আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’
আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।
পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-২।
র্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগে
আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে