জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কোনো অগ্রগতি নেই। ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার এক মাস হয়েছে, কিন্তু হাওরের এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অগ্রগতি না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
হাওর ঘুরে কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ কাজের দৃশ্যমান কোনো চিত্রের খবর মেলেনি। শুধু উদ্বোধন করা জায়গায় নামমাত্র মাটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য ২৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর নলুয়ার হাওরের ভূরাখালী এলাকায় একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কারকাজ তদারক কমিটির সভাপতি সাজেদুল ইসলাম এটি উদ্বোধন করেন।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২৮টি প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৫ জানুয়ারি উপজেলা কমিটির সভায় ২৮ প্রকল্পের কমিটি অনুমোদন করা হয়।
নলুয়ার হাওরের ভূরাখালী গ্রামের কৃষক আকিক মিয়া বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরু হয়নি। ১৫ ডিসেম্বর একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলে নামমাত্র মাটি কাটার পর থেকে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলার বৃহৎ নলুয়ার হাওরটি আগাম বন্যায় ফসলহানির ঝুঁকিতে থাকে। এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকেরা চিন্তিত।
মইয়ার হাওরের আরেক কৃষক রূপ মিয়া বলেন, বোরো রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে, কিন্তু এখনো কাজই শুরু হলো না। জানি না এবার কী হয়।
নলুয়ার হাওরে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আহমেদ আলী বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বর আমার প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন হয়। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনসহ নানা ব্যস্ততায় কাজ শুরু করতে পারিনি। দ্রুত কাজ শুরু করে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব সাংবাদিক অমিত দেব বলেন, হাওর ঘুরে এখন পর্যন্ত হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শুরুর চিত্র দেখা যায়নি। ফসল রক্ষায় এমন গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত কাজ শুরু করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা ও ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার তদারক কমিটির সদস্যসচিব হাসান গাজী বলেন, ‘নানা কারণে এবার হাওরে বাঁধের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা প্রকল্প কমিটিগুলোকে কার্যাদেশ ও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে সব কটি প্রকল্প কমিটিকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে জোরেশোরে কাজ শুরু করাতে পারব।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার তদারক কমিটির আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম বলেন, হাওরে মাটি কাটার খননযন্ত্র দিয়ে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন পুরোদমে কাজ চলবে এবং নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কোনো অগ্রগতি নেই। ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করার এক মাস হয়েছে, কিন্তু হাওরের এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অগ্রগতি না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
হাওর ঘুরে কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ কাজের দৃশ্যমান কোনো চিত্রের খবর মেলেনি। শুধু উদ্বোধন করা জায়গায় নামমাত্র মাটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য ২৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর নলুয়ার হাওরের ভূরাখালী এলাকায় একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কারকাজ তদারক কমিটির সভাপতি সাজেদুল ইসলাম এটি উদ্বোধন করেন।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২৮টি প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৫ জানুয়ারি উপজেলা কমিটির সভায় ২৮ প্রকল্পের কমিটি অনুমোদন করা হয়।
নলুয়ার হাওরের ভূরাখালী গ্রামের কৃষক আকিক মিয়া বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরু হয়নি। ১৫ ডিসেম্বর একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলে নামমাত্র মাটি কাটার পর থেকে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলার বৃহৎ নলুয়ার হাওরটি আগাম বন্যায় ফসলহানির ঝুঁকিতে থাকে। এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকেরা চিন্তিত।
মইয়ার হাওরের আরেক কৃষক রূপ মিয়া বলেন, বোরো রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে, কিন্তু এখনো কাজই শুরু হলো না। জানি না এবার কী হয়।
নলুয়ার হাওরে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আহমেদ আলী বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বর আমার প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন হয়। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনসহ নানা ব্যস্ততায় কাজ শুরু করতে পারিনি। দ্রুত কাজ শুরু করে দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব সাংবাদিক অমিত দেব বলেন, হাওর ঘুরে এখন পর্যন্ত হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শুরুর চিত্র দেখা যায়নি। ফসল রক্ষায় এমন গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত কাজ শুরু করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা ও ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার তদারক কমিটির সদস্যসচিব হাসান গাজী বলেন, ‘নানা কারণে এবার হাওরে বাঁধের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা প্রকল্প কমিটিগুলোকে কার্যাদেশ ও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে সব কটি প্রকল্প কমিটিকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে জোরেশোরে কাজ শুরু করাতে পারব।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার তদারক কমিটির আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম বলেন, হাওরে মাটি কাটার খননযন্ত্র দিয়ে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন পুরোদমে কাজ চলবে এবং নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হবে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
২৭ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
৪২ মিনিট আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেমব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর (নূরুল হুদার) সঙ্গে যেটা হয়েছে, মানে গলায় এটা-সেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগে