শরীয়তপুর প্রতিনিধি

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির নাম বাবুল ব্যাপারী (৪২)। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার তয়কা গ্রামের মৃত আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ, রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাবুল শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম বাবুলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে হাসপাতালে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
পরে বৃদ্ধা হাসপাতালের নার্সকে জানালে তাঁরা তেমন গুরুত্ব দেননি। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে আবারও বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে খুঁজতে থাকেন। ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় হাসপাতালের নার্সরা বৃদ্ধাকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি বাড়ি চলে যান এবং ঘটনা সবাইকে জানান।

ঘটনা জানার পর মা রোকেয়া বেগমসহ স্বজনেরা বাবুলকে খুঁজতে খুঁজতে আবারও সদর হাসপাতালে যান। শুক্রবার দিনভর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় তাঁকে খোঁজ করেও স্বজনেরা পাননি। ওই দিন সারা রাত হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা।
আজ সকালে এক রোগীর স্বজন টয়লেটের ভেতর বাবুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মা রোকেয়া বেগম আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, ‘বাপরে অনেক খুঁজছি, পাই নাই। হাসপাতালের লোক বলছে, আপনার ছেলে হাসপাতালে নাই, এখানে থাইক্কা লাভ নাই, বাড়ি যানগা। এহন শুনি টয়লেটে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। আমার বাবা কীভাবে মরল?’
বাবুলের বড় ভাইয়ের মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, ‘আমার দাদি নার্সদের জানানোর পরও নার্সরা কোনো গুরুত্ব দেননি। উল্টো তারা আমার দাদিকে বলেছে, আপনার ছেলে এখানে নাই তাহলে আপনি বাড়ি চলে যান। এখানে থেকে লাভ নাই। এখন হাসপাতালের টয়লেটে আমার কাকার লাশ কীভাবে আসলে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই।’
জাকির হোসেন নামের এক লোক মারামারির ঘটনায় ৩ জুলাই থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভর্তি ছিলেন। তাঁর পাশের বেডেই বাবুল চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বৃদ্ধ বলতেছেন, তাঁর ছেলেকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আমরাও খুঁজে বাবুলকে পাইনি। হাসপাতালের লোকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। আজ দুদিন পর টয়লেটে তার লাশ পাওয়া যায়। হাসপাতালের টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পরিষ্কার করতে গেলেও রোগীটাকে পাওয়া যেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রোগীর সঙ্গে ৮০ বছর বয়স্ক তাঁর মা ছিলেন। তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি বিধায় হয়তো বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দেননি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টে যদি কারও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির নাম বাবুল ব্যাপারী (৪২)। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার তয়কা গ্রামের মৃত আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ, রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাবুল শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম বাবুলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে হাসপাতালে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
পরে বৃদ্ধা হাসপাতালের নার্সকে জানালে তাঁরা তেমন গুরুত্ব দেননি। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে আবারও বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে খুঁজতে থাকেন। ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় হাসপাতালের নার্সরা বৃদ্ধাকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি বাড়ি চলে যান এবং ঘটনা সবাইকে জানান।

ঘটনা জানার পর মা রোকেয়া বেগমসহ স্বজনেরা বাবুলকে খুঁজতে খুঁজতে আবারও সদর হাসপাতালে যান। শুক্রবার দিনভর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় তাঁকে খোঁজ করেও স্বজনেরা পাননি। ওই দিন সারা রাত হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা।
আজ সকালে এক রোগীর স্বজন টয়লেটের ভেতর বাবুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মা রোকেয়া বেগম আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, ‘বাপরে অনেক খুঁজছি, পাই নাই। হাসপাতালের লোক বলছে, আপনার ছেলে হাসপাতালে নাই, এখানে থাইক্কা লাভ নাই, বাড়ি যানগা। এহন শুনি টয়লেটে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। আমার বাবা কীভাবে মরল?’
বাবুলের বড় ভাইয়ের মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, ‘আমার দাদি নার্সদের জানানোর পরও নার্সরা কোনো গুরুত্ব দেননি। উল্টো তারা আমার দাদিকে বলেছে, আপনার ছেলে এখানে নাই তাহলে আপনি বাড়ি চলে যান। এখানে থেকে লাভ নাই। এখন হাসপাতালের টয়লেটে আমার কাকার লাশ কীভাবে আসলে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই।’
জাকির হোসেন নামের এক লোক মারামারির ঘটনায় ৩ জুলাই থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভর্তি ছিলেন। তাঁর পাশের বেডেই বাবুল চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বৃদ্ধ বলতেছেন, তাঁর ছেলেকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আমরাও খুঁজে বাবুলকে পাইনি। হাসপাতালের লোকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। আজ দুদিন পর টয়লেটে তার লাশ পাওয়া যায়। হাসপাতালের টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পরিষ্কার করতে গেলেও রোগীটাকে পাওয়া যেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রোগীর সঙ্গে ৮০ বছর বয়স্ক তাঁর মা ছিলেন। তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি বিধায় হয়তো বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দেননি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টে যদি কারও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির নাম বাবুল ব্যাপারী (৪২)। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার তয়কা গ্রামের মৃত আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ, রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাবুল শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম বাবুলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে হাসপাতালে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
পরে বৃদ্ধা হাসপাতালের নার্সকে জানালে তাঁরা তেমন গুরুত্ব দেননি। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে আবারও বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে খুঁজতে থাকেন। ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় হাসপাতালের নার্সরা বৃদ্ধাকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি বাড়ি চলে যান এবং ঘটনা সবাইকে জানান।

ঘটনা জানার পর মা রোকেয়া বেগমসহ স্বজনেরা বাবুলকে খুঁজতে খুঁজতে আবারও সদর হাসপাতালে যান। শুক্রবার দিনভর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় তাঁকে খোঁজ করেও স্বজনেরা পাননি। ওই দিন সারা রাত হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা।
আজ সকালে এক রোগীর স্বজন টয়লেটের ভেতর বাবুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মা রোকেয়া বেগম আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, ‘বাপরে অনেক খুঁজছি, পাই নাই। হাসপাতালের লোক বলছে, আপনার ছেলে হাসপাতালে নাই, এখানে থাইক্কা লাভ নাই, বাড়ি যানগা। এহন শুনি টয়লেটে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। আমার বাবা কীভাবে মরল?’
বাবুলের বড় ভাইয়ের মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, ‘আমার দাদি নার্সদের জানানোর পরও নার্সরা কোনো গুরুত্ব দেননি। উল্টো তারা আমার দাদিকে বলেছে, আপনার ছেলে এখানে নাই তাহলে আপনি বাড়ি চলে যান। এখানে থেকে লাভ নাই। এখন হাসপাতালের টয়লেটে আমার কাকার লাশ কীভাবে আসলে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই।’
জাকির হোসেন নামের এক লোক মারামারির ঘটনায় ৩ জুলাই থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভর্তি ছিলেন। তাঁর পাশের বেডেই বাবুল চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বৃদ্ধ বলতেছেন, তাঁর ছেলেকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আমরাও খুঁজে বাবুলকে পাইনি। হাসপাতালের লোকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। আজ দুদিন পর টয়লেটে তার লাশ পাওয়া যায়। হাসপাতালের টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পরিষ্কার করতে গেলেও রোগীটাকে পাওয়া যেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রোগীর সঙ্গে ৮০ বছর বয়স্ক তাঁর মা ছিলেন। তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি বিধায় হয়তো বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দেননি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টে যদি কারও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ব্যক্তির নাম বাবুল ব্যাপারী (৪২)। তিনি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার তয়কা গ্রামের মৃত আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ, রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাবুল শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম বাবুলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। দিবাগত রাত ২টা থেকে বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে হাসপাতালে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
পরে বৃদ্ধা হাসপাতালের নার্সকে জানালে তাঁরা তেমন গুরুত্ব দেননি। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে আবারও বৃদ্ধ মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে খুঁজতে থাকেন। ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় হাসপাতালের নার্সরা বৃদ্ধাকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি বাড়ি চলে যান এবং ঘটনা সবাইকে জানান।

ঘটনা জানার পর মা রোকেয়া বেগমসহ স্বজনেরা বাবুলকে খুঁজতে খুঁজতে আবারও সদর হাসপাতালে যান। শুক্রবার দিনভর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় তাঁকে খোঁজ করেও স্বজনেরা পাননি। ওই দিন সারা রাত হাসপাতালেই ছিলেন তাঁরা।
আজ সকালে এক রোগীর স্বজন টয়লেটের ভেতর বাবুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে টয়লেটের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মা রোকেয়া বেগম আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, ‘বাপরে অনেক খুঁজছি, পাই নাই। হাসপাতালের লোক বলছে, আপনার ছেলে হাসপাতালে নাই, এখানে থাইক্কা লাভ নাই, বাড়ি যানগা। এহন শুনি টয়লেটে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। আমার বাবা কীভাবে মরল?’
বাবুলের বড় ভাইয়ের মেয়ে হেনা আক্তার বলেন, ‘আমার দাদি নার্সদের জানানোর পরও নার্সরা কোনো গুরুত্ব দেননি। উল্টো তারা আমার দাদিকে বলেছে, আপনার ছেলে এখানে নাই তাহলে আপনি বাড়ি চলে যান। এখানে থেকে লাভ নাই। এখন হাসপাতালের টয়লেটে আমার কাকার লাশ কীভাবে আসলে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই, বিচার চাই।’
জাকির হোসেন নামের এক লোক মারামারির ঘটনায় ৩ জুলাই থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ভর্তি ছিলেন। তাঁর পাশের বেডেই বাবুল চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বৃদ্ধ বলতেছেন, তাঁর ছেলেকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আমরাও খুঁজে বাবুলকে পাইনি। হাসপাতালের লোকজনকে জানানোর পরও তারা কোনো গুরুত্ব দেননি। আজ দুদিন পর টয়লেটে তার লাশ পাওয়া যায়। হাসপাতালের টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। পরিষ্কার করতে গেলেও রোগীটাকে পাওয়া যেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, রোগীর সঙ্গে ৮০ বছর বয়স্ক তাঁর মা ছিলেন। তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি বিধায় হয়তো বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দেননি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত রিপোর্টে যদি কারও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৬ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১১ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৩ জুলাই ২০২৪
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১১ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৩ জুলাই ২০২৪
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৬ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম আজ রোববার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কাইউম হোসেন নয়ন।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে আব্দুল হান্নানকে গতকাল শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নানকে র্যাব-২ আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করে। গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানার বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওসমান হাদি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। এতে গুরুতর জখম হন হাদি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে র্যাব-২ জানতে পারে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫। র্যাব-২ বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) থেকে মালিকানা যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। আব্দুল হান্নান উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আছে সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁর ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল হান্নানকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম আজ রোববার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কাইউম হোসেন নয়ন।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে আব্দুল হান্নানকে গতকাল শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নানকে র্যাব-২ আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করে। গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানার বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওসমান হাদি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। এতে গুরুতর জখম হন হাদি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে র্যাব-২ জানতে পারে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫। র্যাব-২ বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) থেকে মালিকানা যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। আব্দুল হান্নান উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আছে সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁর ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল হান্নানকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৩ জুলাই ২০২৪
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৬ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

নিখোঁজের এক দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ভর্তি থাকা রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৩ জুলাই ২০২৪
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৬ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১১ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে