সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
কিশোর হুইসাইন মিয়া। বয়স সবেমাত্র ১৫। এ বয়সে বই-খাতা নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু দারিদ্র্যের কশাঘাতে সেটি তার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেঁচে থাকার চেষ্টায় আখ ভাঙা মেশিন নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে হাট-বাজার-গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। আর এই মেশিনের চাকা ঘুরিয়ে বের করতে হচ্ছে আখের রস। এ রস বিক্রিতে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে কিশোর হুসাইনকে।
সম্প্রতি হঠাৎ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামে দেখা হয় হুসাইন মিয়ার। এ সময় ভ্যানসেট মেশিনে আখমাড়াইয়ে রস বিক্রি করছিল সে।
কিশোর হুসাইন মিয়ার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে। এই গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে সে।
জানা যায়, হুইসাইন মিয়ার আরও এক ছোট ভাই রয়েছে। মাসহ মোট ৪ সদস্যের সংসার তার বাবার। বছর পাঁচ আগে এ সংসারে তেমন কোনো অভাব অনাটন ছিল না। এরই মধ্যে পিতা-মাতার অসুস্থার কারণে চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে। যেন সুখের সংসারে দুঃখ-কষ্টে দিনাতিপাত তাদের। পরিবারের সবার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। একটু জীবিকার সন্ধানে পিতা শাহ আলম মিয়া ছুটছিলেন এদিক-সেদিক। একপর্যায়ে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করা হয় ভ্রাম্যমাণ আখের রস বিক্রির ব্যবসা। সেই সময়ে হুসাইন মিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। লেখা পড়া করে বাবা-মার মুখে হাসি ফুটাবে, এমন স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু দারিদ্র্যের কশাঘাতে সেই স্বপ্ন তার নিমেষেই যেন গুঁড়েবালি হয়। বই-খাতা ছেড়ে দিয়ে হাল ধরতে হয়েছে বাবার সংসারে। বাবার পাশাপাশি নিজেও শুরু করেছে আখের রস বিক্রির ব্যবসা। সারা দিন প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হচ্ছে আখের রস। যেন তৃষ্ণার্ত মানুষের হাতে এক গ্লাস রস তুলে দেওয়াই বেঁচে থাকার অবলম্বন তার।
আখের রস খেতে আসা মোসলেম আলী মাষ্টার বলেন, আখের রস খেলে যেমন প্রাণ জুড়িয়ে যায়, তেমনি জন্ডিস রোগসহ বিভিন্ন রোগের জন্য আখের রস কার্যকরী।
কিশোর হুসাইন মিয়া জানায়, স্থানীয়ভাবে আখ সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো বাড়িতে পরিষ্কার করে ভ্যানসেট মেশিন নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরতে হয়। তৃষ্ণার্ত মানুষের তৃপ্তি দিতে তাৎক্ষণিক আখমাড়াইয়ে রস বের করা হয়ে থাকে। প্রতি গ্লাস রসের দাম ১০ টাকা মাত্র। সারাদিন এ রস বিক্রিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। এ দিয়ে চলছে দরিদ্র বাবা-মার সংসার।
হুইসাইন মিয়া আরও বলেন, বাবার সংসারের অভাব অনটনের কারণে চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়ার ইতি টানতে হয়েছে। এখন এ ব্যবসা করে সংসারে সহযোগিতা করছি।
কিশোর হুইসাইন মিয়া। বয়স সবেমাত্র ১৫। এ বয়সে বই-খাতা নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু দারিদ্র্যের কশাঘাতে সেটি তার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেঁচে থাকার চেষ্টায় আখ ভাঙা মেশিন নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে হাট-বাজার-গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। আর এই মেশিনের চাকা ঘুরিয়ে বের করতে হচ্ছে আখের রস। এ রস বিক্রিতে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে কিশোর হুসাইনকে।
সম্প্রতি হঠাৎ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামে দেখা হয় হুসাইন মিয়ার। এ সময় ভ্যানসেট মেশিনে আখমাড়াইয়ে রস বিক্রি করছিল সে।
কিশোর হুসাইন মিয়ার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে। এই গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে সে।
জানা যায়, হুইসাইন মিয়ার আরও এক ছোট ভাই রয়েছে। মাসহ মোট ৪ সদস্যের সংসার তার বাবার। বছর পাঁচ আগে এ সংসারে তেমন কোনো অভাব অনাটন ছিল না। এরই মধ্যে পিতা-মাতার অসুস্থার কারণে চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে। যেন সুখের সংসারে দুঃখ-কষ্টে দিনাতিপাত তাদের। পরিবারের সবার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। একটু জীবিকার সন্ধানে পিতা শাহ আলম মিয়া ছুটছিলেন এদিক-সেদিক। একপর্যায়ে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করা হয় ভ্রাম্যমাণ আখের রস বিক্রির ব্যবসা। সেই সময়ে হুসাইন মিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। লেখা পড়া করে বাবা-মার মুখে হাসি ফুটাবে, এমন স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু দারিদ্র্যের কশাঘাতে সেই স্বপ্ন তার নিমেষেই যেন গুঁড়েবালি হয়। বই-খাতা ছেড়ে দিয়ে হাল ধরতে হয়েছে বাবার সংসারে। বাবার পাশাপাশি নিজেও শুরু করেছে আখের রস বিক্রির ব্যবসা। সারা দিন প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হচ্ছে আখের রস। যেন তৃষ্ণার্ত মানুষের হাতে এক গ্লাস রস তুলে দেওয়াই বেঁচে থাকার অবলম্বন তার।
আখের রস খেতে আসা মোসলেম আলী মাষ্টার বলেন, আখের রস খেলে যেমন প্রাণ জুড়িয়ে যায়, তেমনি জন্ডিস রোগসহ বিভিন্ন রোগের জন্য আখের রস কার্যকরী।
কিশোর হুসাইন মিয়া জানায়, স্থানীয়ভাবে আখ সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো বাড়িতে পরিষ্কার করে ভ্যানসেট মেশিন নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরতে হয়। তৃষ্ণার্ত মানুষের তৃপ্তি দিতে তাৎক্ষণিক আখমাড়াইয়ে রস বের করা হয়ে থাকে। প্রতি গ্লাস রসের দাম ১০ টাকা মাত্র। সারাদিন এ রস বিক্রিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। এ দিয়ে চলছে দরিদ্র বাবা-মার সংসার।
হুইসাইন মিয়া আরও বলেন, বাবার সংসারের অভাব অনটনের কারণে চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়ার ইতি টানতে হয়েছে। এখন এ ব্যবসা করে সংসারে সহযোগিতা করছি।
বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে বগুড়ায় মামলা হয়েছে। বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–১ এ গত রোববার মামলাটি করেন সাদিয়া রহমান মিথিলা নামের এক নারী। মামলায় হিরো আলম ছাড়াও তাঁর মেয়ে আলো বেগম,
২৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া আরও চার মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ শৈশব (২১) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
২ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে গলায় লিচু আটকে মায়াজ হাসান নামের ১৫ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
২ ঘণ্টা আগে