বেরোবি প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক পাননি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত এক শিক্ষার্থী। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করলেও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে ডাকা হয়নি। এ ঘটনায় আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী চাকরিপ্রার্থী জোবেদা আক্তার। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জোবেদা আক্তার ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে স্নাতকে (সম্মান) সিজিপিএ ৩.৬২ (৪ স্কেলে) এবং ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর সিজিপিএ ৩.৫৫ (৪ স্কেলে) পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এ কারণে ওই বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পান।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষকসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে একটি প্রভাষক (স্থায়ী) পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়। এই পদের জন্য জোবেদা একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন।
কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বর ওই পদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পরে তা স্থগিত হয়। পরে ওই পদের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নও করা হয়। পরবর্তী সময়ে জোবেদা জানতে পারেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য চিঠি ও মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে অন্য প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু যোগ্য প্রার্থী হলেও তাঁকে ডাকা হয়নি। এ ক্ষেত্রে জোবেদা আক্তার মনে করছেন, তাঁর নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া পুরো বিষয়টি তাঁর কাছে পরিকল্পিত ও সাজানো বলে মনে হয়েছে।
এদিকে জোবেদা অভিযোগ করেছেন, একটি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই তাঁর চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন বলে দাবি করেন তিনি। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই সঙ্গে তিনি দুবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রথমত তাঁকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়া, দ্বিতীয়ত একটি পদের বিপরীতে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার সম্ভাবনা থেকেও তাঁকে বঞ্চিত করা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া অবৈধ। অতএব, বিষয়গুলো বিবেচনা করে অবৈধ নিয়োগ বাতিলসহ তাঁকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জোবেদা আক্তার। এ সময় আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন, বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অন্যায় করা হয়েছে। শিক্ষক হওয়া থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার এই অন্যায় কাজে বিভাগীয় প্রধানের হাত রয়েছে।
তবে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মো. গোলাম রাব্বানী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সত্য নয়। তবে এ বিষয়ে আমি মিডিয়ার সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাই না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি খোঁজ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে পরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক পাননি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত এক শিক্ষার্থী। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করলেও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে ডাকা হয়নি। এ ঘটনায় আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী চাকরিপ্রার্থী জোবেদা আক্তার। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জোবেদা আক্তার ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে স্নাতকে (সম্মান) সিজিপিএ ৩.৬২ (৪ স্কেলে) এবং ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর সিজিপিএ ৩.৫৫ (৪ স্কেলে) পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এ কারণে ওই বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পান।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষকসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে একটি প্রভাষক (স্থায়ী) পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়। এই পদের জন্য জোবেদা একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন।
কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বর ওই পদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পরে তা স্থগিত হয়। পরে ওই পদের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নও করা হয়। পরবর্তী সময়ে জোবেদা জানতে পারেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য চিঠি ও মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে অন্য প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু যোগ্য প্রার্থী হলেও তাঁকে ডাকা হয়নি। এ ক্ষেত্রে জোবেদা আক্তার মনে করছেন, তাঁর নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া পুরো বিষয়টি তাঁর কাছে পরিকল্পিত ও সাজানো বলে মনে হয়েছে।
এদিকে জোবেদা অভিযোগ করেছেন, একটি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই তাঁর চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন বলে দাবি করেন তিনি। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই সঙ্গে তিনি দুবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রথমত তাঁকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়া, দ্বিতীয়ত একটি পদের বিপরীতে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার সম্ভাবনা থেকেও তাঁকে বঞ্চিত করা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া অবৈধ। অতএব, বিষয়গুলো বিবেচনা করে অবৈধ নিয়োগ বাতিলসহ তাঁকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জোবেদা আক্তার। এ সময় আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন, বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অন্যায় করা হয়েছে। শিক্ষক হওয়া থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার এই অন্যায় কাজে বিভাগীয় প্রধানের হাত রয়েছে।
তবে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মো. গোলাম রাব্বানী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সত্য নয়। তবে এ বিষয়ে আমি মিডিয়ার সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাই না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি খোঁজ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে পরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
৮ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৪১ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৪৪ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে