কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রুজিনা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে মারধর করেন শ্বশুর ও স্বামী। এরপর শিশুসন্তানের সামনে তাঁকে বাড়ির ভেতর টেনেহিঁচড়ে বের করে রাস্তায় নিয়ে আসেন শ্বশুর শফিক মিয়া। গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার ২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে।
আজ মঙ্গলবার গৃহবধূর ভাই বাবুল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় বোনের শ্বশুর শফিক মিয়া (৬৫), স্বামী আব্দুছ সালাম (৩২) ও দেবর রুমান মিয়া (২৮)কে। মামলার পর গৃহবধূর স্বামী আব্দুছ সালামকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার এজাহার ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র আব্দুছ সালামের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলী গ্রামের আব্দুল খালিকের মেয়ে রুজিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে ৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। গত রোববার রাতে যৌতুকের দাবিতে ও শরবতের প্যাকেট ছেঁড়ার অজুহাতে রুজিনাকে মারধর করেন সালাম ও দেবর রুমান।
পরদিন বিকেলে স্বামী সালাম ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আবারও গৃহবধূকে নির্যাতন করেন। রুজিনা ওই সময় আত্মরক্ষার্থে প্রতিবেশী জোস্না বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে রুজিনার শ্বশুর শফিক মিয়া ও স্বামী সালামসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোস্না বেগমের বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক তাঁকে (রুজিনাকে) ঘর থেকে বের করেন। এ সময় শফিক মিয়া পুত্রবধূকে নির্যাতন করে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে রাতে পুলিশ গিয়ে রুজিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। আহত অবস্থায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুজিনার চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির (জোস্না বেগমের বাড়ি) ভেতর থেকে টেনেহিঁচড়ে গৃহবধূ রুজিনাকে রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন শ্বশুর শফিক মিয়া। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর শাশুড়ি জরিদা বেগম, শিশুপুত্র, তাঁর স্বামী সালামসহ একাধিক লোকজন। রুজিনার আর্তচিৎকারে কেউ তাঁকে শ্বশুরের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য যাননি। মায়ের প্রতি এমন অমানবিক নির্যাতন দেখে কান্না শুরু করে বাবার কোলে থাকা শিশুটি।
গৃহবধূর ভাই বাবুল মিয়া মোবাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে যৌতুকের জন্য নানা অজুহাতে নির্যাতন করে আসছিল। সোমবার যৌতুকের কারণে শ্বশুর শফিকসহ সবাই তাকে নির্যাতন শুরু করলে আমার বোন আত্মরক্ষার্থে জোস্না বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে বোনের শ্বশুর শফিক প্রকাশ্যে অমানবিক নির্যাতন করে ও রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের পরিবারের সবাই সঙ্গে ছিল। পরে তাদের প্রতিবেশী একজন আমার মোবাইলে কল করে ঘটনাটি জানায়।’
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ রুজিনার ভাই বাবুল বিষয়টি আমাদেরকে জানান। পরে থানার এসআই হারুনুর রশীদ শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় মামলার ২ নম্বর অভিযুক্ত ও গৃহবধূর স্বামী সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্বশুর ও দেবর পলাতক রয়েছেন। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রুজিনা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে মারধর করেন শ্বশুর ও স্বামী। এরপর শিশুসন্তানের সামনে তাঁকে বাড়ির ভেতর টেনেহিঁচড়ে বের করে রাস্তায় নিয়ে আসেন শ্বশুর শফিক মিয়া। গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার ২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে।
আজ মঙ্গলবার গৃহবধূর ভাই বাবুল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় বোনের শ্বশুর শফিক মিয়া (৬৫), স্বামী আব্দুছ সালাম (৩২) ও দেবর রুমান মিয়া (২৮)কে। মামলার পর গৃহবধূর স্বামী আব্দুছ সালামকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার এজাহার ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র আব্দুছ সালামের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলী গ্রামের আব্দুল খালিকের মেয়ে রুজিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে ৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। গত রোববার রাতে যৌতুকের দাবিতে ও শরবতের প্যাকেট ছেঁড়ার অজুহাতে রুজিনাকে মারধর করেন সালাম ও দেবর রুমান।
পরদিন বিকেলে স্বামী সালাম ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আবারও গৃহবধূকে নির্যাতন করেন। রুজিনা ওই সময় আত্মরক্ষার্থে প্রতিবেশী জোস্না বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে রুজিনার শ্বশুর শফিক মিয়া ও স্বামী সালামসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোস্না বেগমের বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক তাঁকে (রুজিনাকে) ঘর থেকে বের করেন। এ সময় শফিক মিয়া পুত্রবধূকে নির্যাতন করে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে রাতে পুলিশ গিয়ে রুজিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। আহত অবস্থায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুজিনার চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির (জোস্না বেগমের বাড়ি) ভেতর থেকে টেনেহিঁচড়ে গৃহবধূ রুজিনাকে রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন শ্বশুর শফিক মিয়া। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর শাশুড়ি জরিদা বেগম, শিশুপুত্র, তাঁর স্বামী সালামসহ একাধিক লোকজন। রুজিনার আর্তচিৎকারে কেউ তাঁকে শ্বশুরের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য যাননি। মায়ের প্রতি এমন অমানবিক নির্যাতন দেখে কান্না শুরু করে বাবার কোলে থাকা শিশুটি।
গৃহবধূর ভাই বাবুল মিয়া মোবাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে যৌতুকের জন্য নানা অজুহাতে নির্যাতন করে আসছিল। সোমবার যৌতুকের কারণে শ্বশুর শফিকসহ সবাই তাকে নির্যাতন শুরু করলে আমার বোন আত্মরক্ষার্থে জোস্না বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে বোনের শ্বশুর শফিক প্রকাশ্যে অমানবিক নির্যাতন করে ও রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের পরিবারের সবাই সঙ্গে ছিল। পরে তাদের প্রতিবেশী একজন আমার মোবাইলে কল করে ঘটনাটি জানায়।’
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ রুজিনার ভাই বাবুল বিষয়টি আমাদেরকে জানান। পরে থানার এসআই হারুনুর রশীদ শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় মামলার ২ নম্বর অভিযুক্ত ও গৃহবধূর স্বামী সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্বশুর ও দেবর পলাতক রয়েছেন। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
২৯ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে