ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
গ্রামের পথে পথে ঘুরছে একদল শিশু। তাদের কয়েকজনের হাতে ঢোল। সঙ্গে আছে কাপড়-কাগজ দিয়ে বানানো এক ‘রাক্ষস’। দলটি বিভিন্ন বাড়ির উঠানে গিয়ে ডাক ছাড়ে ‘রাক্ষুস এসেছি রে...চাল দে। নইলে খেয়ে ফেলব তোকে!’ সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন বাসিন্দারা। হাসিমুখে শিশুদের থলেতে ঢেলে দিচ্ছেন কিছু চাল।
আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামে দেখা মিলল এই শিশুদের। দলে ছিল বাঁধন, প্রান্ত, কৃষ্ণা, হৃদয়, অপূর্বসহ কয়েকজন। তাদের এই চাল সংগ্রহের উদ্দেশ্য বৈশাখী মেলা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে তারা যে চাল পাবে, তা বিক্রি করে সেই টাকায় মেলা থেকে কিনবে নানা জিনিস।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অপূর্ব বলে, ‘আজ এক গ্রাম ঘুরছি, ৩০ কেজির মতো চাল পেয়েছি। বিকেলে আরেক গ্রামে যাব। সব মিলিয়ে ভালো টাকা হবে।’
অপূর্বের সঙ্গে অন্য শিশুরা জানায়, মেলার দিন যেন তাদের কাছে এক স্বপ্নের মতো। সেখান থেকে কেউ কিনবে রসগোল্লা, বাতাসা, কেউ চড়বে নাগরদোলায়, কেউবা জড়ো হবে পুতুলনাচের আসরে।
বেগুনবাড়ি এলাকার মহান্ত রায় বলেন, ‘এই চাল তোলার সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরে এই গ্রামে বৈশাখ এলে শিশুদের এমন উৎসবে মেতে ওঠার রেওয়াজ চলছে।’
দামপাড়ার রাধারানী রায় বলেন, ‘ওদের এভাবে আসতে দেখে খুব ভালো লাগে। আমি আজ আধা কেজি চাল দিয়েছি।’ পাশে দাঁড়ানো শশী মন যোগ করেন, ‘ছোটবেলায় আমরাও এভাবে চাল তুলে মেলায় যেতাম। তখন গরম-গরম জিলাপির ঘ্রাণে মেলা মাতত।’
স্থানীয় রাজনীতিবিদ আহসান হাবীব জানান, আগামীকাল সোমবার তাঁদের গ্রামে বৈশাখী মেলা বসবে। তার আগে শিশুর দল নেমেছে চাল সংগ্রহের অভিযানে। শিশুরা জানে না যে তাদের এই উল্লাস আসলে এক বিশাল সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অনুশীলন। কিন্তু বড়রা যাঁরা দেখছেন তাঁরা জানেন, এই উচ্ছ্বাস আসলে বাঙালির মাটির ঘ্রাণ।
শিশুদের এমন উদ্যোগকে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে। তিনি বলেন, ‘এ এক আবহমান বাংলার রূপ। এই শিশুরাই আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ। সহজ-সরল নাটুকে ভঙ্গিতে তারা নির্মাণ করে এক অন্য রকম পৃথিবী। এটি শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠার একটি মাধ্যম।’
গ্রামের পথে পথে ঘুরছে একদল শিশু। তাদের কয়েকজনের হাতে ঢোল। সঙ্গে আছে কাপড়-কাগজ দিয়ে বানানো এক ‘রাক্ষস’। দলটি বিভিন্ন বাড়ির উঠানে গিয়ে ডাক ছাড়ে ‘রাক্ষুস এসেছি রে...চাল দে। নইলে খেয়ে ফেলব তোকে!’ সঙ্গে সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন বাসিন্দারা। হাসিমুখে শিশুদের থলেতে ঢেলে দিচ্ছেন কিছু চাল।
আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামে দেখা মিলল এই শিশুদের। দলে ছিল বাঁধন, প্রান্ত, কৃষ্ণা, হৃদয়, অপূর্বসহ কয়েকজন। তাদের এই চাল সংগ্রহের উদ্দেশ্য বৈশাখী মেলা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে তারা যে চাল পাবে, তা বিক্রি করে সেই টাকায় মেলা থেকে কিনবে নানা জিনিস।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অপূর্ব বলে, ‘আজ এক গ্রাম ঘুরছি, ৩০ কেজির মতো চাল পেয়েছি। বিকেলে আরেক গ্রামে যাব। সব মিলিয়ে ভালো টাকা হবে।’
অপূর্বের সঙ্গে অন্য শিশুরা জানায়, মেলার দিন যেন তাদের কাছে এক স্বপ্নের মতো। সেখান থেকে কেউ কিনবে রসগোল্লা, বাতাসা, কেউ চড়বে নাগরদোলায়, কেউবা জড়ো হবে পুতুলনাচের আসরে।
বেগুনবাড়ি এলাকার মহান্ত রায় বলেন, ‘এই চাল তোলার সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরে এই গ্রামে বৈশাখ এলে শিশুদের এমন উৎসবে মেতে ওঠার রেওয়াজ চলছে।’
দামপাড়ার রাধারানী রায় বলেন, ‘ওদের এভাবে আসতে দেখে খুব ভালো লাগে। আমি আজ আধা কেজি চাল দিয়েছি।’ পাশে দাঁড়ানো শশী মন যোগ করেন, ‘ছোটবেলায় আমরাও এভাবে চাল তুলে মেলায় যেতাম। তখন গরম-গরম জিলাপির ঘ্রাণে মেলা মাতত।’
স্থানীয় রাজনীতিবিদ আহসান হাবীব জানান, আগামীকাল সোমবার তাঁদের গ্রামে বৈশাখী মেলা বসবে। তার আগে শিশুর দল নেমেছে চাল সংগ্রহের অভিযানে। শিশুরা জানে না যে তাদের এই উল্লাস আসলে এক বিশাল সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অনুশীলন। কিন্তু বড়রা যাঁরা দেখছেন তাঁরা জানেন, এই উচ্ছ্বাস আসলে বাঙালির মাটির ঘ্রাণ।
শিশুদের এমন উদ্যোগকে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে। তিনি বলেন, ‘এ এক আবহমান বাংলার রূপ। এই শিশুরাই আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রাণ। সহজ-সরল নাটুকে ভঙ্গিতে তারা নির্মাণ করে এক অন্য রকম পৃথিবী। এটি শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠার একটি মাধ্যম।’
খুলনায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন তাঁর সাবেক স্ত্রী জান্নাতী খাতুন মিতুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে গত রোববার (২৭ এপ্রিল) জান্নাতী খাতুন মিতু তাঁর সাবেক স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে...
৫ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার সময় রাজধানীর উত্তরায় বিআরটিসির ট্রাকের ধাক্কায় নাঈম (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের একটি বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থী আহত হলেও তাদের পরিচয় জানা যায়
১ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ ৪ দফা দাবি ও আন্দোলনরত ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরির প্রতিবাদে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেঢাকার আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার রাতে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। অবরোধের কারণে যানবাহন আটকে পড়ে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে