উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কাসারিরঘাট চরুয়াপাড়া এলাকায় বামনি নদীতে নির্মিত সেতু গত বুধবার দেবে গেছে। এই সেতু দিয়ে হাতিয়া ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ধরনীবাড়ীর ২২ গ্রামের মানুষ যাতায়াতে বিপাকে পড়েছেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যালয়গামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ রাস্তার কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের হাতিয়া ইউনিয়নের কাসারিরঘাট থেকে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাদারটারী যাওয়ার সড়কে বামনী নদীর ওপর ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়।
দেবে যাওয়া সেতু এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বামনী নদীর পানির তীব্র স্রোতে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি নদীতে ধসে পড়ে। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকাকালে হঠাৎ করে গত বুধবার বিকট শব্দে সেতুটির মাঝের অংশ দেবে ভেঙে যায়। এতে দুই ইউনিয়নের যানবাহনসহ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
চরুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাবিউল ইসলাম (৪০) বলেন, ‘আমার সামনেই সেতুটি দেবে যায়। আমরা এলাকাবাসী সেতু দিয়ে ঠিকমতো চলাচল করতে পারছি না। বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন করে দ্রুতই সেতু তৈরির দাবি জানাই।’
চরুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, বিলকিস বেগম ও জোবেদ আলী বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঠিকাদার নিম্নমানের মালামাল দিয়ে সেতু তৈরি করায় নির্মাণের ৭ বছর যেতে না যেতেই ভেঙে যায়। বামনী নদীর সংস্কার করায় সেতুটির দুই পাশে ও মাঝখানের মাটি সরে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু মিয়া ও রোকছানা বেগম বলেন, সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশে পূর্ব মাদারটারী, ফকিরপাড়া, তেলীপাড়া, ফরমকাটা, নামানিরচর, কাসারিয়ারঘাট, চড়ুয়াপাড়া, টসাপাড়া, নয়াগ্রামসহ প্রায় ২২টি গ্রামের ২৫ হাজার লোক এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করেন। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশে থাকা নতুন অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাইতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিয়াজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বালারচর ফাজিল মাদ্রাসা, নতুন অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে।
নতুন অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা ও নতুন অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুরাদ হাসান বলে, সেতুটি দেবে যাওয়ায় আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও আমরা ভয়ে পারাপার হতে পারছি না। এপার থেকে ওপারে যেতে কখন যেন পা পিছলে নদীতে পড়ে যাই।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, সেতুটি দেবে যাওয়ায় এলাকার মানুষসহ যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
ধরণীবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান এরশাদুল হক জানান, সেতুটি দেবে যাওয়ার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বামনি নদীতে খনন ও নদীর প্রস্থের তুলনায় সেতু ছোট হওয়ায় দুই পাশের পাড় ভেঙে সেতু দেবে যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুই ইউপির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কাসারিরঘাট চরুয়াপাড়া এলাকায় বামনি নদীতে নির্মিত সেতু গত বুধবার দেবে গেছে। এই সেতু দিয়ে হাতিয়া ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ধরনীবাড়ীর ২২ গ্রামের মানুষ যাতায়াতে বিপাকে পড়েছেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যালয়গামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ রাস্তার কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের হাতিয়া ইউনিয়নের কাসারিরঘাট থেকে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মাদারটারী যাওয়ার সড়কে বামনী নদীর ওপর ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়।
দেবে যাওয়া সেতু এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বামনী নদীর পানির তীব্র স্রোতে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি নদীতে ধসে পড়ে। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকাকালে হঠাৎ করে গত বুধবার বিকট শব্দে সেতুটির মাঝের অংশ দেবে ভেঙে যায়। এতে দুই ইউনিয়নের যানবাহনসহ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
চরুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাবিউল ইসলাম (৪০) বলেন, ‘আমার সামনেই সেতুটি দেবে যায়। আমরা এলাকাবাসী সেতু দিয়ে ঠিকমতো চলাচল করতে পারছি না। বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন করে দ্রুতই সেতু তৈরির দাবি জানাই।’
চরুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, বিলকিস বেগম ও জোবেদ আলী বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ঠিকাদার নিম্নমানের মালামাল দিয়ে সেতু তৈরি করায় নির্মাণের ৭ বছর যেতে না যেতেই ভেঙে যায়। বামনী নদীর সংস্কার করায় সেতুটির দুই পাশে ও মাঝখানের মাটি সরে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু মিয়া ও রোকছানা বেগম বলেন, সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশে পূর্ব মাদারটারী, ফকিরপাড়া, তেলীপাড়া, ফরমকাটা, নামানিরচর, কাসারিয়ারঘাট, চড়ুয়াপাড়া, টসাপাড়া, নয়াগ্রামসহ প্রায় ২২টি গ্রামের ২৫ হাজার লোক এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করেন। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশে থাকা নতুন অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাইতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিয়াজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বালারচর ফাজিল মাদ্রাসা, নতুন অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে।
নতুন অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা ও নতুন অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুরাদ হাসান বলে, সেতুটি দেবে যাওয়ায় আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও আমরা ভয়ে পারাপার হতে পারছি না। এপার থেকে ওপারে যেতে কখন যেন পা পিছলে নদীতে পড়ে যাই।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, সেতুটি দেবে যাওয়ায় এলাকার মানুষসহ যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
ধরণীবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান এরশাদুল হক জানান, সেতুটি দেবে যাওয়ার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বামনি নদীতে খনন ও নদীর প্রস্থের তুলনায় সেতু ছোট হওয়ায় দুই পাশের পাড় ভেঙে সেতু দেবে যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুই ইউপির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুতই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ প্রদানের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামানের পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেইঞ্জিনের হেডলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে পাড়ি দিয়েছে তিতাস কমিউটার ট্রেন। গতকাল শনিবার (২১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসেম আলী (৩৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গোড়ের পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেসম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগের বিষয়ে নাহিদ রাব্বি নামের একজন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘুষ লেনদেনের কথা স্পষ্টভাবে উঠে আসে।
১ ঘণ্টা আগে