Ajker Patrika

কারাগারে যাওয়ার এক দিনেই জামিন পেলেন তিনি

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ১৬: ১৪
কারাগারে যাওয়ার এক দিনেই জামিন পেলেন তিনি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন-পূর্ব সহিংসতার মামলায় কারাগারে পাঠানোর এক দিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের জামাতা গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল। আজ দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাহেলের জামিন আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এ সময় দীর্ঘ শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম রাহেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনের আগের দিন ১৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর লোকজনের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে ছাবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই শফিক আহমেদ চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন রাহেল চৌধুরী। এতে শফিক চৌধুরীর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। দ্রুত তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। 

এ ঘটনায় গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ছাবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই হাদিছ মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত ৩০ মার্চ চার্জশিট প্রদান করে পিবিআই। চার্জশিট আদালত গ্রহণ করলে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। গতকাল সোমবার মামলার ২ নম্বর আসামি গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। একদিনের মাথায় আজ দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাহেলের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। 

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু বলেন, ‘আমরা আদালতে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সিআইডি প্রথমে মামলাটি মিথ্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছে। পরে দ্বিতীয়বার পিবিআই সত্য বলে প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু ঘটনাটি কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘটিয়েছে তা সঠিকভাবে কেউ দেখেনি। সবকিছু বিবেচনা করে আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান বলেন, আদালত স্বাধীন, আদালত চাইলে যা কিছু করতে পারেন। তবে আদালতপাড়ায় আগের দিন কারাগারে গিয়ে পরদিন জামিন হওয়ার নজির নেই। 

আইনজীবী আরও বলেন, ‘আগের রেকর্ড ও আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী মিস কেস ড্রপ করা হলে কমপক্ষে আট দিন পর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে এ মামলায় একটি অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা গেছে। যেদিন আসামি কারাগারে গেলেন, সেদিনই মামলার নকল উত্তোলন করে মিসকেস দাখিল করা হলো। পরদিন জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হলো এবং জামিনও দেওয়া হলো। জামিন শুনানির এখতিয়ার সম্পূর্ণ জজ সাহেবের ওপর নির্ভর করে। তবে আমরা প্রত্যাশা করব আদালতের কাছে এ মামলায় যেভাবে আগের দিন হাজতে গিয়ে পরদিন জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, সব আসামির ক্ষেত্রে যেন এমনটা প্রযোজ্য হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত