Ajker Patrika

গরমের শুরুতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং

হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ০৮
গরমের শুরুতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং

গরম শুরু হতে না হতেই বিদ্যুদ্বিভ্রাটে (লোডশেডিং) অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হবিগঞ্জের বাসিন্দারা। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিংয়ের ফলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, আদালত, কলকারখানা, গৃহস্থলির সব ধরনের কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় দিনে ১৪ ও রাতে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদার কখনো অর্ধেক আবার কখনো অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় জাতীয় গ্রিড থেকে। যার কারণে ৭টির ফিডারে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ এবং ১ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, রমজান মাসে ইফতার সাহ্‌রি ও তারাবি নামাজের সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের প্যানেল বোর্ডে আগুন ধরে গেলে প্যানেলসহ ট্রান্সফরমারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও বিঘ্ন ঘটে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী চাঁদনী আক্তার জানান, পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার ও প্যানেলের যন্ত্রপাতি ঢাকা থেকে এনে কাজ শুরু হয়েছে। কবে নাগাদ শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে ঈদের আগে নতুন প্যানেল বোর্ড ও ট্রান্সফরমার স্থাপন শেষ করার চেষ্টা চলছে।

এদিকে হবিগঞ্জে একটি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। শহরের আধুনিক স্টেডিয়ামের কাছে ২-৩ বছর আগে সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। ঢিমেতালে চলা এই কাজ কবে শেষ হবে, তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তোফায়েল আহমেদ নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। পাম্পের সাহায্যে পানি তোলা যাচ্ছে না। প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করার পরেও যদি বিদ্যুৎ না পাই, তাহলে এ দুঃখ রাখি কোথায়?’

এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে লোডশেডিং। তীব্র গরমের মধ্যে ঝড়ের প্রভাব ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। মানুষের মাঝে হাঁসফাঁস দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে সারা দিন বিদ্যুৎ ছিল না উপজেলা বেশির ভাগ গ্রামে।

গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফয়ছল আহমেদ বলেন, ‘রোববার রাত থেকে আজ (বুধবার) বিকেল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মনে হয় ৮-৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল।’ 
দেবপাড়ার শেখ রাসেল বলেন, ‘গত তিন দিনে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০-২১ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না।’

নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত