জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
চৈত্রের দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতে নীলফামারীতে দেখা দিয়েছে খাবার পানি ও সেচসংকট। অনেক ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না নলকূপে। সেচপাম্পের অগভীর নলকূপে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ পানি উত্তোলন না হওয়ায় বোরো খেতে সময়মতো সেচ দিতে পারছেন না কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানির অভাবে জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে ধান উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হাজারো কৃষক। কৃষকেরা বলছেন, এত টাকা খরচ করে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন, কিন্তু অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে জমির মাটি ফেটে যাওয়ায় বোরো ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, নীলফামারীতে গত বছরের মার্চ মাসে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও চলতি বছর একই সময়ে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৬ মিলিমিটার। পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৮ ও সর্বোচ্চ ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। তিনি আরও জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই।
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৯০ শতক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। পানির অভাবে ধানের গাছগুলো রোদে পুড়ে যাচ্ছে। জমির মাটি ফেটে যাওয়ায় রোপণ করা ধান নিয়ে বিপাকে আছি।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, এ সময় তিস্তা সেচনালার পানি দিয়ে ইরি-বোরো খেতে কম মূল্যে সেচ দিত। কিন্তু এবার জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা সেচনালা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কার করায় সেচ বন্ধ রয়েছে। এতে বোরো খেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুরের কৃষক জানান, অনেক সেচপাম্প দিয়ে পানিই উঠছে না। আবার কিছু পাম্প দিয়ে অল্প পানি ওঠায় ওই পাম্পের আওতায় রোপণ করা বোরো খেতে দীর্ঘ ১০ দিনেও পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গ্রামের গভীর পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। এ ছাড়া নলকূপে পানি না ওঠায় খাবার পানি সংকটে ভুগছেন গ্রামবাসী।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে নীলফামারীতে ৮১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গভীর নলকূপ দিয়ে সেচের বিকল্প নেই। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আবু বকর সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, যেখানে তিস্তা সেচনালার পানি সরবরাহ রয়েছে, সেখানে ইরি-বোরো চাষিদের সমস্যা নেই। তিস্তার পানি পাচ্ছেন না—এমন এলাকার কৃষকদের ব্যক্তিগত পাম্প দিয়ে সেচের কার্যক্রম চালু রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চৈত্রের দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতে নীলফামারীতে দেখা দিয়েছে খাবার পানি ও সেচসংকট। অনেক ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না নলকূপে। সেচপাম্পের অগভীর নলকূপে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ পানি উত্তোলন না হওয়ায় বোরো খেতে সময়মতো সেচ দিতে পারছেন না কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানির অভাবে জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে ধান উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হাজারো কৃষক। কৃষকেরা বলছেন, এত টাকা খরচ করে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন, কিন্তু অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে জমির মাটি ফেটে যাওয়ায় বোরো ধানের ফলন নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, নীলফামারীতে গত বছরের মার্চ মাসে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও চলতি বছর একই সময়ে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৬ মিলিমিটার। পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৮ ও সর্বোচ্চ ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। তিনি আরও জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই।
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৯০ শতক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। পানির অভাবে ধানের গাছগুলো রোদে পুড়ে যাচ্ছে। জমির মাটি ফেটে যাওয়ায় রোপণ করা ধান নিয়ে বিপাকে আছি।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, এ সময় তিস্তা সেচনালার পানি দিয়ে ইরি-বোরো খেতে কম মূল্যে সেচ দিত। কিন্তু এবার জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা সেচনালা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কার করায় সেচ বন্ধ রয়েছে। এতে বোরো খেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুরের কৃষক জানান, অনেক সেচপাম্প দিয়ে পানিই উঠছে না। আবার কিছু পাম্প দিয়ে অল্প পানি ওঠায় ওই পাম্পের আওতায় রোপণ করা বোরো খেতে দীর্ঘ ১০ দিনেও পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গ্রামের গভীর পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। এ ছাড়া নলকূপে পানি না ওঠায় খাবার পানি সংকটে ভুগছেন গ্রামবাসী।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে নীলফামারীতে ৮১ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গভীর নলকূপ দিয়ে সেচের বিকল্প নেই। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আবু বকর সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, যেখানে তিস্তা সেচনালার পানি সরবরাহ রয়েছে, সেখানে ইরি-বোরো চাষিদের সমস্যা নেই। তিস্তার পানি পাচ্ছেন না—এমন এলাকার কৃষকদের ব্যক্তিগত পাম্প দিয়ে সেচের কার্যক্রম চালু রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
৬ মিনিট আগেসাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার কুশখালী ও কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
৮ মিনিট আগেতামিম রাতে ইটেরপুল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তামিমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তামিমকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
২৬ মিনিট আগেবগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ’মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ডজনখানেক হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র, মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। জেলা ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদে
৪০ মিনিট আগে