাদ্য কমও মিলছে।’ 

উপজেলার খামারি মানিক মিয়া বলেন, ‘আমার ১২টি গরু-মহিষ আছে। এগুলো নিয়ে এখন মহাবিপদে আছি। একদিকে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে খেতে ঘাস নেই। একটা সময় গরু-মহিষ বিক্রি করে লাভবান হওয়া যেত, কিন্তু এখন খরচ তোলা দায়। গোখাদ্যের দাম না কমলে সব গরু-মহিষ বিক্রি করে দেব।’ 

মুন্সিবাজার ইউনিয়নের গরুর খামারি ওলিদ মিয়া বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গে গোখাদ্যের দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতি বস্তা ভুসি ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে ক্রয় করেছি। এমনকি সবুজ ঘাসের আঁটিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদের আগে প্রতিটি গরুতে বাড়তি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হবে। আমরা খামারিদের অবস্থা ভালো নেই এখন।’ 

গোখাদ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফ মঈনউদ্দিন বলেন, ‘খাদ্যের বিষয়টি আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বাড়ায় গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। দাম কমার সম্ভাবনা নেই। সরকার যদি অতিরিক্ত ভর্তুকি দেয়, তাহলে বাজারে দাম কমতে পারে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত