আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি বন্দী, টয়লেট সংকটসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার। সংকট উত্তরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিত প্রতিবেদন দিলেও সমাধান মিলছে না। তবে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে চারটি পুরুষ ও দুটি নারী ওয়ার্ড মিলে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ১৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দী ধারণক্ষমতা ১৪৫ এবং নারী বন্দী ধারণক্ষমতা ১৮। কিন্তু ১৯৮৭ সালে জেলা কারাগার হিসেবে যাত্রা করা এই কারাগারে সব সময়ই ধারণক্ষমতার বেশি বন্দী থাকেন। বন্দীর সংখ্যা বাড়লেও কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়নি।
গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত কারাগারে বন্দী ছিল ৫৪৫ জন, যা ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি। এর মধ্যে পুরুষ বন্দী ৫১৭ জন এবং নারী বন্দী ২৮ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা সদস্য জানান, নির্ধারিত ওয়ার্ডগুলোতে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি বন্দী থাকায় কারা অভ্যন্তরে ন্যূনতম মানবিক পরিবেশ থাকছে না। দিনের বেলা বন্দীরা ওয়ার্ডের বাইরে ঘোরাফেরা করলেও বিকেল হতেই তাদের ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে হয়। আবার ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী থাকায় বন্দীদের ঘুমানোর পরিবেশও থাকছে না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্দীরা।
এদিকে আবাসনের পাশাপাশি কারাগারে টয়লেটের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ থেকে ১৫০ জন বন্দীর বিপরীতে টয়লেট রয়েছে মাত্র একটি। আর চার ওয়ার্ডের বন্দীদের জন্য দিবা টয়লেট রয়েছে মাত্র ২০টি। ফলে বন্দীরা মানবিক সংকটে ভুগছেন।
আবাসন ও টয়লেটের সংকটের কথা স্বীকার করে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কারাগারে সব সময় ধারণক্ষমতার বেশি বন্দী থাকে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেও সমস্যার বিষয়টি অবগত হয়েছেন। বন্দীদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ ও আধুনিকায়নের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মন্তব্যসহ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’
সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আসামি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলের ভেতরে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। ওয়ার্ডগুলোতে শুয়ে কেউ পাশ ফিরবে এমন অবস্থাও নেই। যারা জেলে থাকে তাদের সবাই অপরাধী না। মানুষের জন্য ন্যূনতম যে সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, তার কোনোটাই পাওয়া যায় না। গাদাগাদি করে থাকতে হয়। টয়লেটে যেতে হলেও দীর্ঘ সিরিয়াল লাগে।’
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘কারাগারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে।’
প্রসঙ্গত, উপকারাগার হিসেবে যাত্রা শুরু করা কুড়িগ্রাম কারাগারটি ১৯৮৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা কারাগারে রূপান্তরিত হয়। প্রায় ১৬ একর জায়গা নিয়ে গঠিত এই কারাগারের অভ্যন্তরীণ আয়তন (মূল কারাগার) ৩ দশমিক ৮৬ একর।
ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি বন্দী, টয়লেট সংকটসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার। সংকট উত্তরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিত প্রতিবেদন দিলেও সমাধান মিলছে না। তবে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে চারটি পুরুষ ও দুটি নারী ওয়ার্ড মিলে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ১৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দী ধারণক্ষমতা ১৪৫ এবং নারী বন্দী ধারণক্ষমতা ১৮। কিন্তু ১৯৮৭ সালে জেলা কারাগার হিসেবে যাত্রা করা এই কারাগারে সব সময়ই ধারণক্ষমতার বেশি বন্দী থাকেন। বন্দীর সংখ্যা বাড়লেও কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়নি।
গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত কারাগারে বন্দী ছিল ৫৪৫ জন, যা ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি। এর মধ্যে পুরুষ বন্দী ৫১৭ জন এবং নারী বন্দী ২৮ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা সদস্য জানান, নির্ধারিত ওয়ার্ডগুলোতে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি বন্দী থাকায় কারা অভ্যন্তরে ন্যূনতম মানবিক পরিবেশ থাকছে না। দিনের বেলা বন্দীরা ওয়ার্ডের বাইরে ঘোরাফেরা করলেও বিকেল হতেই তাদের ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে হয়। আবার ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী থাকায় বন্দীদের ঘুমানোর পরিবেশও থাকছে না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্দীরা।
এদিকে আবাসনের পাশাপাশি কারাগারে টয়লেটের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ থেকে ১৫০ জন বন্দীর বিপরীতে টয়লেট রয়েছে মাত্র একটি। আর চার ওয়ার্ডের বন্দীদের জন্য দিবা টয়লেট রয়েছে মাত্র ২০টি। ফলে বন্দীরা মানবিক সংকটে ভুগছেন।
আবাসন ও টয়লেটের সংকটের কথা স্বীকার করে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কারাগারে সব সময় ধারণক্ষমতার বেশি বন্দী থাকে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেও সমস্যার বিষয়টি অবগত হয়েছেন। বন্দীদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ ও আধুনিকায়নের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মন্তব্যসহ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’
সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আসামি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলের ভেতরে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। ওয়ার্ডগুলোতে শুয়ে কেউ পাশ ফিরবে এমন অবস্থাও নেই। যারা জেলে থাকে তাদের সবাই অপরাধী না। মানুষের জন্য ন্যূনতম যে সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, তার কোনোটাই পাওয়া যায় না। গাদাগাদি করে থাকতে হয়। টয়লেটে যেতে হলেও দীর্ঘ সিরিয়াল লাগে।’
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘কারাগারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান হবে।’
প্রসঙ্গত, উপকারাগার হিসেবে যাত্রা শুরু করা কুড়িগ্রাম কারাগারটি ১৯৮৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা কারাগারে রূপান্তরিত হয়। প্রায় ১৬ একর জায়গা নিয়ে গঠিত এই কারাগারের অভ্যন্তরীণ আয়তন (মূল কারাগার) ৩ দশমিক ৮৬ একর।
এবার পানিতে গেল যশোরের মনিরামপুর মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের সাড়ে তিন লাখ টাকা। টিআর ও কলেজ ফান্ডের বরাদ্দের টাকায় নদী খুঁড়ে বালু দিয়ে ভরাটের ১০-১৫ দিনের মাথায় ডুবে গেছে কলেজের মাঠ। এখন কলেজের মাঠে হাঁটুপানি। এ ছাড়া প্রায় এক ফুট পরিমাণ পানিতে ডুবে গেছে ভবনের নিচতলার শ্রেণিকক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেচার বছর ধরে বন্ধ এতিমখানার কার্যক্রম। কিন্তু সরকারি বরাদ্দের টাকা তোলা হচ্ছে নিয়মিত। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি এতিমখানার কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে এই টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে অবস্থিত এই এতিমখানার নাম ‘মোহাম্মদ আলী শিশুসদন’।
৪ ঘণ্টা আগেআইনি জটিলতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না রাঙামাটি জেলা পরিষদ। পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নিয়োগ কার্যক্রম। এতে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা থেকে। চাপ বেড়েছে শিক্ষকদেরও। পাশাপাশি বঞ্চিত হচ্ছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম শরীফুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সিটি সাইবার ক্রাইম অভিযান চালিয়ে
৬ ঘণ্টা আগে