Ajker Patrika

পরীক্ষা বন্ধ করে মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নেওয়ার অভিযোগ, খাতা হাতে বাড়িতে শিক্ষার্থী

রংপুর প্রতিনিধি
পরীক্ষা বন্ধ করে মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নেওয়ার অভিযোগ, খাতা হাতে বাড়িতে শিক্ষার্থী

চলমান পরীক্ষা বন্ধ করে প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রংপুর বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে ‘বিভাগীয় সাহিত্য মেলা ২০২৩’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরীক্ষা বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের জোর পাঠানো হয় বলে এক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর ও রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্র লেখা নাজনীন। 

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহামুদুল হক তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘স্কুলের বাচ্চাদের পরীক্ষা বাদ দিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। পরীক্ষা বাদ দিয়ে রংপুর বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাচ্চাদের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমিতে এখন প্রোগ্রাম চলছে। আজ আমার ছেলের সকাল ১০-১টা পরীক্ষা ছিল। এখন সে অনুষ্ঠানের দর্শক। এর দায় কে নিবে? বাচ্চাদের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া এমনিতেই বেআইনি, এর ওপর ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে।’ 

আজকের পত্রিকারে সঙ্গে কথা হলে ওই অভিভাবক অধ্যাপক মাহামুদুল হক বলেন, ‘একজন শিক্ষকের ফোন থেকে আমার ছেলে ফোন করার পর আমি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম, আমার ছেলে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ওই অনুষ্ঠানে যেন না যায়। আমি দ্রুত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করি, যাতে কোথাও গেলে আমার অনুমতি ছাড়া যেন না যায়। কিন্তু এরই মধ্যে পরীক্ষারত অবস্থায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ওই অনুষ্ঠানে নিয়ে যায় তাঁরা। এমনকি পরীক্ষার খাতাও জমা নেয়নি। ছেলে বাসায় খাতা নিয়ে এসেছে বাধ্য হয়ে। বিষয়টি উদ্বিগ্নের, পরীক্ষা বাদ দিয়ে প্রশাসনের লোকজন কীভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গেল, মাথায় আসে না।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন সিলেবাস অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণির কোনো পরীক্ষা নেই। ওই অভিভাবক ফোন করা মাত্র তাঁর সন্তানকে রিকশায় করে বাড়ি পাঠানো হয়। মূলত এটা ছিল অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়ন। অনুষ্ঠান থেকে ফিরেও শিক্ষার্থীরা এটিতে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। আমার কাছে ডিসি অফিস থেকে শিক্ষার্থী চাওয়ায়, আমি তাদের সাহিত্য সম্মেলনে পাঠাই। এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি মাত্র।’

তবে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল। তাদের কাছে পরীক্ষার রুটিনও রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ফোর্স করে অনুষ্ঠানে আনার কোনো প্রশ্ন আসে না। সাহিত্য বিষয়ক হওয়ায় সেখানে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা রাখতে হয়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না দিয়ে অনুষ্ঠানে আসার বিষয়টি অসত্য। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তাঁরা মূল্যায়ন পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। তারপরও বিষয়টি দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত