মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাত মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই ভবনের সঙ্গে টিন দিয়ে একচালার দুটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নেই দরজা-জানালা ও বিদ্যুৎ সংযোগ। শিক্ষকদের বসার জায়গাও নেই। এমন পরিবেশে চলছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের কৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রখর রোদে কষ্ট সহ্য করে টিনের চালার নিচে ক্লাস করে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হচ্ছে। বৃষ্টির দিনে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বেশি হবে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৫০ ভাগ কমে গেছে। নতুন ভবন দ্রুত নির্মাণ করা না হলে এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সমস্যায় পড়বেন শিক্ষকেরা।
জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে কৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটিকে সাত মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। এরপর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ভবন ছেড়ে দিতে বলেন। বর্তমানে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তিনটি শ্রেণিকক্ষে কোনো ক্লাস না হলেও শিক্ষকেরা পরিত্যক্ত ভবনের লাইব্রেরি কক্ষে ঝুঁকির মধ্যে প্রয়োজনীয় খাতাপত্র রাখছেন।
ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, টিনের চালার খুপরি ঘরের মধ্যে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। ঘরের মেঝের ধুলাবালু উড়ছে। বৈদ্যুতিক পাখা নেই। গরমে অতিষ্ঠ শিশু শিক্ষার্থীরা।
কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, গরমের মধ্যে ক্লাস করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে টিনের ছিদ্র দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। তারা বলে, ‘কবে আমরা পাকাঘরে বসে ক্লাস করতে পারব? অন্য বিদ্যালয়ের মতো পাকাঘরে বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে আমরা পড়তে চাই।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আকতার বলে, ‘ভবন না থাকায় অনেক কষ্ট করে ক্লাসে থাকি। রোদের কারণে টিনের চালা খুবই গরম হয়। তাপে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে।’
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরা শারমিন। তিনি বলেন, ‘গরমের মধ্যে ক্লাস করতে খুব কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চারা। পাঠদানের সময় অমনোযোগী হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও দিন দিন কমছে। বাড়ি বাড়ি গিয়েও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে আনা যাচ্ছে না।’
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের অবস্থা ভালো না। এ কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কমে যাবে।’
প্রধান শিক্ষক আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর থেকে অনেক কষ্ট করে পাঠদান চালিয়ে আসছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। এ সব কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৫০ ভাগ কমে গেছে।’
যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন।
বিদ্যালয়টির ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকেরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বাইরে টিনের একচালা ঘরের মধ্যে ক্লাস নিচ্ছেন। দ্রুত নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাত মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই ভবনের সঙ্গে টিন দিয়ে একচালার দুটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নেই দরজা-জানালা ও বিদ্যুৎ সংযোগ। শিক্ষকদের বসার জায়গাও নেই। এমন পরিবেশে চলছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের কৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রখর রোদে কষ্ট সহ্য করে টিনের চালার নিচে ক্লাস করে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হচ্ছে। বৃষ্টির দিনে পাঠদানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বেশি হবে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৫০ ভাগ কমে গেছে। নতুন ভবন দ্রুত নির্মাণ করা না হলে এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সমস্যায় পড়বেন শিক্ষকেরা।
জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে কৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটিকে সাত মাস আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। এরপর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ভবন ছেড়ে দিতে বলেন। বর্তমানে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তিনটি শ্রেণিকক্ষে কোনো ক্লাস না হলেও শিক্ষকেরা পরিত্যক্ত ভবনের লাইব্রেরি কক্ষে ঝুঁকির মধ্যে প্রয়োজনীয় খাতাপত্র রাখছেন।
ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, টিনের চালার খুপরি ঘরের মধ্যে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। ঘরের মেঝের ধুলাবালু উড়ছে। বৈদ্যুতিক পাখা নেই। গরমে অতিষ্ঠ শিশু শিক্ষার্থীরা।
কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, গরমের মধ্যে ক্লাস করতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলে টিনের ছিদ্র দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। তারা বলে, ‘কবে আমরা পাকাঘরে বসে ক্লাস করতে পারব? অন্য বিদ্যালয়ের মতো পাকাঘরে বৈদ্যুতিক পাখার নিচে বসে আমরা পড়তে চাই।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম আকতার বলে, ‘ভবন না থাকায় অনেক কষ্ট করে ক্লাসে থাকি। রোদের কারণে টিনের চালা খুবই গরম হয়। তাপে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে।’
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরা শারমিন। তিনি বলেন, ‘গরমের মধ্যে ক্লাস করতে খুব কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চারা। পাঠদানের সময় অমনোযোগী হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও দিন দিন কমছে। বাড়ি বাড়ি গিয়েও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে আনা যাচ্ছে না।’
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের অবস্থা ভালো না। এ কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কমে যাবে।’
প্রধান শিক্ষক আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর থেকে অনেক কষ্ট করে পাঠদান চালিয়ে আসছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। এ সব কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৫০ ভাগ কমে গেছে।’
যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন।
বিদ্যালয়টির ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকেরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বাইরে টিনের একচালা ঘরের মধ্যে ক্লাস নিচ্ছেন। দ্রুত নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’
রিমান্ড শুনানিকালে কথা বলেন শাজাহান খান। তিনি ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিজ্ঞ পিপি সাহেব বিএনপির বড় নেতা। ভুতুড়ে মামলায় বারবার আমাদের রিমান্ডে নিচ্ছেন কেন?’
১৬ মিনিট আগেনীলফামারীতে কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান।
১৭ মিনিট আগেচিত্রা নদীদূষণ ও দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার সকাল থেকে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন অংশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
২৬ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশন চালুর দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সকালে ‘সুবিধাবঞ্চিত এলাকার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে সাতখামাইর স্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে