ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মাইন বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের (২৬) মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নে দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। দুপুর ১টার দিকে সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় এই শহীদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ নিয়ে আকাশপথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বেলা ১১টায় ডিমলায় পৌঁছায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর পরে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। বিশেষ করে তাঁর মা গোলেনুর বেগম এবং বাবা লতিফর রহমান ও স্ত্রী শিমু আকতার মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্বামীর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পরে শোকে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শিমু শুধু প্রিয় মানুষটির মুখটি খুঁজছিলেন। সকাল থেকেই জাহাঙ্গীরকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় জমতে থাকে। এসেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
জাহাঙ্গীরের মা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আমার ছেলে আমাকে কেন ডাকে না/ সে কি আমাকে আর ডাক দেবে না/ বাবা আমার জীবনে অনেক কষ্ট করেছে। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।’
উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাহাঙ্গীরের এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। এলাকার একজন সেনাসদস্য হারিয়ে তাঁরা শোকাহত। প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর প্রান্তিক গ্রামে থেকেও আলো ছড়িয়েছে। সে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিল। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে আমাদের গর্ব হচ্ছে।’
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমাদের এলাকার গর্ব। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’ শহীদ জাহাঙ্গীর সড়ক নামে এই এলাকার সড়কটির নামকরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। সাড়ে ১২টায় বাড়িসংলগ্ন মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় গত ৪ অক্টোবর মাইন বিস্ফোরণে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। গতকাল বিকেল ৫টায় আফ্রিকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে জাহাঙ্গীরের মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আবুজার রহমান মরদেহ গ্রহণ করেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যার দিকে মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা সেনানিবাসে। পরদিন সকালে সেখানে জানাজার পর সেনাপ্রধান এই শহীদের সম্মানে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাহাঙ্গীরের মরদেহ তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলায় পাঠানো হয়। সেখানে ডিমলা রানী বৃন্দা রানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টায় তার মরদেহ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় মরহুমের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। এ সময় পার্বতীপুর শহীদ মাহমুদ সেনানিবাস থেকে ক্যাপ্টেন তানজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫ জন সেনাসদস্যের একটি দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করে।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মাইন বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের (২৬) মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নে দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। দুপুর ১টার দিকে সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় এই শহীদের দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ নিয়ে আকাশপথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বেলা ১১টায় ডিমলায় পৌঁছায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে পৌঁছানোর পরে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। বিশেষ করে তাঁর মা গোলেনুর বেগম এবং বাবা লতিফর রহমান ও স্ত্রী শিমু আকতার মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্বামীর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পরে শোকে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শিমু শুধু প্রিয় মানুষটির মুখটি খুঁজছিলেন। সকাল থেকেই জাহাঙ্গীরকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় জমতে থাকে। এসেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।
জাহাঙ্গীরের মা বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আমার ছেলে আমাকে কেন ডাকে না/ সে কি আমাকে আর ডাক দেবে না/ বাবা আমার জীবনে অনেক কষ্ট করেছে। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।’
উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাহাঙ্গীরের এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। এলাকার একজন সেনাসদস্য হারিয়ে তাঁরা শোকাহত। প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর প্রান্তিক গ্রামে থেকেও আলো ছড়িয়েছে। সে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিল। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে আমাদের গর্ব হচ্ছে।’
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমাদের এলাকার গর্ব। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’ শহীদ জাহাঙ্গীর সড়ক নামে এই এলাকার সড়কটির নামকরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। সাড়ে ১২টায় বাড়িসংলগ্ন মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় গত ৪ অক্টোবর মাইন বিস্ফোরণে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। গতকাল বিকেল ৫টায় আফ্রিকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে জাহাঙ্গীরের মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আবুজার রহমান মরদেহ গ্রহণ করেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যার দিকে মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা সেনানিবাসে। পরদিন সকালে সেখানে জানাজার পর সেনাপ্রধান এই শহীদের সম্মানে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাহাঙ্গীরের মরদেহ তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলায় পাঠানো হয়। সেখানে ডিমলা রানী বৃন্দা রানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টায় তার মরদেহ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় মরহুমের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। এ সময় পার্বতীপুর শহীদ মাহমুদ সেনানিবাস থেকে ক্যাপ্টেন তানজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫ জন সেনাসদস্যের একটি দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে