Ajker Patrika

হবিগঞ্জে আবারও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২২, ১৫: ২৮
হবিগঞ্জে আবারও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

১২০ টাকা থেকে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে এবার হবিগঞ্জের বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায় তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে অংশ নেন বাহুবলের ফয়জাবাদ, রশীদপুর, বৃন্দাবনসহ পাঁচটি বাগানের হাজার হাজার শ্রমিক। এ সময় মহাসড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা। খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ গাজী মিলাদ, ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের শান্ত করেন।

দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে অষ্টম দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। সকাল থেকে বিভিন্ন বাগানের কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে স্লোগান দেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, আপাতত শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মজুরিতে কাজে ফিরতে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আজকে বিকেলে আলোচনায় বসা হবে।

চা-শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ করলে মহাসড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল বলেন, ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। এই চার দিন শ্রমিকেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে তাঁদের দাবি আদায় না হওয়ায় ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকেরা। এদিন চা-শ্রমিকেরা চান্দপুর এলাকায় পুরাতন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে সেখান থেকে হাজার হাজার চা-শ্রমিক পায়ে হেঁটে চুনারুঘাট পৌর এলাকায় প্রধান সড়কে অবস্থান নেন এবং সেখানে সড়ক অবরোধ করে পথসভা করেন। 

নৃপেন পাল আরও বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে ১৬ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউসে বেলা ১১টায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। আমরা তাঁর কাছে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি তুলে ধরি। তিনি গুরুত্বসহকারে আমাদের কথাগুলো শোনেন এবং আমাদের আশ্বস্ত করেন। তখন শোকের মাস বিবেচনা করে এবং সরকারের প্রতিনিধিদল যেহেতু আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন, তাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করি। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও মালিক সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন। কিন্তু তখনো আমাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত