আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় মেসে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গত ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুরো জেলার মেসে মেসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর, মোবাইল ছিনতাই, টাকা লুটসহ হুমকি দিয়ে মেসছাড়া করেন। এর প্রায় এক মাস পর শিক্ষার্থীরা আবার মেসে আসা শুরু করলেও এখনো তাঁরা আতঙ্কিত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গাইবান্ধা শহরের ১ নম্বর রেলগেটে অবস্থান নেন। এ সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতারা ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালান। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
বিষয়টি পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়লে আহত নেতাদের কর্মী ও সমর্থকেরা জেলার বিভিন্ন মেসে হামলা চালান। এ সময় শিক্ষার্থীদের মারধর, মোবাইল ছিনতাই, টাকা লুটসহ হুমকি দিয়ে তাঁদের মেস ছাড়তে বাধ্য করেন। এদিকে প্রায় এক মাস পর শিক্ষার্থীরা আবারও মেসে আসা শুরু করেছেন; কিন্তু তাঁদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, একেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আহম্মেদ উদ্দিন শাহ্ শিশুনিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে শহরের কলেজপাড়া, ফয়জারের মোড়, টাবুপাড়া, সুন্দর জাহান মোড়, পলাশপাড়া, থানাপাড়া, খানকা শরিফ ও স্টেশন এলাকায় কমপক্ষে শতাধিক মেস রয়েছে। এসব মেসে কমপক্ষে দেড় হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।
গত কয়েক দিন এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেসগুলোতে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করছেন। তবে এসব এলাকা এখন সুনসান। শিক্ষার্থীরা ভয়ে অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন না। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেসে হামলা ও লুটপাট করা ছিনতাইকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই তাঁদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কলেজপাড়া মেসে থাকা শিক্ষার্থী মো. রোমান মিয়া বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবি আদায়ে জন্য সব শিক্ষার্থীর মতো আমিও গিয়েছিলাম। ১৭ জুলাই মেয়র মতলুবর রহমান আহত হওয়ার পর তাঁর নেতা-কর্মীরা কলেজপাড়ার মেসগুলোতে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা লুট করে হুমকি দিয়ে মেস থেকে বের করে দেন। সেই দিনের ভয়ংকর হামলার কথা মনে হলে এখনো রাতে ঘুম ধরে না। মেয়রের লোকজন এর আগেও মেসে মেসে ঢুকে চাঁদা নিয়েছেন। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। মেসে আসার পর তাঁরা আবারও হামলা করে কি না, সে ভয়ে আছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানাপাড়া মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে যাওয়ার কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেসমালিক ও আমাদের হুমকি দিয়েছেন। হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলেও নেতা-কর্মীরা ঘাপটি মারে আছেন, তাই এখনো ভয়ে আছি।’
শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৮ আগস্ট মেসে আসছি। কলেজপাড়া এলাকায় মেয়রসহ তাঁর লোকজন দিনরাত শোডাউন করছেন, আমাদের ভয় লাগছে। এর আগেও আমাদের শিবিরের ট্যাগ লাগিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন। মুখ খোলার সাহস পাইনি। নীরবে সব সহ্য করে গেছি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মেয়র মতলুবর রহমানের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমন্বয়ক মৈত্রীয় হাসান জয়িতা বলেন, ‘কোন কোন এলাকায় ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীর যা যা করছেন, সব আমরা জানি। এ বিষয়ে মেয়র মতলুবর রহমানের সঙ্গে বসে ছাত্রদের ছিনতাই করা মোবাইল, টাকা উদ্ধারসহ অত্যাচার বন্ধের জন্য কয়েকবার বসার চেষ্টা করলেও তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেননি। ছাত্রলীগ বা কোনো নেতা-কর্মী যদি আবার কোনো ভাইবোনের ওপর নির্যাতনের চেষ্টা করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে অবস্থান নেব। এক স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশটাকে স্বাধীন করছি, দেশে আর কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না।’
গাইবান্ধায় মেসে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গত ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুরো জেলার মেসে মেসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর, মোবাইল ছিনতাই, টাকা লুটসহ হুমকি দিয়ে মেসছাড়া করেন। এর প্রায় এক মাস পর শিক্ষার্থীরা আবার মেসে আসা শুরু করলেও এখনো তাঁরা আতঙ্কিত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গাইবান্ধা শহরের ১ নম্বর রেলগেটে অবস্থান নেন। এ সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতারা ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালান। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
বিষয়টি পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়লে আহত নেতাদের কর্মী ও সমর্থকেরা জেলার বিভিন্ন মেসে হামলা চালান। এ সময় শিক্ষার্থীদের মারধর, মোবাইল ছিনতাই, টাকা লুটসহ হুমকি দিয়ে তাঁদের মেস ছাড়তে বাধ্য করেন। এদিকে প্রায় এক মাস পর শিক্ষার্থীরা আবারও মেসে আসা শুরু করেছেন; কিন্তু তাঁদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, একেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আহম্মেদ উদ্দিন শাহ্ শিশুনিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে শহরের কলেজপাড়া, ফয়জারের মোড়, টাবুপাড়া, সুন্দর জাহান মোড়, পলাশপাড়া, থানাপাড়া, খানকা শরিফ ও স্টেশন এলাকায় কমপক্ষে শতাধিক মেস রয়েছে। এসব মেসে কমপক্ষে দেড় হাজার শিক্ষার্থী থাকেন।
গত কয়েক দিন এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেসগুলোতে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করছেন। তবে এসব এলাকা এখন সুনসান। শিক্ষার্থীরা ভয়ে অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন না। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেসে হামলা ও লুটপাট করা ছিনতাইকারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই তাঁদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কলেজপাড়া মেসে থাকা শিক্ষার্থী মো. রোমান মিয়া বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবি আদায়ে জন্য সব শিক্ষার্থীর মতো আমিও গিয়েছিলাম। ১৭ জুলাই মেয়র মতলুবর রহমান আহত হওয়ার পর তাঁর নেতা-কর্মীরা কলেজপাড়ার মেসগুলোতে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা লুট করে হুমকি দিয়ে মেস থেকে বের করে দেন। সেই দিনের ভয়ংকর হামলার কথা মনে হলে এখনো রাতে ঘুম ধরে না। মেয়রের লোকজন এর আগেও মেসে মেসে ঢুকে চাঁদা নিয়েছেন। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। মেসে আসার পর তাঁরা আবারও হামলা করে কি না, সে ভয়ে আছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানাপাড়া মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলনে যাওয়ার কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেসমালিক ও আমাদের হুমকি দিয়েছেন। হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলেও নেতা-কর্মীরা ঘাপটি মারে আছেন, তাই এখনো ভয়ে আছি।’
শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৮ আগস্ট মেসে আসছি। কলেজপাড়া এলাকায় মেয়রসহ তাঁর লোকজন দিনরাত শোডাউন করছেন, আমাদের ভয় লাগছে। এর আগেও আমাদের শিবিরের ট্যাগ লাগিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন। মুখ খোলার সাহস পাইনি। নীরবে সব সহ্য করে গেছি।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মেয়র মতলুবর রহমানের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমন্বয়ক মৈত্রীয় হাসান জয়িতা বলেন, ‘কোন কোন এলাকায় ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীর যা যা করছেন, সব আমরা জানি। এ বিষয়ে মেয়র মতলুবর রহমানের সঙ্গে বসে ছাত্রদের ছিনতাই করা মোবাইল, টাকা উদ্ধারসহ অত্যাচার বন্ধের জন্য কয়েকবার বসার চেষ্টা করলেও তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেননি। ছাত্রলীগ বা কোনো নেতা-কর্মী যদি আবার কোনো ভাইবোনের ওপর নির্যাতনের চেষ্টা করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে অবস্থান নেব। এক স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশটাকে স্বাধীন করছি, দেশে আর কাউকে স্বৈরাচার হতে দেব না।’
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
৩৭ মিনিট আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদকে সদর মডেল থানার আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) তাঁকে জামিনের জন্য সদর আমলি আদালতে ওঠালে বিচারক ইয়াসিন আরাফাত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তেলবাহী গাড়ি উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে এক যুবক আহত হয়েছেন। রোববার (২২ জুন) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিরসরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামালের দোকান এলাকায় ঢাকামুখী লেইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে