পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল
ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্য খাতের সংকট যেন কাটছেই না। হস্তান্তরের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় জনবল ও জিনিসপত্রের অভাবে সেবা চালু হয়নি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন বহুতল ভবনে। শূন্য ভবনে জমছে ধুলাবালু।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জনবল, আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ওই ভবনে চিকিৎসাসেবা চালু করা যাচ্ছে না। এ কারণে পুরোনো ভবনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এখন ১০০ শয্যায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসককে সামলাতে হচ্ছে ৩ গুণ বেশি রোগী। সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বছরের পর বছর চিকিৎসকের দাবিতে আন্দোলন করে এলেও তার সুফল এখনো মেলেনি।
জানা গেছে, ১০০ শয্যার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৭ জন চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ১৬ জন। জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্স ৭টি পদের বিপরীতে ২ জন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট ১১টি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৪ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ভেতরে শয্যার তিন গুণ রোগী ভর্তি হয়ে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। জায়গা না পাওয়ায় বারান্দা ও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাঁদের। এক বেডে দুজন রোগীও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একরামুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা নেই। আধুনিক নাম থাকলেও আধুনিকতার ছোঁয়া নেই এই হাসপাতালে। আমি ৩ দিন মেঝেতে ছিলাম, এরপর বেড পাইছি।’
বহির্বিভাগে আগে দৈনিক ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ১০০০-১২০০-তে। স্থানীয় কয়েকজন চিকিৎসককে এখানে বিরাট অঙ্কের রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগী থাকায় ফার্মাসিস্টরাও দেখছেন রোগী, দিচ্ছেন চিকিৎসা।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রাজিব হাসান বলেন, ‘আমি কিছুদিন ধরে অসুস্থ, তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি হাসপাতালে। এখানে এসে দেখি ডাক্তার দেখতেছে না রোগী। রোগীকে দেখতেছেন ফার্মাসিস্টরা। কোথাও কোথাও ফার্মাসিস্ট নেই। একটা সরকারি হাসপাতালের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব।’
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পঞ্চগড় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৬ বছর পর ২০২৪ সালের জুন মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় নতুন ভবনটি। হস্তান্তরের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সেবা চালু করা হয়নি ২৫০ শয্যার নতুন বহুতল ভবনে। প্রয়োজনীয় জনবল ও জিনিসপত্রের অভাবে নতুন ভবনে সেবা স্থানান্তর করা যাচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান বলেন, জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় এখনো নতুন এই ভবনটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্য খাতের সংকট যেন কাটছেই না। হস্তান্তরের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় জনবল ও জিনিসপত্রের অভাবে সেবা চালু হয়নি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন বহুতল ভবনে। শূন্য ভবনে জমছে ধুলাবালু।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জনবল, আসবাব ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ওই ভবনে চিকিৎসাসেবা চালু করা যাচ্ছে না। এ কারণে পুরোনো ভবনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এখন ১০০ শয্যায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসককে সামলাতে হচ্ছে ৩ গুণ বেশি রোগী। সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বছরের পর বছর চিকিৎসকের দাবিতে আন্দোলন করে এলেও তার সুফল এখনো মেলেনি।
জানা গেছে, ১০০ শয্যার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৭ জন চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ১৬ জন। জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্স ৭টি পদের বিপরীতে ২ জন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট ১১টি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৪ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ভেতরে শয্যার তিন গুণ রোগী ভর্তি হয়ে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। জায়গা না পাওয়ায় বারান্দা ও মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাঁদের। এক বেডে দুজন রোগীও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একরামুল হক বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা নেই। আধুনিক নাম থাকলেও আধুনিকতার ছোঁয়া নেই এই হাসপাতালে। আমি ৩ দিন মেঝেতে ছিলাম, এরপর বেড পাইছি।’
বহির্বিভাগে আগে দৈনিক ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ১০০০-১২০০-তে। স্থানীয় কয়েকজন চিকিৎসককে এখানে বিরাট অঙ্কের রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগী থাকায় ফার্মাসিস্টরাও দেখছেন রোগী, দিচ্ছেন চিকিৎসা।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রাজিব হাসান বলেন, ‘আমি কিছুদিন ধরে অসুস্থ, তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি হাসপাতালে। এখানে এসে দেখি ডাক্তার দেখতেছে না রোগী। রোগীকে দেখতেছেন ফার্মাসিস্টরা। কোথাও কোথাও ফার্মাসিস্ট নেই। একটা সরকারি হাসপাতালের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব।’
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পঞ্চগড় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৬ বছর পর ২০২৪ সালের জুন মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় নতুন ভবনটি। হস্তান্তরের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সেবা চালু করা হয়নি ২৫০ শয্যার নতুন বহুতল ভবনে। প্রয়োজনীয় জনবল ও জিনিসপত্রের অভাবে নতুন ভবনে সেবা স্থানান্তর করা যাচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান বলেন, জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় এখনো নতুন এই ভবনটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৩ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে