শামসুজ্জোহা সুজন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)
মেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীভাঙন প্রতিরোধে ‘কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে ৫০০ মিটার তীর রক্ষা বাঁধ (প্যাকেজ নম্বর-১০) নির্মাণকাজ পায় এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড টিআই জেভি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধ নির্মাণ ব্যয় ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০ টাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের ১ মে তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে। বাঁধ নির্মাণের সময় ধরা হয় ১৪ মাস। সেই হিসাবে বাঁধ নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২৯ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই বছর কাজ করেও এ পর্যন্ত ১ ইঞ্চি পরিমাণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। ভাঙনকবলিত স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছে। বাঁধ নির্মাণের জন্য তৈরি করা কংক্রিট ব্লক পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজার সোহাগের কাছে অন্তত কয়েক লাখ টাকা পাবেন বলে জানা গেছে। গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি গা ঢাকা দেন সোহাগ।
ভাঙনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, বাঁধের কাজ শুরু হলে দুধকুমারের তীরে বাস করা মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু এক বছর ধরে বাঁধের কাজ বন্ধ থাকায় তাঁদের মনে ভাঙন-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাইটগার্ডের দায়িত্ব পালন করা মশিউর রহমান বলেন, ‘মাসিক ৯ হাজার টাকা বেতনে নাইটগার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বকেয়া বেতন বাবদ আমি তাঁর কাছে ২ লাখ টাকা পাই। আমার ভাই মিলন সাব-কন্ট্রাক্টে বালু সরবরাহ ও শ্রমিকের মজুরি প্রদান করেছে। সে প্রায় ৩ লাখ টাকা পাবে।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘কাজের মজুরি বাবদ ১ লাখ এবং ধার বাবদ আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাব।’ জমি লিজদাতা আবু সাঈদ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ বিঘার বেশি জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। দুই বছর ধরে তাঁরা লিজের টাকা দিচ্ছে না। অন্য লিজদাতাদেরও একই অবস্থা।’
দিনমজুর পাপ্পু বলেন, ‘এলাকার সবাই জানে সোহাগ নামের যে ম্যানেজার ছিলেন তিনি আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন। আমার মতো আরও ১২ থেকে ১৫ জন সোহাগের কাছে টাকা পাবেন।’
অভিযুক্ত সোহাগের বক্তব্য জানতে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড টিআই জেভির জেনারেল ম্যানেজার খাইরুল হাসান রাব্বি বলেন, একযোগে বেশ কিছু বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। বিল পেতে বিলম্ব হওয়ায় আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বাঁধের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করা হবে। সোহাগকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর কাছে যাঁরা টাকাপয়সা পাবেন, সেগুলো যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আলোচনা চলছে।
মেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীভাঙন প্রতিরোধে ‘কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে ৫০০ মিটার তীর রক্ষা বাঁধ (প্যাকেজ নম্বর-১০) নির্মাণকাজ পায় এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড টিআই জেভি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধ নির্মাণ ব্যয় ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০ টাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের ১ মে তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে। বাঁধ নির্মাণের সময় ধরা হয় ১৪ মাস। সেই হিসাবে বাঁধ নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২৯ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই বছর কাজ করেও এ পর্যন্ত ১ ইঞ্চি পরিমাণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। ভাঙনকবলিত স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছে। বাঁধ নির্মাণের জন্য তৈরি করা কংক্রিট ব্লক পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজার সোহাগের কাছে অন্তত কয়েক লাখ টাকা পাবেন বলে জানা গেছে। গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি গা ঢাকা দেন সোহাগ।
ভাঙনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, বাঁধের কাজ শুরু হলে দুধকুমারের তীরে বাস করা মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু এক বছর ধরে বাঁধের কাজ বন্ধ থাকায় তাঁদের মনে ভাঙন-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাইটগার্ডের দায়িত্ব পালন করা মশিউর রহমান বলেন, ‘মাসিক ৯ হাজার টাকা বেতনে নাইটগার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বকেয়া বেতন বাবদ আমি তাঁর কাছে ২ লাখ টাকা পাই। আমার ভাই মিলন সাব-কন্ট্রাক্টে বালু সরবরাহ ও শ্রমিকের মজুরি প্রদান করেছে। সে প্রায় ৩ লাখ টাকা পাবে।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘কাজের মজুরি বাবদ ১ লাখ এবং ধার বাবদ আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাব।’ জমি লিজদাতা আবু সাঈদ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ বিঘার বেশি জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। দুই বছর ধরে তাঁরা লিজের টাকা দিচ্ছে না। অন্য লিজদাতাদেরও একই অবস্থা।’
দিনমজুর পাপ্পু বলেন, ‘এলাকার সবাই জানে সোহাগ নামের যে ম্যানেজার ছিলেন তিনি আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন। আমার মতো আরও ১২ থেকে ১৫ জন সোহাগের কাছে টাকা পাবেন।’
অভিযুক্ত সোহাগের বক্তব্য জানতে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড টিআই জেভির জেনারেল ম্যানেজার খাইরুল হাসান রাব্বি বলেন, একযোগে বেশ কিছু বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। বিল পেতে বিলম্ব হওয়ায় আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বাঁধের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করা হবে। সোহাগকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর কাছে যাঁরা টাকাপয়সা পাবেন, সেগুলো যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আলোচনা চলছে।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২১ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৪ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩৯ মিনিট আগে