Ajker Patrika

তারাগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধি
তারাগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

তারাগঞ্জ (রংপুর): রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলায় এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৯ জুন) দুপুর ১২টায় উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট ব্র্যাক শাখা কার্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী ওই শাখার মাঠকর্মীর স্ত্রী।

নিহত নারীর নাম হাফিজা বেগম (৩০)। তিনি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে তৈয়ব আলীর মেয়ে এবং বুড়িরহাট ব্র্যাক শাখার মাঠকর্মী নুর আলমের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্র্যাক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১১ বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে হাফিজা বেগমের বিয়ে হয়। স্ত্রীকে নিয়ে ব্র্যাকের ওই শাখার পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। গত ৩০ মে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটা-কাটি হলে স্বামীর ওপর অভিমান করে হাফেজা বেগম বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রী না থাকায় নুর আলম ভাড়া বাসাটি ছেড়ে দেয়। এদিকে অভিমান ভাগলে গত মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় হাফেজা বেগম বাবার বাড়ি থেকে তারাগঞ্জে স্বামীর ওই ভাড়া বাসায় চলে আসে। পরে ওই বাসার মালিক হাফেজাকে জানায় তাঁর স্বামী বাসা ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর হাফেজা ওই বাসার থেকে পরের দিন সকালে তাঁর স্বামীর কর্মস্থল বুড়িরহাট ব্র্যাক শাখা কার্যালয়ে আসেন। খোঁজা খুঁজি করে এ সময় ওই কার্যালয়ে কোথাও তাঁর স্বামীকে পান না। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টায় হাফেজা রেস্ট রুমের একটি কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। দুপুর ১২টায় খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানার পুলিশ হাফেজার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ওই নারীর স্বামী নুর আলম বলেন, `আমাদের একমাত্র সন্তান মারা যাওয়ার পর হাফেজার মাঝে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। কিছুদিন আগে সামন্য কথা থেকে আমার সঙ্গে অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিল। সে যে কেন এমন (আত্মহত্যা) করল আমার জানা নেই।'

ব্র্যাক বুড়িরহাট কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, `ওই নারী তাঁর স্বামীর খোঁজে সকাল ৯টায় অফিসে এসেছিল। আমাকে তাঁর স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করেছে। পরে গেস্ট রুমের দরজা বন্ধ দেখে আমাদের সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে বাধা ওড়নায় হাফেজার লাশ ঝুলতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই।

তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মদ বলেন, খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কেউ থানায় মামলা করেনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত