Ajker Patrika

গোবিন্দগঞ্জে জামানত হারালেন ৪০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গোবিন্দগঞ্জে জামানত হারালেন ৪০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী 

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪ টিতে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির (লাঙল) ৬ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১ জন, জাকের পার্টির ১ জন ও স্বতন্ত্র ২৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের জামানত হারানো ব্যক্তিরা হলেন-রাজাহার ইউনিয়নে মো. আ. লতিফ সরকার (৫৪০ ভোট), রাখালবুরুজে মোছা নুরজাহান বেগম (১ হাজার ৪১ ভোট), নাকাইয়ে মো. মোকছেদুল আমিন (৫৯৬ ভোট) ও সাপমারা ইউনিয়নে মো. সামীম রেজা (৫৩২ ভোট)। 

এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে আরও জামানত হারিয়েছেন-শাখাহার ইউনিয়নে লাঙলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ৪ জন, সাপমারায় লাঙল ও স্বতন্ত্র ৩ জন, কোচাশহরে লাঙল ও স্বতন্ত্র ২ জন, দরবস্তে লাঙল ও স্বতন্ত্র ২ জন, হরিরামপুরে লাঙল ও স্বতন্ত্র ১ জন, রাখালবুরুজে লাঙলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ১ জন, ফুলবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ১ জন, নাকাইয়ে জাকের পার্টির প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ২ জন, কামদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ জন, শালমারায় ৩ জন, গুমানিগঞ্জে ২ জন, রাজাহারে ২ জন, কাটাবাড়ীতে ১ জন এবং তালুককানুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ১ জন। একমাত্র মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেউই জামানত হারাননি। 

জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী মোট প্রদত্ত (জমা পড়া) ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় ওই ৪০ জনের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। 

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত হিসেবে ৫ হাজার টাকা করে জমা থাকে। মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে একটি ভোট কম পেলেই তাঁর জামানতের টাকা নিয়মানুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত